১৯৯০-এর পর ২০২০। ৩০ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটেছে বিশ্বজুড়ে লিভারপুল ভক্তদের। সাত ম্যাচ বাকি থাকতেই ইতিহাস গড়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে য়ুর্গেন ক্লপের দল। ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন ক্লপ ও সালহা, ফির্মিনো, মানে, হেন্ডারসনরা। লিগ জয় হতেই উৎসবে মাতেন লিভারপুল সমর্থকরা। আর এখানেই ঘটেছে বিপত্তি। সমর্থকদের বাঁধনছাড়া উৎসবের কারণেই এবার হয়তো শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে লিভারপুলকে।
আরও পড়ুনঃফের কি তাহলে অলিম্পিকের আকাশে কালো মেঘ,অশনি সংকেত এক সমীক্ষায়
তিনদশক পর প্রিয় দলের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জয় নিশ্চিত হতেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন লিভারপুল সমর্থকরা। আনন্দে রাস্তায় বাঁধনছাড়া উচ্ছ্বাসে মাতেন হাজারে হাজেরে মাননুষ। করোনা আবহে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম শিকেয় তুলে পার্টিতে মজে থাকেন তাঁরা। লাঠিচার্জ করেও থামানো যায়নি সমর্থকদের উল্লাস। লাঠিচার্জ করেও বাগে আনা যায়নি লিভারপুল সমর্থকদের উল্লাস। এখনও লাগাতার চলছে তাদের সেলিব্রেশন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে লিভারপুল সমর্থকদের উল্লাসকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না স্থানীয় প্রশাসন। ম্যাচ খেলতে হতে পারে নিরপেক্ষ কোনও মাঠে।
আরও পড়ুনঃকরোনা আক্রান্ত অবস্থাতেই খুনের হুমকি পেলেন নোভাক জোকোভিচ
এখনও ইংল্যান্ডের করোন পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নয়। এই পরিস্থিতি লিভারপুল সমর্থকদের এই বাঁধনছাড়া উল্লাস করোনা আবহে রীতিমত মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠেথে প্রশাসনের কাছে। রাস্তায় সমর্থকদের এই উল্লাস বন্ধ না হলে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে প্রশাসন। সেক্ষেত্রে সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের কারণে খেসারত দিতে হতে পারে লিভারপুল ক্লাবকে। ইপিএলে বাকি তিনটি হোম ম্যাচ অ্যানফিল্ডে খেলা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন মহম্মদ সালহারা। এমনকি শেষ হোম ম্যাচের পর অ্যানফিল্ডে ইপিএল ট্রফি তোলার সুযোগও হারাতে হবে লিভারপুল ফুটবলারদের। প্রশাসনের তরফে এই সতর্কবার্তা হওয়ার পর সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য আবেদনও জানানো হয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে।