২০০৬ সালে অগ্নিশপথ ছবির হাত ধরে টলিউডে ডেবিউ দেবের। বক্স অফিস সহ দর্শকের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ল এই ছবি। প্রথম ছবির ফ্লপ হয়েছে ঠিকই তবে তাতে মনবল হারাননি দেব। এক বছর পরই অভিনেত্রী পায়েল সরকারের বিপরীতে আই লাভ ছবিতে অভিনয় করে বক্স অফিসে সারা ফেললেন দেব। একেবারে আদর্শ কমার্শিয়াল হিরোর রূপে তাঁকে পেয়ে মহিলাভক্তদের সংখ্যাই নয় বাড়ল পুরুষভক্তদের সংখ্যা। রবি কিনাগীর পরিচালনায় এই ছবিতে অভিনয় করে দেবের কেরিয়ারে এল আমূল পরিবর্তন। তবে এই পরিবর্তন বেশি সময়ের জন্য ধরে রাখতে পারেননি দেব। আগামী ১৪ মাস কাজ পাননি তিনি।
কামব্যাক করলেন প্রেমের কাহিনি ছবিতে। কোয়েল মল্লিকের বিপরীতে তাঁকে দেখা গিয়েছিল এই ছবিতে। কন্নড় ছবি মুঙ্গারুর বাংলা রিমেক হল এই প্রেমের কাহিনি।
215
বক্স অফিসে ছবিটি তেমন ব্যবসা না করলে দর্শকের ছবিটি বেশ পছন্দ হয়। পাশাপাশি কোয়েল-জিৎ জুটি থেকে সকলের চোখ সরল দেব-কোয়েল জুটিতে।
315
এরপর চ্যালেঞ্জ ছবিতে দেবে পৌঁছলেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এই ছবিতে অভিনয়ের পর আনন্দলোক অ্যাওয়ার্ড পান সেরা অভিনেতা হিসেবে। এরপরই বক্স অফিসের কিং হয়ে উঠলেন দেব।
415
515
লে ছক্কা, দুই পৃথিবী, পাগলু, চ্যালেঞ্জ টু, খোকা ৪২০, রংবাজ, চাঁদের পাহাড়ের মত একের পর এক ছবিতে টলিউডে নিজের পাকা জায়গা করে নিলেন অভিনেতা।
615
কেবল দর্শকের ভালবাসা এবং বক্স অফিসের সাফল্যই নয়, বিভিন্ন পুরষ্কারের মাধ্যমেও সম্মানিত হন দেব। টেলি সিনে অ্যাওয়ার্ড, কলাকার অ্যাওয়ার্ড, ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ইস্ট।
715
এছাড়াও এনএবিসি আন্তর্জাতিক বাংলা ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। বিভিন্ন পুরষ্কারে সম্মানিত হওয়ার পাশাপাশি দেবের জনপ্রিয়তা, ফ্যান ফলোয়িংও ক্রমশ বেড়ে চলেছে।
815
বাংলা সিনেমার হাইয়েস্ট পেড অভিনেতাদের মধ্যে একজন হয়ে উঠেছেন তিনি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং জিতের পর তিনি সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পান এক একটি ছবির জন্য।
915
এই পরিমাণ জনপ্রিয়তার পরও দেবকে নিয়ে ট্রোলের সংখ্যা কিছুতেই কমত না একটা সময়। কখনও তাঁর অ্যাকসেন্ট নিয়ে তো কখনও তাঁর অভিনয়ের ক্ষমতা নিয়ে।
1015
দেবকে টার্গেট করেই ট্রোলারদের নানা কনটেন্ট উঠে আসত নিত্যদিন। আর সেটাকেই উল্টে টার্গেট করলেন দেব। পাল্টা জবাব হিসেবে ট্রোলকেই নিজের সঙ্গী বানালেন।
1115
বাংলার জনপ্রিয় ইউটিউবার বং গাইকে তাঁকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করলেও, বং গাইয়ের হাত ধরেই নিজের ছবি হইচই আনলিমিটেডের প্রচার করেন দেব।
1215
টলিউডে জিরো থেকে হিরো হওয়ার যাত্রাপথ মোটেই মসৃণ ছিল না দেবের। ফ্লপ, রিজেকশন, অপমান সহ্য করে আজ তিনি সাফল্যের ভিন্ন জায়গায় রয়েছে।
1315
টলিউডের নামি প্রযোজকদের বিরুদ্ধে গিয়ে নিজের প্রযোজনা সংস্থা খোলেন দেব। দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেনচার্স প্রাইভেট লিমিটেড। এই প্রযোজনা সংস্থা একের পর এক ভাল ছবি উপহার দিতে থাকেন দর্শকদের। চ্যাম্প, ককপিট, কবীর, হইচই আনলিমিটেড। একের পর এক ভিন্ন স্বাদের ছবি।
1415
এই প্রযোজনা সংস্থা এবং নিজের পি আর টিম দেব বানিয়েছেন বড় যত্নে। দেবের কথায়, তাঁর ছবি প্রচারের আইডিয়া দেখে যশ রাজ ফিল্মস থেকে ফোন এসেছিল দেবের কাছে। তারাও দেবের কাজে হতবাক।
1515
বেশ কয়েকটি ছবি ইতিমধ্যেই মুক্তির অপেক্ষায়। টনিক, হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী, কিশমিশ। টনিকে দেবের সঙ্গে মূল চরিত্রে দেখা যাবে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যাকে।