ইউয়েফার শেষ বৈঠকের পর পরিস্কার হবে কোন দেশে আয়োজিত হতে চলেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বাকি পর্ব। তবে শেষ মুহুর্তে যদি বড়সড় কোনও পরিবর্তন না হয় তবে পর্তুগালের লিসবনে আয়োজিত হতে চলেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বাকি অংশ। আগস্ট মাসে শুরু হওয়ার কথা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের। পরের সপ্তাহেই ইউয়েফার বৈঠকের পর পরিস্কার হয়ে যাবে কোথায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বাকি অংশের ম্যাচগুলো।
আরও পড়ুনঃমায়ের প্রেমিককে সমকামিতা নিয়ে কটাক্ষ,পুলিসি ঝামেলায় জড়ালেন নেইমার
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বাকি ম্যাচগুলো একটি বা খুব বেশি হলে দুটি স্টেডিয়ামের মধ্যে আয়োজনের কথা ভাবছে ইউয়েফা। এবং সেই দৌড়ে রয়েছে মোটামুটি তিনটে শহর। সেগুলি হল ফ্রাঙ্কফুট, মাদ্রিদ, মস্কো এবং লিসবন। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী হলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালটি অনুষ্ঠিত হত ইস্তানবুলে। কিন্তু ইউয়েফা চাইছে বাকি ম্যাচ সহ ফাইনালটি এমন একটি দেশের এমন কোনও একটি শহরে আয়োজন করতে যাতে খেলোয়াড় এবং ম্যাচ অফিসিয়ালদের খুব বেশি যাত্রা না করতে হয়।
আরও পড়ুনঃবল পালিশে থুতুর ব্যবহার বন্ধে বোলাররা রোবটে পরিণত হবে,মন্তব্য আক্রমের
আরও পড়ুনঃমরশুমের বাকি অংশে খেতাব নিশ্চিত করে তরুণ খেলোয়াড়দের বেশি সুযোগ দিতে চান জুর্গেন ক্লপ
সবদিক বিচার করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মাদ্রিদে আগের বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালটি হয়েছে। রাশিয়ায় করোনা ভাইরাসের অবস্থা ভালো নয়। সবদিক দিয়ে দেখে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুটের থেকে পর্তুগালের লিসবনকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জন্য উপযুক্ত মনে করা হচ্ছে কারণ পর্তুগালে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও কম। তাছাড়া কোন পর্তুগালের দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে না থাকায় সত্যিই পর্তুগাল একটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে পরিণত হবে। এছাড়া বেনফিকার ঘরের মাঠ এস্তাদিও দা লুজ এবং স্পোর্টিং সিপি-এর ঘরের মাঠ এস্তাদিও জোসে অভালাদে, দুটি স্টেডিয়ামের মধ্যে দূরত্ব মাত্র ২ কিলোমিটার। ফলে ম্যাচ আয়োজনে বাড়তি সুবিধা হবে ইউয়েফার। তাই মনে করা হচ্ছে প্রত্যেকটি লিগ শেষ হলে আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বাকি অংশ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত হবে।