চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ভক্তদের একরাশ লজ্জা উপহার দিল বার্সেলোনা। ৮-২ ফলে বার্সাকে রীতিমতো পর্যদুস্ত করে সেমি ফাইনালের টিকিট ছিনিয়ে নিল বায়ার্ন মিউনিখ। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকে ম্যাচের শেষ মিনিট অবধি বার্সাকে নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করলো বাভারিয়ান নেকড়েরা। তাদের ভয়ংকর প্রেসিংয়ের সামনে তাসের ঘরের মতো চুরমার হয়ে গেল বার্সেলোনার রক্ষন। খুব সম্ভবত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সবথেকে স্মরণীয় কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ হিসাবে নিজের জায়গা নিশ্চিত করলো গতরাতের বার্সা বনাম বায়ার্ন ম্যাচ।
আরও পড়ুনঃপ্রকাশিত হয়েছে কোপা আমেরিকার দিনক্ষণ, দেখে নিন কবে থেকে প্রতিযোগিতায় নামবেন মেসি, নেইমাররা
ম্যাচের শুরু থেকেই মারাত্মক প্রেসিংয়ে বার্সা রক্ষণের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল বায়ার্ন। ফলস্বরূপ মাত্র ৪ মিনিটে টমাস মুলারের গোল। এরপর বার্সার প্রতি-আক্রমণ সামলাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন বায়ার্ন ডিফেন্ডার ডেভিড আলাবা। ওখানেই শেষ, তারপর থেকে ম্যাচের রাশ পুরোপুরি নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় বায়ার্ন মিউনিখ। ২২, ২৭ এবং ৩১ মিনিটে যথাক্রমে পেরিসিচ, গ্যানাবরি এবং মুলারের দ্বিতীয় গোলের দৌলতে প্রথমার্ধেই ৪-১ গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৭ মিনিটে সুয়ারেজ গোল করে ব্যবধান কমালেও ৬৩ মিনিটে আলফানসো ডেভিসের দুর্দান্ত দৌড় এবং তারপরে তার বাড়ানো বল থেকে কিমিচের গোল বুঝিয়ে দেন যে বার্সার এই ম্যাচ জেতার ভাবনা কেবলমাত্র একটি অলীক স্বপ্ন। ৮২ মিনিটে পরিবর্ত হিসাবে নামা ফিলিপ কুটিনহোর পাস থেকে নিজের এই মরশুমের ১৪ নম্বর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ গোলটি করে যান লেয়নডস্কি। বার্সার যাবতীয় বঞ্চনার জবাব দিয়ে ৮৫ এবং ৮৯ মিনিটে দুটি গোল করে বার্সার কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন কুটিনহো।
আরও পড়ুনঃচ্যাম্পিয়ন্স লিগে অঘটন, লেপজিগের কাছে হেরে বিদায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের
গত কয়েকবছরের নিয়ম মেনে বড় ম্যাচে আবার পারফরম্যান্স করতে ব্যর্থ লিওনেল মেসি। সুয়ারেজ ছাড়া বার্সেলোনার বাকি সকলের আচরণে লড়াই করার ইচ্ছেটুকু খুঁজে পাওয়া যায়নি। ম্যাচের পর বার্সা ডিফেন্ডার জেরার পিকে জানিয়েছেন দলের প্রতিটি বিভাগে বড় পরিবর্তন দরকার। এদিকে ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতে টমাস মুলার হুংকার ছেড়েছেন। জানিয়ে দিয়েছেন এই বায়ার্ন মিউনিখ কাউকে ভয় পায় না এবং রাস্তায় যেই আসুক না কেন, তারা ছেড়ে কথা বলবেন না। আলফানসো ডেভিস, মুলার, ম্যানুয়েল নয়্যার, ফিলিপ কুটিনহো-রা শুধু মুখে নয়, কাজেও করে দেখালেন যে তারা সেরা। এরপরেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ট্রফি তাদের হাতে না উঠলে আশ্চর্য হতে হবে।