করোনা ভাইরাসের দ্বারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে অন্যতম ইতালি। সেই ইতালিতেও অবশেষে ফিরলো ফুটবল। লিগের বাকি অংশের ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে ঘরোয়া কাপ "কোপা ইতালিয়া"-র অবশিষ্ট অংশ আয়োজন করেছে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন। মহামারী শুরু হওয়ার আগে কোপা-ইতালিয়ার সেমিফাইনালের প্রথম পর্ব গুলি খেলা হয়েছিল। শুক্রবার মধ্যরাতে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল জুভেন্তাস এবং এসি.মিলান।
আরও পড়ুনঃআমফানে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ হাজার পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন সৌরভ
এসি.মিলান এবং জুভেন্তাস দুই দলের প্রথম পর্বের ম্যাচ আয়োজিত হয়েছিল স্যান সিরো-তে। এসি.মিলানের ঘরের মাটিতে আয়োজকরা সারা ম্যাচে এগিয়ে থাকলেও শেষ মুহুর্তে পেনাল্টি থেকে গোল করে ১-১ করে করেন রোনাল্ডো। কিন্তু এই রোনাল্ডোই দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে পেনাল্টি পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ রোনাল্ডো। ম্যাচের ১৬ মিনিটে তার মারা পেনাল্টি গোলকিপার কে পরাস্ত করলেও বারে লেগে ফেরে। তার পরমুহূর্তেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এসি মিলানের একমাত্র স্ট্রাইকার আঁন্তে রেবিচ। ফলে ১০ জনে বাকি ম্যাচ খেলতে হয় এসি.মিলান-কে। আগাগোড়া ডিফেন্স করে মাঝেমধ্যে কাউন্টার অ্যাটাকে চান্স তৈরি করলেও গোল করতে পারেনি তারা। জুভেন্তাসও তেমন কোনও সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ। ফলে ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয় এবং অ্যাওয়ে গোলের ভিত্তিতে ফাইনালে যায় রোনাল্ডোরা।
আরও পড়ুনঃলকডাউনে সঙ্গীন অবস্থা বাংলার ক্যারাটে প্রশিক্ষকদের, সাহায্য চেয়ে আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে
আরও পড়ুনঃবর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অভিনব উদ্যোগ ইপিএলের
১০ জন হওয়ার পরও এসি.মিলান কে একবারও বাগে আনতে পারেনি জুভেন্তাস। খেলোয়াড়দের মধ্যে দীর্ঘদিন ম্যাচ প্র্যাকটিসে অভাব চোখে পড়েছে। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ায় বেশ কয়েকবার ভুল হয়েছে তাদের। আপাত বিরক্তিকর ম্যাচে ম্যাচের সেরা বলা যায় মিলান গোলকিপার জানলুইগি ডননুমরা-কে। রোনাল্ডো, পাওলো দিবালা এবং আলেক্স সান্দ্রো-র তিন তিনটে নিশ্চিত শট গোল হওয়া থেকে বাঁচিয়েছে সে। শনিবার রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি নাপোলি এবং ইন্টার-মিলান। বিজয়ী দল ১৭ তারিখ রাতে ফাইনালে মুখোমুখি হবে জুভেন্তাসের।