সংক্ষিপ্ত
চলতি মরসুমের ইন্ডিয়ান সুপার লিগ শুরু হয়েছে ৭ অক্টোবর থেকে। দু'সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে এই প্রতিযোগিতা। চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। লড়ছে কলকাতার দুই দলও।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগের চলতি মরসুমে এখনও পর্যন্ত সব দলই একাধিক ম্যাচ খেলে ফেলেছে। ইস্টবেঙ্গল ও নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফ সি খেলেছে তিনটি করে ম্যাচ এবং বাকি দলগুলি দু'টি করে ম্যাচ খেলেছে। শুরু থেকেই চলছে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কোনও দলই পিছিয়ে থাকতে নারাজ। কলকাতার দু'দলই প্রথম ম্যাচে হেরে যায়। ফলে শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে কোচিতে বিপক্ষ সমর্থকদের শব্দব্রহ্ম উপেক্ষা করে সহজেই কেরালা ব্লাস্টার্সকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দেয় এটিকে মোহনবাগান। হ্যাটট্রিক করেন অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার দিমিত্রি পেত্রাতস। গোল পান জনি কাউকো, লিস্টন কোলাসোও। অ্যাওয়ে ম্যাচে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিয়ে কলকাতা ডার্বির আগে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর সবুজ-মেরুন শিবির। ফুরফুরে মেজাজে ডার্বির জন্য তৈরি হচ্ছে হুয়ান ফেরান্দোর দল। অন্যদিকে, প্রথম ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে ১-৩ গোলে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘরের মাঠে এফ সি গোয়ার কাছে ১-২ গোলে হেরে যায় ইস্টবেঙ্গল। পরপর হার লাল-হলুদ শিবিরকে চাপে ফেলে দেয়। তবে বৃহস্পতিবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডকে অ্যাওয়ে ম্যাচে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্টিফেন কনস্টানটাইনের দল। আইএসএলে ১০ ম্যাচ পর জয় পেয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। এই জয় ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গল শিবিরের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে সমর্থকরা নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন। ডার্বির আগে কলকাতার দু'দলের আর কোনও ম্যাচ নেই। এখন এটিকে মোহনবাগান দু'ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলে পাঁচ নম্বরে। অন্যদিকে, তিন ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে লাল-হলুদ। লিগের এখনও অনেক ম্যাচ বাকি। লিগ টেবলে অনেক বদল আসবে। তবে যে দল ডার্বি জিতবে, তারা মানসিকভাবে অনেকটা এগিয়ে যাবে।
এবারের আইএসএল শুরুর আগে এটিকে মোহনবাগানের রক্ষণ ও আক্রমণভাগের শক্তি নিয়ে অনেকেই সন্দিহান ছিলেন। প্রথম ম্যাচে চেন্নাইয়িন এফ সি-র কাছে ১-২ গোলে হারের পর সবুজ-মেরুন কোচ ফেরান্দোকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে দলকে ভরসা দিয়েছেন স্ট্রাইকার পেত্রাতস ও ডিফেন্ডার ব্রেন্ডন হ্যামিল। মাঝমাঠে দুর্দান্ত খেলেছেন হুগো বুমোস, জনি কাউকোরা। উইংয়ে ঝড় তুলেছেন আশিস রাই। ফলে দল নিয়ে ফেরান্দোর বিশেষ চিন্তা নেই। ডার্বির আগে বেশ কয়েকদিন বিশ্রাম পাচ্ছে সবুজ-মেরুন শিবির। এই কয়েকদিনে দলকে আরও গুছিয়ে নেওয়াই এটিকে মোহনবাগান কোচের লক্ষ্য।
আইএসএলে যোগ দেওয়ার পর প্রথম দুই মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স একেবারেই অনুজ্জ্বল। এবারও শুরুটা খুব খারাপ হয়েছে। যদিও তৃতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দল। কোচ বারবার দাবি করছেন, তাঁরা প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় পাননি। কিন্তু সদস্য-সমর্থকরা এই অজুহাত শুনতে নারাজ। তাঁরা জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে নারাজ। বহুদিন ডার্বি জয়ের স্বাদ পায়নি লাল-হলুদ জনতা। ফলে ২৯ অক্টোবর এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জয় পেতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল শিবির। সমর্থকদের আশা, নর্থ-ইস্ট ম্যাচের ফর্ম ধরে রাখতে পারলে জয় আসবে।
আরও পড়ুন-
একটানা জ্বরে কাবু ফুটবল প্রশিক্ষক সুব্রত ভট্টাচার্য, টানা ৩ দিনের জ্বরের পর ধরা পড়ল ডেঙ্গি!
অ্যানির মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ক্রীড়া জগৎ, বাগান সমর্থকের শেষকৃত্যে এগিয়ে এল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ফ্যানস ক্লাব