শনিবার চলতি মরসুমের আইএসএল-এ প্রথম কলকাতা ডার্বি। তার আগে এই ম্যাচ নিয়ে নিজের ভাবনা ও পরিকল্পনার কথা জানালেন ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এই প্রথম কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মুখোমুখি হচ্ছে এটিকে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। আইএসএল-এ এখনও পর্যন্ত কোনওবার পরপর ২ ম্যাচে জয় পায়নি ইস্টবেঙ্গল। সবুজ-মেরুনের সঙ্গে ৪ সাক্ষাৎকারেই হেরে গিয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। তাহলে কি শনিবার ফের যুবভারতীতে পালতোলা নৌকা তরতর করে ছুটবে? শনিবার সন্ধেবেলা ৯০ মিনিটের লড়াইয়ের ফল কী হবে সেটা এখন বলা কঠিন, তবে ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসী ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। ইস্টবেঙ্গল এফসি মিডিয়া টিমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডার্বি প্রসঙ্গে লাল-হলুদ কোচ বলেছেন, “আমার কাছে সব ম্যাচই সমান গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটা বলাই বাহুল্য যে বড় ম্যাচের আলাদা মাহাত্ম্য আছে। আমরা একটা জয় এবং অনেকটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে এই ম্যাচে নামব। চলতি মরসুমে (আইএসএল) এটা আমাদের চতুর্থ ম্যাচ হতে চলেছে। ক্রমশঃ আমরা উন্নতি করছি এবং খেলোয়াড়রা নিজেদের এবং সতীর্থদের ভূমিকা সম্পর্কে এখন আগের চেয়ে বেশি ওয়াকিবহাল। আমরা ডার্বি খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। আশা করি শনিবার আমরা ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ব।”
লাল-হলুদ জার্সি পরে শনিবার যাঁরা খেলতে নামবেন, তাঁদের অনেকেই এর আগে কলকাতা ডার্বি খেলেননি। এটা কি দলের কাছে সমস্যার বিষয়, না কি এর ফলে চাপ কম থাকবে? এ প্রসঙ্গে স্টিফেন জানিয়েছেন, “এই জিনিসগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ওদের ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা না থাকলে ওরা ২৯ তারিখ সেই অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। বড় ম্যাচে গ্যালারি ভর্তি দর্শক আসবে। আমরা জানি পশ্চিমবঙ্গে এই ম্যাচ নিয়ে কতখানি উদ্দীপনা থাকে। আবার বলি, কিছু খেলোয়াড়ের ডার্বি না খেলার বিষয়টি আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। যাদের সুযোগ প্রাপ্য তারা ঠিক সেদিন সুযোগ পাবে। আশা করি ওরা ওদের সেরাটা দেবে এবং আমরা লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব।”
চলতি আইএসএল-এ নিজেদের প্রথম দুটো ম্যাচেই হেরে যায় ইস্টবেঙ্গল। প্রথমে অ্যাওয়ে ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে ১-৩ গোলে হার, তারপর ঘরের মাঠে এফসি গোয়ার কাছে ১-২ গোলে হার। তৃতীয় ম্যাচে অবশ্য নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি-কে ৩-১ গোলে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এই জয় কি ডার্বির আগে দলকে অক্সিজেন দেবে? লাল-হলুদ কোচ জানালেন, “নর্থ-ইস্ট ম্যাচের আগে আমরা এক সপ্তাহ ধরে কঠোর অনুশীলন করেছিলাম। খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোচেরাও প্রচুর পরিশ্রম করছে। একটি দলে ম্যাচ ও অনুশীলন ছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকে। মরসুমের প্রথম জয় পেয়ে আমি বেশ খুশি। আশা করি আগামী কয়েক সপ্তাহে আমরা আরও উন্নতি করব। হাফ-টাইমের বিরতিটা কীভাবে ব্যবহার করতে হবে,সে বিষয়ে আমাদের কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। খুব বেশি সময় পাওয়া যায় না ঠিকই। আমরা খেলোয়াড়দের বলেছিলাম, প্রথমার্ধের দাপটটা যেন দ্বিতীয়ার্ধেও বজায় থাকে। আমাদের প্রতিপক্ষ দুটো ভাল সুযোগ তৈরি করেছিল কিন্তু আমরা ওদের গোল করতে দিইনি। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা খুব ভাল শুরু করি এবং কিরিয়াকু অনবদ্য একটি গোল করে আমাদের ২-০ এগিয়ে দেয়। ওই গোলটি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে আমরা ৩ পয়েন্টের জন্য খেলছি।”
আরও পড়ুন-