রোহিত সেন-নয়া ফেলুদার দাপট টলি-পাড়ায়, টোটা রায় চৌধুরীকে চিনতে কি তবে একটু দেরি হয়ে গেল

Published : Jun 23, 2021, 03:53 PM IST

সফল তো অনেকেই হন। তবে সেই সফলতা ধরে রাখার ক্ষমতা সবার মধ্যে থাকে না। আবার অনেকে এমনও আছেন, যাঁদের গুণের কদর বুঝতে সময় লেগে যায় বেশ খানিকটা। বাংলা, হিন্দি, তামিল এমনকি ক্যানাডিয়ান ছবিতে অভিনয় করা টোটা রায় চৌধুরী তাঁদের মধ্যেই একজন।  একের পর এক চোখ ধাঁধানো অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। তবে তিনি নাকি কখনোই অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেননি। নম্র, ভদ্র ও মিসুখে এর পাশাপাশি বলা চলে টলিউডের সবচেয়ে ফিট অভিনেতা তিনি। ভালো অভিনয় করেন, দেখতেও খারাপ নন, তাঁর ওপর সুদর্শন চেহারার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও সিনেমার কেন্দ্রিয় চরিত্র হয়ে উঠতে সময় লাগল বেশ খানিকটা। ক্রিটিকসদের মতে কিছু সিনেমায় তাঁর অভিনয় জাতীয় পুরুস্কারের দাবীদার ছিল, তবে তা স্বপ্নই রয়ে গেছে। এখানেও কি তবে নেপোটিসম পিছু ছারেনি? ফিরে দেখা পুষ্পরাগ রায় চৌধুরী থেকে টোটা রায় চৌধুরী হয়ে ওঠার যাত্রাটা ঠিক কেমন ছিল। 

PREV
112
রোহিত সেন-নয়া ফেলুদার দাপট টলি-পাড়ায়, টোটা রায় চৌধুরীকে চিনতে কি তবে একটু দেরি হয়ে গেল

কখনোই ভাবেননি অভিনেতা হবেন। অল্প বয়স থেকেই শরীরের প্রতি খুবই যত্নশীল ছিলেন টোটা। নিয়মিত শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করতেন তিনি। মার্শালআর্টসেও পারদর্শী ছিলেন। 

212

সেন্ট জেভিয়াস কলেজ থেকে তিনি স্নাতক হন। কলেজে থাকা কালীনই তিনি ঠিক করেন আর্মিতে যোগ দেবেন। তাঁর জন্য সিডিএস(CDS) পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেন টোটা। 

312

সেই সময় ভাগ্যক্রমে বিখ্যাত পরিচালক প্রভাত রায় তাকে ‘লাঠি’ ছবিতে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ দেন। ১৯৯৬ সালে মুক্তি পায় টোটার প্রথম ছবি লাঠি। ছবিটি জাতীয় পুরষ্কার পায়, এবং ছবিতে টোটার অভিনয় প্রশংসা পায়।

412

এর পর থেকেই বেশ কিছু সিনেমার অফার আসতে থাকে টোটার কাছে। ছবিগুলো বাণিজ্যিকভাবে সফলও হয়। সেই সময় টোটা ঠিক করেন তিনি অভিনেতা হবেন। 

512

২০০৩ সালে মুক্তি পায় পরিচালক ঋতুপর্ণো ঘোষের ছবি ‘শুভ মহরৎ’। এই ছবিতে রাখি গুলজার, শর্মিলা ঠাকুর, নন্দিতা দাসের মতো কিছু বিখ্যাত অভিনেত্রীদের পাশাপাশি টোটার অভিনয় ছিল দেখার মতো। 

612

ওই বছরেই ঋতুপর্ণ ঘোষের আরও একটি ছবি ‘চোখের বালি’ মুক্তি পায়। এই ছিবিতে ঐশ্বর্য রাইয়ের বিপরীতে ‘বিহারী’ নামের চরিত্রে টোটার অভিনয় দর্শক এবং ক্রিটিকসদের মন জয় করে ফেলে। এর পাশাপাশি এই চরিত্রের জন্য তিনি বি এফ যে এ (BFJA) সেরা অভিনেতার এওয়ার্ড পান। 

712

এতো ভালো অভিনয় করা সত্ত্বেও, এর পর প্রায় ১৮ মাস টোটার কাছে কোন কাজ ছিল না। এই সময় তিনি বুঝতে পারেন  ইন্ডাস্ট্রিতে কাছের মানুষ গুরুত্ত কতোখানি। 

812

এর পর ২০০৬ সালে দোসর ছবির হাত ধরে ফিরে আসেন। তাঁর পরবর্তী সময় বেশ কিছু সিনেমাতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন। বলা বাহুল্য এই সব ছোট চরিত্র দিয়েই তিনি বার বার দর্শকদের ভালোবাসা কুড়িয়েছেন। 

912

২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বেশ কিছু কমার্শিয়াল বাংলা সিনেমায় নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেন। এর পাশাপাশি ওই সময় কিছু হিন্দি ছবি যেমন- তিন, কাহানী ২, ইন্দু সরকার, হেলিকপ্টার ইলাতে তাকে দেখা যায়। 

1012

টোটা একটি ক্যানাডিয়ান সিনেমা ‘রাঞ্ছি’ তে অভিনয়য়ের পাশাপাশি একটি তামিল সিনেমা ‘কাথি’ তেও অভিনয় করেন। সিনেমার পাশাপাশি বেশ কিছু টিভি সিরিয়াল ও ওয়েবেও কাজ করেন তিনি।

1112

এরই মঝে যেন হঠাৎ করে আবিষ্কার হয় নয়া রূপে টোটা। দর্শক আবারও নতু অভিনয় স্বাদে মনে স্থান করে দেন তাঁকে। এক সাক্ষাৎকারে আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন টোটা। 

1212

আর আজ রোহিত সেনের অ্যাপিয়ারেন্স থেকে শুরু করে নয়া ফেলুদা লুকে দাপট, নয়া প্রজন্মকে ছয় গোলে হারিয়ে স্টানিং অভিনয়ে ছক্কা হাঁকাচ্ছেন টোটা রায় চৌধুরী।  
 

click me!

Recommended Stories