ছেলেবেলার স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে নিজের মায়ের কথাও বলেন তিনি। তাঁর বেড়ে ওঠার সঙ্গে কীভাবে ওতোপ্রতভাবে কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় জড়িয়ে ছিল সে কথাও বলেন তিনি।
রবিবার কলকাতায় এসে বিস্ফোরক মন্তব্য বিবেক অগ্নিহত্রীর। বাংলা ধীরে ধীরে কাশ্মীর হয়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। কলকাতা মিউজিয়ামে আজাদিকা অমৃত মহোৎসবে যোগ দিতে এসে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন 'দ্যা কাশ্মীর ফাইলস'-এর পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। যৌবনে বামপন্থার সমর্থন থেকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুই বাদ পড়ল না তাঁর বক্তব্যে। এদিন পরিচালক জানান,'আমি নিজেও একজন বামপন্থী ছিলাম। জেলেও গিয়েছি। পরে বুঝতে পারি ওটা বিনাশের রাস্তা।' ছেলেবেলার স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে নিজের মায়ের কথাও বলেন তিনি। তাঁর বেড়ে ওঠার সঙ্গে কীভাবে ওতোপ্রতভাবে কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় জড়িয়ে ছিল সে কথাও বলেন তিনি। এবং পরবর্তীকালে যাদবপুরে 'বুদ্ধা ইন অ্যা ট্রাফিক জ্যাম' ছবির স্ক্রিনিং-এ গিয়ে হওয়া খারাপ অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'-এর পরিচালক বলেন,'একবার আমার মা আমাকে বলেছিলেন তিমি যদি এমন লোকেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাও যাঁরা দেশ বদলাতে পারে, তবে বাংলায় যাও। তাই বুদ্ধা ইন এ ট্র্যাফিক জ্যাম সিনেমার স্ক্রিনিং-এর জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েকে বেছেনি। কিন্তু সেখানে আমাকে শারীরিকভাবে টার্গেট করা হয়।' এদিন বাংলাকে মিনি কাশ্মীর বলে উল্লেখ করে বাংলার ফাইল খোলার কথাও বলেন তিনি। তাঁর কথায়,'বাংলায় এখনও অনেক মিনি কাশ্মীর রয়েছে। বাংলা পুরোপুরি কাশ্মীর হওয়ার আগে বাংলার জনগনের সামনে বাংলার রাজনীতির গল্প আনতে চাই। বাংলার রাজনীতির কীভাবে পতন হয়েছে সেটা সবাইকে দেখানোর জন্য আমি একটা সিনেমা বানাতে চাই।'
তিনি আরো বলেন,'বাংলা পুরোপুরি কাশ্মীর হওয়ার আগেই কাজ শেষ করতে হবে।' পাশাপাশি তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও কটাক্ষ করেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যার্থ বলেও দাবি করেন তিনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন,'বহু গবেষণা করে বুদ্ধা ইন আ ট্রাফিক জ্যাম ছবিটা বানাই। বলিউডের লোকেরাই বহুদিন ছবিটিকে মুক্তি পেতে দেয়নি। মায়ের বলা কথাগুলো মনে করে তখন যাদবপুরের কথা মাথায় আসে, কিন্তু সেখানে গিয়ে মনে হল ভাতরবর্ষে নয় অন্য কোনও দেশে আছি।'
আরও পড়ুন -
জয় হল হাতছাড়া, অস্কার থেকে বাদ পড়ল শৌনক সেনের ‘অল দ্যাট ব্রিদস’