বিশ্ব জুড়ে বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। কোভিড ১৯-এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ক্রীড়া বিশ্বেও। বিশ্বের যেই দেশগুলিতে মারণ ভাইরাসের ব্যাপক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে তাদের মধ্যে স্পেন অন্যতম। স্পেনের অনেক ফুটবলারই বর্তমানে খেলেন ভারতে। কলকাতার ময়দানেও স্প্যানিশ ফুটবলারদের ছড়াছড়ি। বিশেষ করে ইষ্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ক্লাবে রয়েছে বেশ কিছু স্প্যানিশ ফুটবলার। করানো ভাইরাস সংক্রমণ রোধে প্রায় বিশ্বের সব দেশেই চলছে লকডাউন। যার ফলে দেশে ফেরা হয়নি কোলাডো, বেইতিয়াদের। স্পেনে তাদের পরিবারের লোকেরা ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্যে থাকলেও, দেশের ফিরতে পারেনি স্প্যানিশ ব্রিগেডরা। তবে এবার হয়তো ঘরে ফিরতে পারবেন কিভু বিকুনা, কোলাডো, বেইতিয়ারা। স্প্যানিশ দূতাবাসের তরফ থেকেই কিবু ভিকুনাদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃকিপিংয়ে ধোনির পরিবর্ত হয়ে স্নায়ূর চাপে ভুগছেন কে এল রাহুল
স্প্যানিশ দূতাবাসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ৫ মে একটি বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই বিমানে করেই দেশে ফিরবেন স্প্যানিশ প্লেয়ার ও কোচরা। এর আগেও বেইতিয়া-কোলাডোদের দেশে ফেরানোর জন্য দূতাবাসের তরফ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আই লিগ নিয়ে ফয়সালা না হওয়ায় ফিরতে পারেননি তাঁরা। ইতিমধ্যেই মোহনবাগানকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে দিয়েছে ফেডারেশন। এআইএফএফের তরফ থেকেও মরশুমে ইতি টানা হয়ে গিয়েছে। বাড়ি যেতে তাই আর কোনও বাধা নেই তাঁদের। বলা চলে এই পরিস্থিতিতে দেশে ফেরার জন্য মন ছটফট করছে তাঁদেরও।
আরও পড়ুনঃগড়াপেটার প্রস্তাব পেয়েও জানাননি বোর্ডকে,৩ বছরের নির্বাসিত উমর আকমল
আরও পড়ুনঃপিসিবির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাবে উমর, ভাইয়ের পাশে দাঁড়িয়ে জানালেন দাদা কামরান আকমল
জানা যাচ্ছে দিল্লি থেকে আমস্টারডম পর্যন্ত বিমানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে দূতাবাসের পক্ষ থেকে। সেখান থেকেই স্পেনে যাবেন কোলাডো, বেইতিয়া, কিভু বিকুনারা। তবে প্রশ্ন উঠছে দুই প্রধানের বিদেশি ফুটবলাররা দিল্লি যাবেন কিভাবে? জানা যাচ্ছে বিশেষ বাসে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হতে পারে স্প্যানিশ প্লেয়ারদের জন্য। স্প্যানিশ ব্রিগেডের সঙ্গে দেশে ফিরবেন কিবুর সহকারি টমাস আর ট্রেনার পাওলিস। টমাস পোল্যান্ডে আর পাওলিস লিথুয়ানিয়াতে থাকেন।তবে দেশে ফেরার জন্য আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে মোহনবাগানের ক্যারিবিয়ান ডিফেন্ডার ড্যানিয়েল সাইরাস,তাজিকিস্তানের তুরসনভ কিংবা ইস্টবেঙ্গলের কোস্টারিকান বিশ্বকাপার জনি আকোস্তাকে। ফলে দীর্ঘদিন ফর দেশে ফিরতে পারার খবরে খুশি স্প্যানিশ আর্মাডারা। তবে দেশে ফিরে করোনা ভাইরাসের সুরক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়ম মানতে হবে সকলকে।