এটিকে সঙ্গে গাঁটছড়া বেধে চলতি মরসুমে আগেই আএএসএল খেলা পাকা করে ফেলেছিল মোহনবাগান। অপেক্ষা ছিল শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। শুক্রবারই সেই অপেক্ষার সমাধান ঘটিয়ে নতুন ক্লাব রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে এটিকে মোহনবাগান। সামনে এসেছে নতুন লোগো ও জার্সি। এটিকে মোহনবাগানের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের পরই পড়শি ক্লাব ইষ্টবেঙ্গলের উপর পরোক্ষভাবে চাপ যে বেড়েছে, তা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। এই বছরই ইষ্টবেঙ্গলকে আইএসএলে না খেললে মুখ পুড়বে লাল-হলুদ কর্তাদের, সেই আলোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে ময়দানি বটতলায়। আর সব থেকে বড় বিষয় হল, সমর্থকদের চাপ ক্রমশ বাড়ছিল ক্লাব কর্তৃপক্ষের উপর।
আরও পড়ুনঃজার্সির রঙে বজায় থাকছে ঐতিহ্য,ভারতীয় ফুটবলে নতুন ইতিহাস এটিকে মোহনবাগান
আরও পড়ুনঃনয়া ইতিহাস গড়বে এটিকে মোহনবাগান, আত্মবিশ্বাসী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
এটিকে-মোহনবাগানের প্রথম বোর্ড মিটিংয়ের পর লাল-হলুদের অন্যতম শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের মতো তাদেরও তাড়াতাড়িই দেখা যাবে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে। দেবব্রত সরকার বলেন, ‘আমাদের নিশ্চিতভাবেই আইএসএলে দেখা যাবে। আপাতত এটুকুই শুধু বলতে পারি।’ যদিও তিনি এটাও জানান যে, তাঁদের প্রাথমিক লক্ষ্য কোয়েসের সঙ্গে সমস্যা মেটানো। শুধু কোয়েসের সঙ্গে সমস্যা মেটানো নয়, নতুন কোনও স্পনসর খুঁজতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে যারা আইএসএল খেলার মতো বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করবে ইস্টবেঙ্গলে। কাজটা যে মোটেই খুব একটা সহজ নয়,তা ভালই জানেন ইষ্টবেঙ্গল কর্তারা।
আরও পড়ুনঃবর্তমানে বিশ্বের সব থেকে 'সেক্সিয়েস্ট অ্যাথলিট', জানুন আলিশা স্মিডের কাহিনি
অপরদিকে, মোহনবাগানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর শনিবার আইএসএলের দল বেঙ্গলুরু এফসির মালিক পার্থ জিন্দাল ইষ্টবেঙ্গলের উদ্দেশ্যে একটি ট্যুইট করেন। সেই ট্যুইটে ইষ্টবেঙ্গলকে আইএসএলে আসার জন্য আহ্বান জানান বেঙ্গালুরু এফসির মালিক। তিনি লেখেন,‘চলে এসো ইস্টবেঙ্গল, ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ঢুকে পড়ো। এই মুহূর্তে লিগে একমাত্র তোমাদেরই অভাব রয়েছে।’ প্রথমত লাল-হলুদের অন্যতম শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারের লআইএসএল খেলার বিষয়ে আশ্বাস, অপরদিকে একইদিনে বেঙ্গালুরু এফসির মালিক পার্থ জিন্দালের ট্যুইট, দুই মিলে নতুন করে আশার আলো দেখছেন লাল-হলুদ সমর্থকরা।