উৎসবের রেশ হয় নাই শেষ! ধর্ষিতাদের বাঁচাতে ফিরছেন ‘মহিষাসুরমর্দিনী’...

ঋতুপর্ণা এই ছবির ‘দেবী দুর্গা’। দেশ-বিদেশের প্রশংসা, সম্মান কুড়োলেও তাঁর নিজের শহর কলকাতাতেই এখনও ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ মুক্তি পায়নি। কী বলছেন তিনি?

Web Desk - ANB | Published : Oct 21, 2022 3:14 PM IST

‘মহিষাসুরমর্দিনী, এর মানেটাও এ বার পালটে ফেলতে হবে’ কিংবা ‘এক দিকে রকেটে করে স্পেস ট্রাভেল আর অন্য দিকে কুমারী পুজো!’... বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে শহরে এমনই সব কথা! আরও খবর, উৎসবের রেশ নাকি হয় নাই শেষ! আবার আসছেন ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। দেবী ত্রিশূল হাতে ফের মর্তে ধর্ষিতাদের রক্ষা করতে। বাংলার মেয়েদের মুখে হাসি ফোটাতে এমনই আশ্বাস নিয়ে ফিরছেন পরিচালক রঞ্জন ঘোষ। ‘আহা রে’, ‘রং বেরঙের কড়ি’, ‘হৃদমাঝারের পর’ তাঁর নতুন ছবিতে তাই নারীশক্তির আবাহন। 

ছবির পটভূমিকায় দুর্গাপুজোর এক রাত। আচমকাই দশ বছরের এক মূক-বধির অনাথ মেয়ে ধর্ষিত। তাকে ঘিরে হিন্দু-মুসলিমদের টানাপড়েন। প্রকৃত দোষী কে? এই প্রশ্নই রঞ্জনের ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র বিষয়। যাকে লেন্সবন্দি করতে পরিচালকের দু’বছর লেগে গিয়েছে! বৃহস্পতিবার তার ট্রেলার মুক্তি পেল। ছবিতে এই প্রথম এক সঙ্গে পর্দা ভাগ করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। এ ছাড়াও আছেন, সাহেব ভট্টাচার্য, পৌলমী দাস, অরুণিমা হালদার এবং এক ঝাঁক মঞ্চাভিনেতা। রঞ্জনের ছবি মানেই তাতে ভালবাসার ছোঁয়া। এই প্রথম ধর্ষণের মতো সাহসী ঘটনা, নারীশক্তির গল্প! কেন? পরিচালকের কৈফিয়ত, ‘‘যুগ বদলেছে। সময় পালটেছে। কিন্তু মেয়েদের অবস্থান বদলায়নি। এখনও মেয়েরা একা নিরাপদ নয়। তাই এই গল্প বলার প্রয়োজন হল। যাতে তারা মনে না করে, তাদের পাশে কেউ নেই।’’ এই জায়গা থেকেই রঞ্জনের দাবি, বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে নারীকেন্দ্রিক আরও ছবি তৈরি হওয়া দরকার।

ঋতুপর্ণা এই ছবির ‘দেবী দুর্গা’। দেশ-বিদেশের প্রশংসা, সম্মান কুড়োলেও তাঁর নিজের শহর কলকাতাতেই এখনও ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ মুক্তি পায়নি। কী বলছেন তিনি? টলিউডের প্রথম সারির নায়িকার মতে, ‘‘এই নিয়ে রঞ্জনের সঙ্গে আমার তিনটি ছবিতে কাজ। প্রতিটি ছবিতেই রঞ্জন আমায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়। আমি খুশিমনে গ্রহণ করি। ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ও ব্যতিক্রম নয়। অবশেষে সেটি মুক্তি পাচ্ছে। আমি খুব খুশি।’’ অভিনেত্রীর মতে, বিদেশী সমালোকেরা ছবির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বাকি নিজের শহরের মানুষ। আশা, তাঁদেরও ভাল লাগবে। ঋতুপর্ণা এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘স্তুতি’। অভিনয়ের সময় সে কি কোনও ভাবে ব্যক্তি ঋতুপর্ণার নারীসত্তাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল? নায়িকার দাবি, যখনই তিনি সমস্যা বা অস্বস্তিতে পড়েন তখনই তাঁর নারীসত্তা প্রশ্নের মুখোমুখি হয়। তখন তিনি ‘স্তুতি’র মতো করেই উত্তর খোঁজেন।
ঋতুপর্ণার মতোই খুশি শাশ্বতও। যদিও এক্ষুণি নিজের চরিত্র নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ জাতীয় স্তরের অভিনেতা। তাঁর দাবি, ট্রেলার দেখলেই দর্শক তাঁর অভিনীত চরিত্র সম্পর্কে হদিশ পাবেন। এই প্রথম রঞ্জনের সঙ্গে কাজ করলেন। শাশ্বতর দাবি, পরিচালকের ভীষণ পরিষ্কার মাথা। খুব ভাল গল্প বলতে পারেন। এমন পরিচালকের সঙ্গে কাজের মজাই আলাদা। ছবিতে গানের দায়িত্বে অভিজিৎ কুণ্ডু। ক্যামেরা সামলেছেন শুভদীপ দে। কাহিনীকার পরিচালক স্বয়ং। ছবিটির যৌথ প্রযোজনায় পবন কানোড়িয়া এবং বিনায়ক পিকচার্স।

Read more Articles on
Share this article
click me!