সংক্ষিপ্ত

  • বল পালিশে লালার ব্যবহার বন্ধ নিয়ে মুখ খুললেন আক্রম
  • এত খেলা আরও ব্যাটসম্যান কেন্দ্রীক হবে বলে মত তার
  • আক্রমের মতে থুতুর ব্যবহার বন্ধে বোলাররা পরিণত হবে রোবটে
  • যদিও স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই নিয়ম মানতেই হবে বলে মনে করেন আক্রম
     

করোনা পরবর্তী সময়ে ক্রিকেটের ক্ষেত্রে একাধিক নয়া নিয়মাবলী তৈরী করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসি। তার মধ্যে অন্যতম হল বল পালিশে থুতুর ব্যবহার বন্ধ করা। আইসিসির নির্বাচিত অনিল কুম্বলের নেতৃত্বে ক্রিকেট কমিটি করোনা আবহে ক্রিকেটে কী কী নিয়ম আনা যায় তার একটি রিপোর্ট পেশ করে। কুম্বলের পেশ করা রিপোর্টের প্রায় সবকটি সিদ্ধান্তকেই বিচার বিশ্লেষণের পর মেনে নেয় আইসিসি। কিন্তু  বল পালিশে থুতুর ব্যবহার বন্ধ নিয়ে খুলেছিলেন অনেক ক্রিকেটারই। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন পাকিস্তানে প্রাক্তন কিংবদন্তী পেস  বোলার ওয়াসিম আক্রম। তার মতে বলে থুতু লাগানোর নিষেধাজ্ঞা বোলারদের রোবটে পরিণত করবে।

আরও পড়ুনঃমরশুমের বাকি অংশে খেতাব নিশ্চিত করে তরুণ খেলোয়াড়দের বেশি সুযোগ দিতে চান জুর্গেন ক্লপ

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে টেস্টে ৪১৪ ও একদিনের ক্রিকেটে ৫০২ উইকেটের মালিক আক্রম বলেছেন,'এটা বোলারদের রোবটে পরিণত করে তুলবে। কোনও সুইং ছাড়াই বল করবে ওরা। বলে থুতু লাগিয়ে পালিশ করে বড় হয়েছি আমি। সে ভাবেই সুইং করাতাম। তবে এই কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আমি সতর্কতা নেওয়ারই পক্ষপাতী। বোলারদের তাই বল পুরনো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সুইং পাওয়ার জন্য বল রাফ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ওদের।' এই নিয়মের ফলে খেলা অনেকটাই ব্য়াটসম্যান কেন্দ্রীক হয়ে পড়বে ও পেস বোোলারদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে বলে মনে করেন আক্রম।

আরও পড়ুনঃমায়ের প্রেমিককে সমকামিতা নিয়ে কটাক্ষ,পুলিসি ঝামেলায় জড়ালেন নেইমার

আরও পড়ুনঃকরোনা মুক্ত নিউজিল্যান্ড, কিউইদের দেশ হতে পারে টেস্ট ক্রিকেটের নয়া নিরেপক্ষ ভেন্যু

থুতুর ব্যবহারের বদলে ঘামের ব্যবহার করেও বলে সুইং করানো সম্ভব বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন ক্যারেবিয়ান কিংবদন্তী মাইকেল হোল্ডিং। বলে ঘাম ব্যবহার ও বল বিকৃতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুইংয়ের সুলতান জানিয়েছেন,'একটা গ্রহণযোগ্য সমাধান বের করা দরকার। ভেসেলিনের মতো কিছু ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু তা কতটা ব্যবহার করা যাবে? ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজেই বোঝা যাবে যে আইসিসির নিয়ম কেমন ভাবে পালিত হচ্ছে। কারণ, এমন অভিজ্ঞতা আমার আগে কখনও হয়নি।এটাও ভাবতে হবে। কখন থেকে বল বিকৃত করা যাবে? প্রথম ওভার থেকেই নাকি ২০-২৫ ওভারের পর? এগুলো নিয়ে আলোচনা দরকার।'  ফলে ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে আইসিসির নিয়ম মানতে হলেও, তাতে খেলা যে আর বেশি করে ব্যাটসম্য়ানদের হয়ে যাবে তা একপ্রকার মেনেই নিয়েছেন ওয়াসিম আক্রম।