সংক্ষিপ্ত

  • প্রায় তিন মাস ধরে লকডাউন চলছে রাজ্য জুড়ে
  • ফলে খারাপ অবস্থার সম্মুখীন হয়েছেন একাধিক ক্যারাটে প্রশিক্ষক
  • দীর্ঘদিন ধরে মাইনে পাচ্ছেন না তারা
  • সমস্যা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন তারা

মার্চ মাসের থেকে শুরু হয়ে এখনও অবধি চলছে লকডাউন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাজকর্ম শুরু করার অনুমতি দেওয়া হলেও অনেকগুলি ক্ষেত্র এখনও বন্ধ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হল ক্যারাটের প্রশিক্ষণ। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন একাধিক ক্যারাটে প্রশিক্ষক। লকডাউনের জেরে বাধ্য হয়েই আপাতত প্রশিক্ষণের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে তাদের। আরও কতদিন এই অচলাবস্থা চলবে সে সম্পর্কে আজই নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। ফলে চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে এই সমস্ত প্রশিক্ষকদের। 

আরও পড়ুনঃআমফানে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ হাজার পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন সৌরভ

হাজারেরও বেশি কোচ এই মুহুর্তে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করেন শুধুমাত্র ক্যারাটের প্রশিক্ষণ দিয়ে। ফলে প্রায় তিনমাস ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দিতে না পারায় বেতন পাচ্ছেন না তারা। সমস্যা শুধুমাত্র এতেই সীমাবদ্ধ নয়, তাদের মধ্যে অনেকেই ভয় পাচ্ছেন এই দীর্ঘ সময় কোচিং না নিতে পারার ফলে ছাত্র ছাত্রীরা উৎসাহ হারাবেন ক্যারাটের ওপর। ফলে যখন সবকিছু স্বাভাবিক হবে তখন ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যায় ভাঁটা পড়বে। অনেকে আবার প্রশিক্ষণের জন্য যে জায়গা ভাড়া নিয়ে থাকেন, লকডাউনের ফলে সেই সব জায়গার ভাড়া গুনতে পারছেন না। ফলে দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উড়ছে তাদের। 

আরও পড়ুনঃশতবর্ষে অভিনব উদ্যোগ ইষ্টবেঙ্গলের,সমর্থকদের জন্য স্য়ানিটাইজার আনছে ক্লাব

আরও পড়ুনঃআইপিএলের সম্ভাব্য দিনক্ষণ জানিয়ে দিলেন ব্রিজেশ প্যাটেল

তাদের এই দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন "ক‍্যারাটে অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল"। তাদের যাবতীয় সমস্যা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পিটিশন দাখিল করছে এই সংস্থা। তাতে যাবতীয় সমস্যা এবং কোচদের বর্তমান অবস্থার কথা জানিয়ে কোনও ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। সরকারের কাছে কেএবি অনুরোধ জানিয়েছে যাতে সরকার নির্দেশিত সমস্ত গাইডলাইন মেনে ওই ক্যারাটে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্য বিধি কঠোর ভাবে পালন করা হবে বলে জানিয়েছে কেএবি।