বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আমফানে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোটা সুন্দরবনের। ঝড়ের তাণ্ডবে ভিটেমাটি হারিয়ে গৃহহীন হয়েছেন অগুনতি মানুষ। অনেক জায়গায় শুধু ঝড়ের তাণ্ডব নয়, নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম। কেউ ঠাঁই নিয়েছেন বড় রাস্তার ধারে। কেউ আবার ত্রাণ শিবিরে। অনেকেই রয়েছেন সামান্য নৌকাতেও। দুবেলা দিমুটো খাওয়ার টুকুও জোগার করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে দুর্গতদের। আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে শুধু সরকার নয়,ব্যক্তিগত উদ্যোগে সহায় সম্বলহীন গ্রামবাসীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিত্বরা। তেমনই সুন্দরবনের পাশে দাঁড়ালেন ফুটবলার শিল্টন পাল। তবে একা নয়, স্ত্রী সায়না ও শিল্টনের বেশ কয়েক জন বন্ধুও তাকে সহায়তা করছেন।
আরও পড়ুনঃ'সৌরভ চাইলে আইসিসির চেয়ারম্যান হতে পাকিস্তানের সমর্থনের দরকার পড়বে না'
রবিবার পাথরপ্রতিমার শ্রীধরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫০টি পরিবারের সদস্যদের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন শিল্টন। চাল, ডাল, আলু, তেল, নুন, শিশুদের জন্য গুঁড়ো দুধ, জলের বোতল, বিস্কুট, বাতাসা, চিঁড়ে, মুড়ি, ছাতু, সাবান, মাস্ক-সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিসই দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সের পুরুষদের জন্য পোশাক ও মহিলাদের জন্য শাড়িও দেন। এই মহৎ কাজে হাত মেলান স্ত্রী ও বন্ধুরা। শিল্টন বলেন, ‘ভয়ংকর আমফান সাইক্লোনে বিধ্বস্ত এখানকার মানুষ। বিপদের দিনে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এইসময় যদি সাধারণের সাহায্যে না এগিয়ে আসি, তবে আর কখন আসব? এটা আমাদের সকলের সামাজিক কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে।’
আরও পড়ুনঃ'কালু' শব্দের মানে জেনে ক্ষোভে ফুঁসছেন ড্যারেন সামি
আরও পড়ুনঃনেইমারের নামে বরাদ্দ ১০৫ ডলার করোনা ভাতার টাকা,আজব কাণ্ড ব্রাজিলে
শনিবার নামখানার পাতিবুনিয়া ও দাশনগরে ৩০০টি দুর্গত পরিবারের হাতে একইভাবে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিয়েছিলেন তাঁরা। বেশ কয়েক দিন ধরেই সুন্দরবন, নামখানা, পাথরপ্রতিমা এই সকল জায়গা ঘুরে পর্যবেক্ষণ করে শিল্টন পাল ও তার বন্ধুরা। তারপরই এলাকাভিত্তিকভবে এই ত্রাণ সামগ্রি তুলে দেন দুঃস্থদের হাতে। অসময়ে ফুটবলারের শিল্টন পালের এইভাবে পাশে দাঁড়ানোয় কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন সুন্দরবনের বাসিন্দারা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সুন্দরবনের এই দুর্গত এলাকায় চিকিৎসকদের নিয়ে এসে একটি মেডিক্যাল ক্যাম্প করারও ইচ্ছাপ্রকাশ করেন মোহনবাগানের গোলরক্ষক। শিল্টন পালের এই ভূমিকাকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন ক্রীড়া মহল।