ধনে বীজ আর পাতায় রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি বাকটেরিয়াল। বিশেষজ্ঞদের কথায় ধনে পুষ্টিগুণে ভরপুর।
ধনে- প্রায় প্রত্যেক গৃহস্থের বাড়িতেইর রান্না ঘরে থাকে ধনে। গোটা বা গুঁড়ো মশলা হিসেবে এটির ব্যবহার খুব বেশি হয়। নিরামিশ বা আমিশ রান্নাতে ধনের ব্যবহার কর। রান্নার স্বাদ আর গন্ধ বাড়াতে ধনে গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে আবার রান্নায় ফোড়ন হিসেবেও ব্যবহার করে ধনে। কিন্তু আপনি জানেন কি এটি সুগন্ধী তেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ব্যবহার করা হয় ওষুধ আর মদ তৈরির জন্য। ধনে একটি একবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এটি মূলত তৈর হয় দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকাতে। আর শীতকালে প্রায় প্রতিটি রান্নাতেই ব্যবহার করা হয় ধনে পাতা। পশ্চিমবঙ্গে শীতকালে ব্যবহার করা হলেও ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে গোটা বছরই ধনে পাতার ব্যবহার হয়। রান্নায় গন্ধ বাড়ায়। পাশাপাশি একটি মিন্টের কাজ করে।
যাইহোক ধনে কিন্তু ওষুধ। রান্না ঘরে রাখা সাধারণ এই মশলাতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, খনিজ লবণ। ধনে বীজ আর পাতায় রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি বাকটেরিয়াল। বিশেষজ্ঞদের কথায় ধনে পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি কোলেস্টোরল বাড়ায়। ইমিউনিটি বৃদ্ধি, ডায়াবেটিশ নিয়ন্ত্রণ ও রক্তস্রাবের সমস্যা মেটাতে ধনের জুড়ি মেলা ভার। করোনাকালে দেশের আযূশ মন্ত্রকও ধনে খাওয়ার ওপর জোর দিয়েছিল। বলা হয়েছিল ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য রোজ সকালে অল্প গরম জলে ধনের গুঁড়ো ভিজিয়ে খেতে হবে।
ধনের জল তৈরি করার উপায়ঃ
১০ গ্রাম ধনে বীজ গুঁড়ো করে নিন। ২ লিটার জলে তার ভিজিয় রাখুন সারা রাত। সকালে চামচ দিয়ে নেড়ে তা পান করন।
ধনের জলের উপকারিতা-
ধনের জল একদিকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অন্যদিকে এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। তা শরীরে ফ্রি ব়্যাডিকাল কমাতে সাহায্য করে। যা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।
ধনের জল হজম শক্তি বাড়ায়, পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখে।
ধনের জন ডায়াবেটিশ নিয়ন্ত্রণে রাখে। সুগারে আক্রান্তদে রোজ এক গ্লাস এই জল পান করা উচিৎ।
ধনের জল শরীরে ডিটক্স হয়। শরীরে থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়।
ধনের জন চুল মজবুত করতে সাহায্য করে। যাদের চুলের ডগা ফাটা তারা এই জল পান করলে বিশেষ উপকার পাবেন।
ধনের জন ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে তা অবশ্যই সকালে খালি পেটে খেতে হবে।
যাদের শরীর গরম তারা এই জল নিয়মিত পান করলে সুফল পাবেন।
আর্থারাইটিসের সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা এই ঘরোয়া ওষুধ ব্যবহার করলে কিছুটা ব্যাথার হাত থেকে রেহাই পাবেন।
ধনের জল নিয়মিত পান করলে কিডনির সমস্যার সমাধান হয়।