আইলিগের প্রথম ম্যাচটাই এবার খেলেছিল মোহনবাগান। আইজলের কৃত্রিম ঘাসের মাঠে গিয়ে গোল শূন্য ড্র করে এসেছিল কিভু ভিকুনার দল। প্রথম ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট পাওয়া গেলেও, ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচের মুখ থুবড়ে পরল মোহনবাগান। চার্চিল ব্রাদার্সের কাছে ২-৪ গোলে হারত হল সালভা চামারোদারে। আবার কলকাতার দলের বিরুদ্ধে দুরন্ত উইলিস প্লাজা। জোড়া গোল করে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারটা নিয়ে গেলেন ক্যারিবিয়ান স্ট্রাইকার। আর তাদের ঘরের মাঠে প্লাজার দাপুটে ফুটবল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেন সালভা চামারোরা। মোহনবাগানকে হারিয়ে আইলিগের শীর্ষে পৌছে গেল গোয়ার ক্লাব। ছয় পয়েন্ট পাশাপাশি গোল পার্থক্যেও ভালও জায়গায় দাঁড়িয়ে চার্চিল ব্রাদার্স।
আরও পড়ুন - ম্যাঞ্চেস্টার ডার্বিতে বর্ণ বৈষম্য মূলক কটুক্তির অভিযোগ, তদন্ত শুরু সিটি কতৃপক্ষের
কিন্তু প্রশ্ন ঘরের মাঠে এত খারাপ ফলের কারণ কী? চার্চিল ব্রাদার্স যে দুরন্ত ফুটবল খেলেছে এমনটা নয়। মোহনবাগান খারাপ ফুটবল খেলেছে এটাই সত্যি কথা। যেমন যঘন্য ডিফেন্স ততটাই খারাপ গোলকিপিং। আর স্ট্রাইকার নিয়ে যত কম কথা বলা যায় ততটাই ভাল। তাই ব্রিটো, বেইতিয়ারা যা সামান্য চেষ্টা করলেন সেটা বৃথাই গেল। খেলা শুরুর প্রথম মিনিটের মধ্যেই যখন মোহনবাগান প্রথম গোলটা খেল, তখনই দেখা গেল ডিফেন্সের করুণ আবস্থাটা। দুই স্টপারের মাঝা লাফিয়ে উঠে হেডে করে গোল করে গেলেন প্লাজা। ২৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটা করলেন রবার্ট প্রিমাস। এরপর পেনাল্টি থেকে একটা গোল শোধ করল মোহনবাগান। কিন্তু তিন মিনিটের মধ্যে প্লাজার একটা সাধারণ শট আটকাতে গিয়ে দিবজিতের যা অবস্থা হল সেটা দেখে চোখ বন্ধ করবেন তাঁর ভক্তরা।
আরও পড়ুন - হ্যাটট্রিক করে ব্যালেন ডি’অর সেলিব্রেট করলেন মেসি, পেছনে ফেললেন রোনাল্ডোকে
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে এসেও খেলায় কোনও উন্নতি করতে পারেনি মোহনবাগান। সালভা চামারো কেন যে মাঠে ছিলেন সেটা সবার কাছেই একটা প্রশ্ন। ৭৬ মিনিটে আরও একটা গোল করে বাগানের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিলেন আবু বাখর। ৯০ মিনিটে তরুণ ফুটবলার শুভ ঘোষ গোল করে ব্যবধান ৪-২ করলেন। প্রথম হোম ম্যাচ মোহনবাগানকে যে ধাক্কাটা দিল সেটা সেটা থেকে বেড়িয়ে আসতে না পারলে শুরুতেই লিগের স্বপ্ন শেষ হয়ে যেতে পারে। মোহনবাগানকে সবার প্রথমে খুঁজতে হবে গোল করার লোক। সমর্থকরা যে আর ধৈর্য ধরতে রাজি নন।
আরও পড়ুন - অনুশীলন শুরু করলেন ফুটবলার দেব, কোচের ভূমিকায় বাইচুং ভুটিয়া