না ফেরার দেশে চলে গেলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে স্মৃতি শহরে দেবজ্যোতি মিশ্র, অরুন্ধুতি হোম চৌধুরী, উষা উত্থুপ এবং মাধবী মুখোপাধ্যায়।
আবারও ইন্দ্রপতন। না ফেরার দেশে চলে গেলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ( Singer Sandhya Mukherjee ) । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। কিছু দিন ধরে নানাবিধ কারনে হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর চলে গিয়েছেন। কাটেনি ১০টা দিনও, তারপরই আবারও বিয়োগ। এশিয়ানেট নিউজ বাংলার তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয় শিল্পী মহলের সঙ্গে , স্মৃতি মেদুর সকলেই। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে স্মৃতি শহরে দেবজ্যোতি মিশ্র, অরুন্ধুতি হোম চৌধুরী, উষা উত্থুপ এবং মাধবী মুখোপাধ্যায় ( Debojyoti Mishra ,Usha Uthup, Madhabi Mukherjee, Arundhati Holme Chowdhury )।
'ওনার সঙ্গে আমি ৮, ৯ টা রেকর্ডিং করেছি, বার্তা দেবজ্যোতি মিশ্রের
দেবোজ্যোতি মিশ্র বলেছেন, 'সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় যে বয়সে পৌঁছে ছিলেন তাতে হয়ত অপ্রিয় হলেও প্রস্তুতি ছিলই। কিন্তু আরগ্য কামনা তো আমরা করবই। কিন্তু আজ আর কোনও প্রার্থনাই কাজে এল না। উনি তো একটা যুগের গানকে রিপ্রেজেন্ট করেছেন। এবং ওনার সঙ্গে আমি ৮, ৯ টা রেকর্ডিং করেছি। তাতে দেখেছি উনি মিউজিশিয়ানদের কতটা সম্মান দিতেন। আমার আজ মনে পড়ছে সেই দিনের কথা । বেশি দিন নয় ২,৩ বছর আগের কথা বলছি, সাইন্সিটি অডিটোরিয়ামের একটা অনুষ্ঠানে উনি উপস্থিত ছিলেন। ওনাকে একটা গান গাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। সেই সময় দাড়িয়ে উনি ঘুম ঘুম চাঁদ গানটা গেয়েছিলেন। ওই বয়েসেও এতটুকু সুর বিচ্যুতি নেই। অবাক করা। কিন্তু ওই সত্যকে মানতেই হবে। উনি থেকে যাবেন সকলের মাঝে। '
'ওনার একটা সোনার হৃদয় ছিল', অরুন্ধুতি হোম চৌধুরির
অরুন্ধুতি হোম চৌধুরী জানিয়েছেন, 'এক নক্ষত্র বিয়োগের ক্ষত এখনও সেরে উঠতে পারলাম না। আবারও এক পতন। কি বলব বুঝতে পারছি না। অভিভাবক হারালাম আজ। আমার বাড়ির কাছেই ওনার বাড়ি। রোজ খোঁজ নিতাম। কেন জানি না আশা করেছিলাম উনি ফিরে আসবেন। কিন্তু সে আর হল না। উনিও ফোন করতেন মাঝে মাঝেই, ফোন করেই একটাই কথা বলতেন, গান শোনাও তো একটু। আর সে সব শুনতে পাব না। একটা কথা না বললেই নয়। ওনার মত মহান শিল্পীর কথা আজ সবাই বলবেন । আমি বলব, মানুষ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কথা। ওনার একটা সোনার হৃদয় ছিল।'
আরও পড়ুন, 'সন্ধ্যা দি চলে গেলেন, এবার বাপ্পিদাও', গলা ধরে এল কুমার শানুর
' ভেজিটেবিল চপ খাওয়ার', গল্প শোনালেন মাধবী, শোকপ্রকাশ উষার
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে উষা উত্থুপ বলেছেন - 'ভাষা পাচ্ছি না বলার মত। লতাজির মৃত্যুই এখনও পর্যন্ত মেনে উঠতে পাচ্ছি না। আবারও, এমন দুঃসংবাদ। নানা স্মৃতি ভিড় করছে। গলা বন্ধ হয়ে আসছে। উনি থেকে যাবেন ওনার গানের মাধ্যমে।' এদিন মাধবী মুখোপাধ্যায় বলেন , 'সন্ধ্যা দি-র যখন প্রথম গান মুক্তি পায়, তখন আমি খুব ছোট, আজও মনে পড়ে। সন্ধ্যাদি আমায় মাঝে মাঝেই বলতেন মাধবী আমার গাওয়া প্রথম গানটা শোনাও। ওনার মেয়ের জন্মদিনে ওনার বাড়িতে গিয়েছে। আজও মনে পড়ে, ওনার হাতের আলুর চপ, ভেজিটেবিল চপ খাওয়ার কথা। বলতে গেলে শেষ হবে না । অজস্র স্মৃতি। আজ যেন মনে হচ্ছে মাতৃবিয়োগ হল।'