রাম কমল মুখার্জি দ্বারা নির্মিত ম্যাগনাম অপাস ১৭৭০ পরিচালনা করতে চলেছেন অশ্বিন গঙ্গারাজু যিনি বাহুবলী ও এগাতে এস এস রাজামৌলিকে সহায়তা করেছিলেন।এছাড়াও ছবির বাকি কুশিলবরা এই রমক- প্রোযোজক শৈলেন্দ্র কুমার, সুজয় কুট্টি, কৃষ্ণা কুমার বি এবং সূরজ শর্মা। ছবির ব্যানার প্রোযোজক হিসাবে রয়েছে এস এস ১ এন্টারটেনমেন্ট এবং পি কে এন্টারটেনমেন্ট। ছবিটি হিন্দি এবং দক্ষিণের সবকটি ভাষার সঙ্গে সঙ্গে বাংলা ভাষাতেও মুক্তি পাবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
ব্রিটিশ বিরোধী আনন্দোলনে এক অনুপ্রেরণা তৈরি করেছিল আনন্দ মঠ উপন্যাস। সাহিত্যিক বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্য়ায়ের সৃষ্ট এই উপন্যাসেই প্রথম শোনা গিয়েছিল বন্দে মাতরম ধ্বনি। ১৯৫০ সালে এই বন্দে মাতরম-কে জাতীয় গান হিসাবে গ্রহণ করেছিল সেই সময়ের নেহরুর সরকার। ততদিনে অবশ্য দেশপ্রেমের এক অনন্য স্লোগানে পরিণত হয়েছিল বন্দে মাতরম। আনন্দমঠকে নিয়ে পরবর্তী সময়ে সিনেমা হয়েছে। কিন্তু, এবার সেই আনন্দমঠকে সামনে রেখে এক ম্যাগনাম অপাস ১৭৭০ তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন চলচ্চিত্রকার রামকমল চট্টোপাধ্য়ায়। ১৭৭০-এর ঘোষণা আগেই হয়েছিল। এবার সামনে এল ছবির মোশন পোস্টার। বন্দে মাতরম- গানটিও এবার ১৫০ বছরে পড়েছে। সেই সঙ্গে দেশের স্বাধীনতাও ৭৫ বছর পূর্ণ করে ৭৬-এ পা রেখেছে। এখনও ঘরে ঘরে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব চলছে। এমন এক মুহূর্তে দেশপ্রেমকে উদ্বুধ্ করে আনন্দমঠের অনুপ্রেরণায় তৈরি হওয়া ১৭৭০ ছবি অন্য তাৎপর্য বহন করছে বলেই মনে করছেন রামকমল।
১৭৭০ ছবিটি-র চিত্রনাট্য লিখেছেন বাহুবলী এবং আরআরআর খ্যাত পরিচালক ও প্রযোজক এস এস রাজামৌলির বাবা ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদ। ছবিটির ভাবনা এবং সৃষ্টিকর্তা রামকমল মুখোপাধ্য়ায়। ১৭৭০-এর পরিচালক অশ্বিন গঙ্গারাজু। এছাড়াও ছবির বাকি কুশিলবরা এই রমক- প্রোযোজক শৈলেন্দ্র কুমার, সুজয় কুট্টি, কৃষ্ণা কুমার বি এবং সূরজ শর্মা। ছবির ব্যানার প্রোযোজক হিসাবে রয়েছে এস এস ১ এন্টারটেনমেন্ট এবং পি কে এন্টারটেনমেন্ট। ছবিটি হিন্দি এবং দক্ষিণের সবকটি ভাষার সঙ্গে সঙ্গে বাংলা ভাষাতেও মুক্তি পাবে। ছবিটি নিয়ে পরিচালক অশ্বিন গঙ্গারাজু জানিয়েছেন, এই ছবিতে লার্জার দ্যান লাইফ-এর অ্যাকশনকে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। তিনি ১৭৭০-এর মতো একটা পিরিয়ড সিনেমা এবং আবেগে ভরপুর চিত্রনাট্যের খোঁজে ছিলেন। এর আগে এস এস রাজমৌলির সঙ্গেও কাজ করেছেন অশ্বিন। তিনি রাজামৌলির আগা এবং বাহুবলি-তে সহকারি পরিচালক হিসাবে কাজ করেছিলেন।
ছবির মূল প্রাণভোমরা এবং ছবিটি তৈরির পিছনে যিনি ১ নম্বর লোক হিসাবে যুক্ত রয়েছেন তিনি হলেন রামকমল মুখোপাধ্য়ায়। ছবির মোশন পোস্টার মুক্তি নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, প্রোযোজকরা তাঁর উপরে ভরসা রাখায় তিনি খুশি। অশ্বিনের কাজ দেখে ওকে ছবির পরিচালক করতে আমায় বেশি কাঠখড় পোড়াতে হয়নি। অশ্বিন এর আগে আকাশবাণী নামে যে ছবিটি তৈরি করেছিল সেটাও আমার দেখা। ছবিটিতে পরিচালক হিসাবে অসাধারণ কাজ করেছিল অশ্বিন। জানা গিয়েছে ছবিটি-র শ্যুটিং এখনও সেভাবে শুরু হয়নি। আশা করা হচ্ছে চলতি বছরের শেষদিকে ছবিটি মুক্তি পেতে পারে।
আরও পড়ুন, ব্রহ্মাস্ত্র তৈরির নেপথ্যে কোন ভাবনা? সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওতে খোলসা করলেন অয়ন
আরও পড়ুন,গুলির পর এবার বোমা বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র, বাঁচতে পারবে কি মিঠাই এবং তাঁর পরিবার?