এই মরশুমে অনেক বাঁধা বিপত্তি কাটিয়ে জুভেন্তাসের হয়ে সিঁরি আ জিতেছেন রোনাল্ডো। কিন্তু সিঁরি আ বাদ দিয়ে আরও তিনটি প্রতিযোগিতায় খেলেছিল জুভেন্তাস। তিনটিতেই তাদেরকে বিশ্রী ভাবে হারতে হয়েছে। প্রথমে ডিসেম্বর মাসে ইতালিয়ান সুপার কাপ ফাইনালে তাদের হারতে হয় লাৎজিওর কাছে। এর পর কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে পৌঁছলেও নাপোলির কাছে হারতে হয় তাদের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দল বিদায় নিয়েছে শেষ ষোলো পর্ব থেকে। তাই ভক্তরা চূড়ান্ত হতাশ।
আরও পড়ুনঃ'পাক সেনার উন্নতিতে অর্থের জোগান দিতে ঘাস খেয়েও থাকতে রাজি',মন্তব্য শোয়েব আখতারের
সেই হতাশা যে স্বাভাবিক তা মেনে নিচ্ছেন রোনাল্ডো। একইসাথে বলেছেন যে এই মরশুম যেভাবে শেষ হলো তা কাঙ্ক্ষিত ছিল না। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে লিগ জিতেছে জুভেন্তাস বলে জানিয়েছেন যিনি। কিন্তু ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণে যে তারা ব্যর্থ তা মেনে নিচ্ছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ভক্তদের প্রতি বার্তা দিয়েছেন এই মুহুর্তে হালকা ছুটি কাটিয়ে তারা নিজেদের ভুল ত্রুটি গুলি সম্পর্কে আলোচনা করে আগের চেয়েও শক্তিশালী হয়ে ফিরবেন। হাজার হতাশার মধ্যে রোনাল্ডোর এই অঙ্গীকার একটু হলেও স্বস্তি দিচ্ছে ভক্তদের।
আরও পড়ুনঃমহেশবাবুকে নিজের স্টাইলে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন ডেভিড ওয়ার্নার
ব্যক্তিগতভাবে ৩৫ বছর বয়সে এসেও এখনও খুব খারাপ খেলছেন না রোনাল্ডো। এই মরশুমে তিনি মোট ৫২ টি ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৪৮ টি। এরমধ্যে ৩৭ টি গোল করেছেন জুভেন্তাসের হয়ে এবং ১১ টি জাতীয় দল পর্তুগালের হয়ে। জুভেন্তাসের হয়ে এক মরশুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। এই মরশুমে ছুঁয়েছেন ১০০০ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের মাইলস্টোন। পেরিয়ে গিয়েছেন ৭০০ গোলের মাইলফলক। আরও একাধিক রেকর্ড করেছেন এই মরশুমে। কিন্তু পরের মরশুম চলাকালীনই তিনি পা দেবেন ৩৬ এ। পরের মরশুমে ক্লাব এবং দেশের হয়ে এই ফর্ম বজায় রাখতে পারবেন কিনা প্রশ্ন থাকে তা নিয়েই।