সংক্ষিপ্ত
প্রসেনজিতের 'আয় খুকু আয় ' বক্স অফিসে ব্যর্থ হওয়ার পর তাকে নিয়ে কটাক্ষ শোনা গেলো প্রযোজক রানা সরকারের মুখ থেকে।
সদ্যই মুক্তি পেয়েছে প্রসেনজিৎ দিতিপ্রিয়ার আয় খুকু আয়। কিন্তু বক্স অফিসে সেভাবে সাড়া ফেলতে পারেনি ছবিটি। ছবিতে পরিচালক সৌভিক কুন্ডু প্রসেনজিৎকে দ্বৈত চরিত্রে ব্যবহার করেছেন। তবুও লোক হচ্ছে না হলে।
যে কোনো বাংলা সিনেমার প্রচারে আসলেই তারকারা আজকাল বলে থাকেন বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়ান। তবুও কী সত্যিই মানুষ দেখছেন না বাংলা সিনেমা? একেবারে দেখছেন না বললে মিথ্যে বলা হবে। অনীক দত্ত পরিচালিত জিতু কামাল অভিনীত অপরাজিত কে দর্শক অনেক ভালোবাসা দিয়েছে। সেরম ভাবেই বেলাশুরুতেও নিরাশ করেনি দর্শক। সেই প্রসঙ্গে প্রযোজক রানা সরকার কী বলেছেন আমরা শুনে নেব। তিনি বলেছেন, ' আমিই ইন্ডাস্ট্রি, এই ফর্মুলা এখন আর কাজ করছে না', সরাসরি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে এহেন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন প্রযোজক রানা সরকার। তিন দিন হল মুক্তি পেয়েছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং দিতিপ্রিয়া রায় অভিনীত ছবি ‘আয় খুকু আয়’। প্রযোজনায় অভিনেতা জিৎএর প্রযোজনা সংস্থা গ্রাসরুট এন্টারটেইনমেন্ট। ছবি মুক্তি পেতে না পেতেই প্রযোজক রানা সরকারের কটাক্ষ, ‘খুকু এল না’। দু’জন তারকার উদ্যোগ, খ্যাতনামী নায়ক তবুও হলে নেই দর্শক। দাবি প্রযোজকের । তিনি বলেন, 'ছবিটা সুপার ফ্লপ। যাঁদের আমরা ‘সুপারস্টার’ বলে মাথায় তুলে রাখি, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁদের ছবি কাজ করে না। শেষ যে কয়েকটা ছবি হিট হয়েছে, ‘অপরাজিত’-তে নতুন মুখ আর ‘বেলাশুরু’-তে সে অর্থে সবাই নায়ক।দেবের ছবি যদিও চলে, প্রসেজিৎ, জিতের ছবি চলছে কোথায়। তার মানেই দর্শকরা ইঙ্গিত দিচ্ছেন এ বার নতুন কিছু দিন।' তারকাদের জন্য এহেন বিস্ফোরক বার্তা দিলেন প্রযোজক। তাঁর বক্তব্য, 'তাঁরা তো ‘সুপারস্টার’, নিজেদের পারিশ্রমিক কিছুটা কমিয়ে নতুনদের সুযোগ করে দিন। আমিই নায়ক, আমিই ইন্ডাস্ট্রি এই ফর্মুলা আর কাজ করছে না। তবে প্রযোজকরা নতুন কিছু করার ঝুঁকি নিতে পারবে'।
ফের অসুস্থ পরিচালক তরুণ মজুমদার, ভর্তি করতে হল এসএসকেএম-এ
যুগ যুগ জিওর প্রচারে শহরে আসলেন বরুণ কিয়ারা, দিলেন সম্পর্ক ভালো রাখার টিপস
বর এবং মেয়েকে ম্যাচিং স্নিকার্স উপহার প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার, দেখে নিন ছবি
এটাই প্রথমবার নয়। রানা সরকার এর আগেও বহু বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। কদিন আগেই যশ কে উদ্দেশ্য করে ট্যুইট করেছিলেন তিনি। চিনাবাদাম ছবি থেকে যশের হঠাৎ সরে দাঁড়ানোর জন্য টলিউড প্রযোজক রানা সরকার প্রশ্ন তুলেছিলেন, এই কি বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ানোর নমুনা? যশের টুইট রিটুইট করে নিয়ে তিনি পাল্টা লিখেছিলেন, ‘টাকা পেয়ে গিয়েছি আর কী চাই, এবার প্রোডিউসার মরুক...।’ ছবি মুক্তির আগে এমন হয়রানির পরে এনা এবং তাঁর প্রযোজনা সংস্থার পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি। অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে রানা বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন।