নীতু কপুর জানালেন যে তিনি পরদা হ্যায় পরদা গানের শ্যুটের সময় ঋষি কাপুরের সাথে নাকি ব্রেক আপ করেছিলেন।
ডান্স দিওয়ানে জুনিয়র্সের একটি এপিসোডে, নীতু কাপুর জানিয়েছেন যে তার এবং ঋষি কাপুরের পরদা হ্যায় পরদা শ্যুটের সময় বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। গানটি ১৯৭৭ সালের অমর আকবর অ্যান্টনি চলচ্চিত্রের।এই সপ্তাহে ডান্স দিওয়ানে জুনিয়রস এর বিচারক নীতু কাপুর, মার্জি পেস্টনজি এবং নোরা ফাতেহি উষা উথুপের সাথে রেট্রো স্পেশাল উদযাপন করছেন। পর্বের বিশেষ অতিথি হিসেবে দেখা যাবে পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত গায়িকাকে। দর্শকরা অতীতের একটি অভূতপূর্ব ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকবেন কারণ তারা নীতু কাপুরকে প্রয়াত ঋষি কাপুরের সাথে তার হিট গান পর্দা হ্যায় পর্দার মুহূর্ত গুলিকে পুনঃনির্মাণ করতে দেখতে পাবেন।
অল স্টার গ্রুপকে দেখা যাবে অমর আকবর অ্যান্টনির গান 'পর্দা হ্যায় পর্দা'-এ পারফর্ম করতে। তাদের অভিনয় উপভোগ করার পর, বিচারক মারজি পেস্টনজি নীতু কাপুরকে এই সুপারহিট গানটি মঞ্চে পুনরায় তৈরি করার জন্য অনুরোধ করেন। নীতু কাপুর স্পোর্টিংলি এগিয়ে যান এবং একটি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেন যা সবাইকে নস্টালজিক করে দেয়। তিনি গানের শ্যুট থেকে প্রয়াত ঋষি কাপুরের স্মৃতি শেয়ার করে বলেন, 'এই গানের শুটিংয়ের সময় ঋষি জি এবং আমার ঝগড়া চলছিল। আমরা একে অপরের সাথে অনেক ঝগড়া করতাম এবং সেই সময় ব্রেক আপ হয়েছিল। এটি একটি রোমান্টিক গান ছিল যেখানে আমাকে একটি গোলাপ ছুঁড়ে ফেলতে হয়েছিল কিন্তু আমার মনে যা অন্য কিছু চলছিল।' যদিও শেষপর্যন্ত তাদের রসায়নের জাদু কাজ করেছিল।ডান্স দিওয়ানে জুনিয়রস প্রতি শনি ও রবিবার রাত ৯টায় কালারস টিভিতে সম্প্রচারিত হয়।
আরও পড়ুনঃ প্রেম বা বিয়ে কোনওটাই ভাঙবে না- ভালবাসা চিরকাল অটুট থাকবে , যদি এই তিনটি টিপস মেনে চলেন
ফেসিয়াল প্যারালাইসিস- এ আক্রান্ত জাস্টিন বিবার, তবে কি ক্যানসেল হতে চলেছে তাঁর দিল্লি কনসার্ট?
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের এক ছাদের তলায় আনতে তৎপর মমতা, সোনিয়া-সীতারাম-সহ ২২ জনকে চিঠি
ঋষিকে হারিয়ে এখন বড্ড একলা হয়ে গিয়েছেন নীতু কপূর। বছর দুয়েক আগে কান্সার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার স্বামী ঋষি কাপুরের। কয়েকদিন আগেই নীতু ঋষির ছেলে রণবীর কপূরের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন তার প্রেমিকা আলিয়া ভট্টের। তবু একাকীত্ব যেনো গ্রাস করে নীতুকে। এত বছরের প্রেমকে হারিয়ে একা থাকা যে সহজ কথা নয়। তাই বাধ্য হয়ে মনোবিদের কাছে ছুটেছেন নীতু। মনোবিদ তাকে বলেন, নিজের লড়াই লড়তে হবে নিজেকেই। পুরোটাই মনের জোরে। এখন তাই নিজেকে ব্যস্ত রাখতে ফের কাজে ফিরেছেন ঋষির স্ত্রী। কাজে ডুবে থেকে ঋষির শূন্যতাকে ভুলতে চেষ্টা করছেন তিনি। তবু কি ভোলা যায়?!