করোনা ভাইরাস মহামারী না থাকলে এতদিনে ঢাকে কাছি পড়ে যেত ঘরোয়া ফুটবল মরসুমের। শুরু হয়ে যেত কলকাতা ফুটবল লিগও। কিন্তু মারণ ভাইরাসের কারণে বর্তমানে সবই স্থগিত। তারউপর দিনের পর দিন যেভাবে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে তাতে ফুটবল মরসুম শুরু করার বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ছে আইএফএ ও এআইএফএফ কর্তাদের। তবে নভেম্বর থেকেই কলকাতা লিগ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে আইএফএ-র। ততদিনে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদী ফুটবল কর্তারা। আর দীর্ঘ দিন ফুটবল না হওয়ায় বাংলার ফুটবল প্রেমীদের কথা ভেবে এক অভিনব চিন্তা ভাবনা করেছে আইএফএ। চলতি বছরের কলকাতা লিগ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে ইষ্টবেঙ্গল ও এটিকে মোহনবাগান ডার্বি দিয়ে।
এই বিষয়ে রাজ্য ফুটবল সংস্থার সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন,'এই মুহূর্তে বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের মন খারাপ। কারণ, খেলা হচ্ছে না। তাই তাঁদের ফুটবল আবেগের কথা মাথায় রেখেই ডার্বি দিয়ে প্রিমিয়ার শুরু করতে চাইছি আমরা। এ ব্যাপারে অগস্টে প্রিমিয়ার লিগের দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসব।' লিগ শুরুর সম্ভাব্য সময় প্রসঙ্গে জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেছেন,'১৭ নভেম্বর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রাক-বিশ্বকাপের ম্যাচ রয়েছে ভারতের। সেই ম্যাচের দু’-তিন দিন পরেই ডার্বি দিয়ে প্রিমিয়ার লিগ শুরু করতে চাই। তবে যুবভারতীতে জাতীয় দলের ম্যাচ ও আগামী বছরের শুরুতে অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলাদের বিশ্বকাপ আছে। তাই ডার্বির জন্য যুবভারতী পাওয়া সমস্যা হতে পারে। যুবভারতী একান্ত না পেলে বিকল্প হিসেবে সন্তোষপুরে কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে ডার্বি আয়োজনের কথা হয়েছে। সে ব্যাপারে প্রশাসন ও ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তা বলেছি। আশা করছি, ওঁদের পূর্ণ সহযোগিতা পাব।'
আরও পড়ুনঃঘরের মাঠে ব্রিটিশদের হার, চমক দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শুরু করল ক্যারেবিয়ানরা
আরও পড়ুনঃশুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ নয়,জিতল ক্রিকেট, শুভেচ্ছা বার্তা সচিন,কোহলির
তবে সবকিছুই নির্ভর করছে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির উপর। কারণ কোনওভাবেই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ আইএফএ ও সর্ব ভারতীয় ফুটবল সংস্থার কর্তারা। কিন্ত যদি সত্যিই কলকাতা লিগের শুরু মেগা ডার্বি দিয়ে হয়, তাহলে তা বাড়তি মাত্রা পাবে সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এর আগে ১৯৯৬ সালে ডার্বি দিয়েই শুরু হয়েছিল কলকাতার সুপার ডিভিশনের খেলা। রাজ্য ফুটবল সংস্থার সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা শোনার পর এবারও ইষ্ট-মোহন ডার্বি দিয়েই ঘরোয়া ফুটবল মরসুম শুরুর আশায় বুক বাঁধছেন বাংলার ফুটবল প্রেমিরা।