দু'বছর বয়স থেকেই শিলিগুড়ির কোর্ট মোড় এলাকায় মাসির বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল বাপ্পি লাহিড়ির। গোটা বাড়ি জুড়েই রয়েছে বাপ্পি লাহিড়ির স্মৃতি।
চির ঘুমের কিংবদন্তি শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ি। দু'বছর বয়স থেকেই শিলিগুড়ির ( Siliguri) মাসির বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল বাপ্পি লাহিড়ির ( Bappi Lahiri )। বছরে অন্তত চার থেকে পাঁচবার যাওয়া হত মাসির বাড়ি। এদিন সকালে তার মৃত্যুর খবর মিলতেই আকাশ ভেঙে পড়ে পরিবারে । বুধবার মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সকালে কলকাতা থেকে প্রথমে এক আত্মীয় ফোনে জানায়, 'বাপি লাহিড়ী আর নেই।' এরপরই শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে।
জানা গিয়েছে, দু'বছর বয়স থেকেই শিলিগুড়ির কোর্ট মোড় এলাকায় মাসির বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল বাপ্পি লাহিড়ির। গোটা বাড়ি জুড়েই রয়েছে বাপ্পি লাহিড়ির স্মৃতি।এদিন সকালে তার মৃত্যুর খবর মিলতেই আকাশ ভেঙে পড়ে পরিবারের সদস্যদের মাথায়। পরিবার সূত্রে খবর,মাসতুতো দাদা ভবতোষ চৌধুরী ও বাপ্পি লাহিড়ী ওই বাড়িতে একসঙ্গে বেড়ে উঠেছেন। পরে কলকাতা ও কলকাতা থেকে মুম্বাইয়ে পাড়ি দেন বাপ্পি লাহিড়ি। কিন্তু বছরে অন্তত চার থেকে পাঁচবার যাওয়া হত মাসির বাড়ি। শেষ গিয়েছিলেন ২০১৭ সালে। শুধু তাই নয়। ২০১৬ সালে শেষ লাইভ শো পারফরম্যান্স শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ উৎসবের মঞ্চেই গেয়েছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, এদিন বাপ্পি লাহিড়ির মৃত্যুর পর উত্তরবঙ্গের ছেলে বলে স্মৃতি রোমন্থন করেন। এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় শোকপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, 'কিংবদন্তি গায়ক এবং সুরকার বাপ্পি লাহিড়ির অকাল প্রয়াণের খবর শুনে আমি মর্মাহত। ও আমাদের উত্তরবঙ্গের ছেলে, সে তাঁর নিখুঁত প্রতিভা কঠোর প্ররিশ্রমের দ্বারা সর্বভারতীয় খ্যাতি এং সাফল্য অর্জন করেছিলেন।'
আরও পড়ুন, 'মনে পড়ে ওনার হাতের ভেজিটেবিল চপ খাওয়ার কথা', সন্ধ্যাকে নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন উষা-মাধবীদের
প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ি। তাঁর মৃত্যুকালীন তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। গত এক মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন শিল্পী। সোমবার হাসপাতালের তরফে থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল শিল্পীকে। কিন্তু ফের ছন্দপতন ঘটে। মঙ্গলবার ফের বাপ্পি লাহিড়ির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় । শিল্পীর পরিবারের তরফ থেকে চিকিৎসককে বাড়িতেই ডেকে পাঠানো হয়। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ তড়ি ঘড়ি ফের তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে লাহিড়ি পরিবার। বাপ্পি লাহিড়ি একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যা থাকায় দ্রুত চিকিৎসা শুরু করেন চিকিৎসকের দল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার জেরে গভীর রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাপ্পি লাহিড়ি।