
২০১৯-এর জানুয়ারি শেষবার কলকাতা ডার্বি জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। তারপর থেকে আর ডার্বিতে মশাল জ্বলেনি। আইএসএল-এ তো অবস্থা আরও করুণ। পরপর চারবার ডার্বি জিতেছে এটিকে মোহনবাগান। এই চারটি ম্যাচই হয়েছে গোয়ার দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। শনিবার দর্শকে ভরা মাঠে কি ফের জয় পাবে সবুজ-মেরুন শিবির? বাগানের কোচ হুয়ান ফেরান্দো ও সিনিয়র ফুটবলার প্রীতম কোটাল আশাবাদী। কোচ যেমন বলছেন, তিনি প্রতিপক্ষের বদলে নিজের দলকে নিয়েই ভাবছেন। প্রীতম আবার ইস্টবেঙ্গলকে গুরুত্বই দিচ্ছেন না। তিনি বরং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সামনে ডার্বি জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছেন। ইস্টবেঙ্গলের চেয়ে এটিকে মোহনবাগানের দল অনেক শক্তিশালী। বেশিরভাগ ফুটবলারই গত কয়েক মরসুম ধরে একসঙ্গে খেলছেন। ফলে দলে যেমন সংহতি, বোঝাপড়া আছে, তেমনই অভিজ্ঞতাতেও প্রীতম, শুভাশিস বসু, লিস্টন কোলাসোরা এগিয়ে। ফলে এবারও এটিকে মোহনবাগান কলকাতা ডার্বি জিততেই পারে। সবুজ-মেরুন জনতা আত্মবিশ্বাসী। তাঁরা প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্যে স্লোগান দিতে শুরু করেছেন, “যতবার ডার্বি, ততবার হারবি।”
ডার্বির আগের দিন সবুজ-মেরুন কোচ বললেন, “আমি আমার দল নিয়েই বেশি ভাবি। কারণ, প্রতিপক্ষ কেমন সেটা তো আর আমার হাতে নেই। প্রতিপক্ষ ভাল দল। ওদের দলে ভাল খেলোয়াড় আছে। কিন্তু আমি নিজের দলের উন্নতি নিয়েই বেশি ভাবি। প্রতিপক্ষকে নিয়ে কিছু ভাবছি না। কিছুদিনের মধ্যেই পরপর কয়েকটি ম্যাচ আছে। সেগুলো জেতাই এখন আমাদের লক্ষ্য। ছোটখাটো ব্যাপারগুলোতে আরও উন্নতি করতে হবে আমাদের।”
চলতি মরসুমের শুরু থেকেই এটিকে মোহনবাগানের রক্ষণ নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। ডার্বির ঠিক আগের ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ৫-২ গোলে জয় এলেও, সেই ম্যাচেও দলকে নির্ভরতা দিতে পারেনি রক্ষণভাগ। বিশেষ করে দুই বিদেশি ডিফেন্ডার ব্রেন্ডন হ্যামিল ও ফ্লোরেন্টিন পোগবাকে নিয়ে সমর্থকদের একাংশ হতাশ। এ বিষয়ে ফেরান্দোর বক্তব্য, “আমি বিদেশি ফুটবলারদের পারফরম্যান্সে খুশি। স্থানীয় ফুটবলারদের সাহায্য করাই বিদেশিদের লক্ষ্য। আমার দলের বিদেশি ফুটবলাররাও সেটাই করছে। আমার দলের ৬ জন বিদেশি ফুটবলারই তৈরি। রক্ষণে ভুলের পরিমাণ যাতে কমানো যায়, সেই চেষ্টা করছি।”
প্রীতম বলেলন, “জানি দাদা আসছে ম্যাচ দেখতে। আগের দিন আমাদের প্র্যাকটিসেও এসেছিল। আশা করি দাদার সামনে ভাল ফল করব আমরা। গত ৬টি ডার্বি জিতেছি আমরা। আশা করি এবারও ফল আমাদের পক্ষেই থাকবে। ২০১৩ থেকে ডার্বি খেলছি। এই ম্যাচের চাপ সামাল দেওয়া আমার কাছে নতুন কিছু নয়।”
আরও পড়ুন-