বড় ম্যাচের বাকি চারদিন, সান্টোসের জোড়া গোলে বড় জয় পেল লাল-হলুদ

  • কলকাতা ডার্বির আগে বড় জয় পেল ইস্টবেঙ্গল
  • বুধবার নিজেদের মাঠে ৩-০ গোলে পরাজিত করল এরিয়ান ক্লাবকে
  • হাইমে কোলাদো করলেন জোড়া গোল
  • গোলের খাতা খুলেছিলেন লালরিন্ডিকা রালতে

কলকাতা ডার্বির চারদিন আগে লিগে বড় জয় পেল ইস্টবেঙ্গল। বুধবার (২৮ অগাস্ট) নিজেদের মাঠে হাইমে কোলাদোর জোড়া গোল এবং লালরিনডিকা রালতের গোলে ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত করল এরিয়ান ক্লাবকে। গোলের ব্যবধান আরও বাড়তে পারত, যদি না এরিয়ানের গোলরক্ষক সৈয়দ আব্দুল কাদির গোটা ম্যাচ ধরে একের পর এক ভাল সেভ না করতেন।

দুই দলই শুরুটা করেছিল সতর্কভাবে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই দাপট দেখাতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। তবে ডিফেন্সিভ থার্ডে সৃষ্টিশিলতার অভাবে বার বার তারা আটকে যাচ্ছিল। এরমধ্যে প্রথমার্ধেই এমানুয়েল চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ায়, আরও বিপদে পড়ে এরিয়ান। কোচ দেবাশীষ নন্দী বাধ্য হয়ে ছকও বদলে দেন। সিঙ্গল স্ট্রাইকারে চলে যাওয়ায় এরিয়ানের আক্রমণের ধার আরও কমে যায়।

ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ৪৩তম মিনিটে প্রথম গোলটি করেন ডিকা। বাঁপ্রান্ত থেকে নিচু করে বক্সের মধ্যে একটি ক্রস ভাসিয়েছিলেন মনোজ মহম্মদ। বাঁ পোস্টে সেই বল ধরে পিছনে রালতের জন্য বাড়ান ব্র্যান্ডন। ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠের স্তম্ভ প্রথম সুযোগেই বল জালে জড়িয়ে দেন।

আরও পড়ুন - বিএসএসকে হারিয়ে সিএফএল -এ খাতা খুলল মোহনবাগান

আরও পড়ুন - বিএসএসের বিরুদ্ধে জয়, কলকাতা লিগে খাতা খুলল ইস্টবেঙ্গল

আরও পড়ুন - আমার আবেগের নাম ইষ্টবেঙ্গল! ক্লাব তাঁবুতে ফিরলেন ময়দানের বাদশা

আরও পড়ুন - শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গলের মান রাখলেন স্যান্টোস, বিদেশি স্ট্রাইকারের অভাব প্রকট

বিরতির পর আরই তেড়েফুড়ে উঠে আসে লাল-হলুদ। বিশেষ করে ডান প্রান্তে সামাদ ও ব্র্যান্ডনের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া দেখা যাচ্ছিল। গোল আসে ৬১তম মিনিটে, হাইমের যাদুতে। পরিবর্ত হিসেবে নামা রোনাল্ডো অলিভিয়েরার সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করতে করতে এরিয়ানের ডিফেন্স ভেঙে উঠে আসেন স্পেনিয় ফুটবলারটি, তারপর ছোট্ট টোকায় কাদিরকে বোকা বানিয়ে ডান প্রান্ত দিয়ে বল গোলে রাখেন।

তবে ম্যাচের সবচেয়ে দর্শনীয় গোলটি আসে ৮৯ তম মিনিটে। বক্সের মধ্যে ফাউল করা হয়েছিল অলিভিয়েরাকে। কিন্তু ফিরতি বল হাইমের পায়ে পড়ায় রেফারি খেলা চালু রাখেন। আর তার জন্যই বক্সের বাইরে থেকে গোলার মতো শটে হাইমের দর্শনীয় গোলটি আসে। দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কাদিরের কিছু করার ছিল না।

তবে এরিয়ানের এই ফুটবলারটির হাতে কিন্তু এদিন বিদ্যাসুন্দর ও সামাদ বারবার আটকে গিয়েছেন। ভালো মানের স্ট্রাইকার হাতে না থাকাটা কিন্তু বড় ম্যাচে লাল-হলুদকে ভোগাতে পারে। গত ম্যাচে অভিষেক হওয়া লাল-হলুদের নতুন স্পেনিয় স্ট্রাইকার মার্কোস দে লা এস্পাদাকে এদিন খেলাননি মেনেন্দেজ। ম্যাচের পর কোচ বলেছেন, এস্পাদার বিশঅরামম প্রয়োজন ছিল। বড় ম্যাচে খেলানো হবে কি না তা স্পষ্ট নয়।

তবে মেনেন্দেজ দলের খেলায় খুশি। তাঁর মতে প্রতি ম্যাচেই উন্নতি হচ্ছে লাল-হলুদের। একই সঙ্গে হাইমের দারুণ প্রশংসা করেছেন তিনি। বলেছেন হাইমে অনেক পজিশনে খেলতে পারে। এতে জল্পনা তৈরি হয়েছে বড় ম্যাচে বাইমেকে এস্পাদার সঙ্গে ফরোয়ার্ডে জুড়ে দেওয়া হবে কিনা। বিদ্যাসুন্দরের গোল মিসগুলিকে অবশ্য কোচ দুর্ভাগ্য বলেই মনে করছেন। আগামী রবিবার কিন্তু তাঁর বড় পরীক্ষা।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

দেবের সামনেই! ঘাটালে TMC-র শত্রু TMC! Dev ও শঙ্কর অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতি | Ghatal | Dev |
২৬ এর নির্বাচনে কী থাকবেন ফিরহাদ হাকিম? বাতলে দিলেন শমীক ভট্টাচার্য #shorts #shortsfeed #bjp #tmc
হাড়োয়ায় তৃণমূল জিততেই বিজেপি প্রার্থীর জমি তচনচ, ক্ষোভ উগরে যা বললেন Samik Bhattacharya
Sukhendu Sekhar কী বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে? জল্পনা উস্কে যা বললেন Agnimitra Paul
তন্ত্রযোগ? নাকি বৌমা ও ছেলেকে শিক্ষা দিতেই...আটক দাদু, ঠাকুমা ও জেঠিমা | Hooghly News Today