সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অনেক মডেল এবং অভিনেত্রী রয়েছেন যাঁরা শুদুমাত্র তাঁদের সাহসী ছবি পোস্টের জন্যই সবসময় আলোচনায় তাকেন। এমন অনেকে আছেন, যাঁরা অন্য়ান্য মাধ্যম (টেলিভিশন, ফিল্ম বা বিজ্ঞাপন)-এ সেভাবে সুবিধা করে উঠতে না পারলেও স্রেফ ডিজিটাল মিডিয়ার দৌলতেই সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন। এমনই একজন ইনস্টাগ্রাম সেনসেশন হলেন সাক্ষী চোপড়া। তাঁর হট, এবং অর্ধনগ্ন ছবিগুলির কারণে সর্বদাই আলোচনায় থাকেন এই মডেল। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্বজুড়ে লকডাউন ও স্ব-বিচ্ছিন্নতার সময় তিনি শরীর থেকে সব পোশাকই ত্যাগ করলেন।
amartya lahiri | Published : Mar 25, 2020 12:00 PM IST / Updated: Aug 02 2020, 11:39 PM IST
নিজেকে মডেল, সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেত্রী হিসাবে পরিচয় দেন সাক্ষী। তবে তাঁর আসল পরিচয় ইউটিউবার ও ইনস্টাগ্রাম মডেল।
১৯৯৭ সালে মুম্বইয়ে জন্ম হয়েছিল সাক্ষীর। ২০১৬ সালে ইউটিউবে নিজের চ্যানেল খোলেন তিনি। সেই থেকে ক্রমেই তাঁকে নিয়ে শোরগোল বাড়ছে।
তাঁর তৈরি ইউটিউব ভিডিওগুলি এবং ইনস্টাগ্রাম ছবিগুলিতে তাঁর শরীরে পোশাক প্রায় থাকে না বললেই চলে। এই সাহসী অবতারের জন্যই সোশ্য়াল মিডিয়ায় শুধু ভারতেরই নয় বহু বিদেশী পুরুষেরও হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়।
তবে তাঁকে নিয়ে আলোচনার অন্যতম বড় কারণ হ'ল তিনি বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক রামানন্দ সাগরের নাতনি। টিভিতে রামায়ণ বানানোর জন্য রামানন্দ সাগর ভারতীয় বিনোদন জগতে চিরস্মরণীয়।
তাঁর নাতনি হয়েই প্রায় কাপড়চোপড় ছাড়া সাহসী ছবি পোস্ট করার জন্য সাক্ষী বহুবার ট্রোলডও হয়েছেন।
তবে তাকে থোরাই কেয়ার করেন তিনি। বরাবরই সমালোচকদের মুখের উপর আরও সাহসী ছবি পোস্ট করে তাঁদের চুপ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে সাগর পরিবারে বিবাহ হয়েছিল তাঁর মা মিনাক্ষী সাগর-এর। আর ২৬ বছর বয়সেই বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে সাক্ষীকে সিঙ্গল মাদার হিসাবে তিনিই বড় করেন।
মুম্বইয়ে জন্ম হলেও সাক্ষী তাঁর জীবনের অনেকটাই কাটিয়েছেন বিদেশে। লন্ডনের ট্রিনিটি স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় দ্য স্ট্রেসবার্গ থিয়েটার ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে চলচ্চিত্র নির্মানের কোর্স করেছিলেন।
আপাতত তিনি কর্মসূত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেস শহরেই থাকেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে গোটা বিশ্বের মতো লস এঞ্জেলেস-এও এখন লকডাউন ও স্ব-বিচ্ছিন্নতা চলছে। ঘরে বন্দি অবস্থায় এবার মাথায় টুপি আর হাত ও পায়ে কিছু অলঙ্কার ছাড়া শরীরের সব আবরণ ত্য়াগ করলেন। এই ছববি ইন্টারনেটে এখন ভাইরাল।
তবে এই প্রথম নয়, মাঝে মাঝেই এরেবারে বিনা সুতোয় ছবি পোস্ট করে থাকেন সাক্ষী চোপড়া। আর করোনাভাইরাস সংক্রমণের মতোই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা।
এমনকী হলিউড হিলস-এর মতো প্রকাশ্য জায়গাতেও বক্ষ উন্মুক্ত করে শুধু মাত্র বিকিনি পরে ছবি তুলতে সঙ্কোচ নেই তাঁর।
অন্তর্বাস মডেল হওয়ার জন্য সাক্ষীর দেহের গঠন একেবারে উপযুক্ত। পরিমাপ ৩২-২৪-৩৪।
আর সেই নিখুঁত দেহ কীভাবে মেলে ধরতে হয়, তা খুব ভালোই জানেন সাক্ষী।
তবে তাঁর নিজের কথায় তাঁর শরীরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অঙ্গ হল তাঁর নিতম্ব। সেই কারণে অনেকসময়ই তাঁকে পিছন ঘুরে ছবি তুলতে দেখা যায়।
নতুন নতুন জায়গায় বিশেষ করে সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়া সাক্ষীর খুব প্রিয়।
অনেকেই পুরুষই সাক্ষীকে তাঁদের জীবন সঙ্গিনী করতে চেয়েছেন। কিন্তু, এখনও মুক্ত বিহঙ্গ হয়েই রয়েছেন সাক্ষী। শোনা যায়, রোহিত গোলিয়া নামে একজনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তাঁর।
তবে তাঁর পুরুষ ভক্তকূল এই খবরকে পাত্তা দিতে নারাজ। বস্তুত তারা এটা মেনেই নিতে আগ্রহী নন।
তাঁদের কাছে সাক্ষী চোপরা শুধুই কামনা ও বাসনার মূর্ত প্রতীক।
তাই লক ডাউনে বাড়িতে স্বেচ্ছাবন্দি হয়েও তাঁদের ভাবনা নেই। আইসোলেশন থেকেই উত্তাপ বাড়িয়ে চলেছেন সাক্ষী।