মেডিটেশনের সময় গান শোনা কতটা উপকারী, এক নজরে দেখে নিন ১০টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে, স্ট্রেস (Stress) দূর করতে কিংবা মানসিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে মেডিটেশনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেকেই। মেডিটেশন (Meditation) করলে নেতিবাচক চিন্তা যেমন দূর হয়, তেমনই অপ্রীতিকর আবেগ দূর হয়ে থাকে। তেমনই বাড়ে মনোসংযোগ (Concentration)। যে কোনও কাজে যেমন উদ্যোগ বাড়ে, তেমনই বাড়ে গুণগত মান। এদিকে, সকাল বেলা গানে হেডফোন লাগিয়ে হাঁটতে (Walk) কিংবা দৌড়াতে (Run) দেখি অনেককেই। অনেকে মেডিটেশনের সময়ও গান শোনেন। আজ জেনে নিন মেডিটেশনের সময় গান শোনার উপকারিতা (Benefits)। আর মেডিটেশনের সময় কেমন গান চালাবেন। জেনে নিন বিস্তারিত।     

Sayanita Chakraborty | Published : Mar 16, 2022 6:38 AM IST / Updated: Mar 16 2022, 12:14 PM IST

110
মেডিটেশনের সময় গান শোনা কতটা উপকারী, এক নজরে দেখে নিন ১০টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

meditationগবেষণা বলছে, মেডিটেশন করার সময় গান শুনলে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ হ্রাস পায়। স্ট্রেস (Stress) বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে সাধারণ সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি। যদি কাজের চাপ বেশি হয়, তাহলে মানসিক চাপ বাড়বে। এই মানসিক চাপ থেকে মুক্তি মেলে মেডিটেশন করলে। যদি ধ্যানের সময় মনোরম ও মৃদু গান শোনেন, তাহলে মানসিক শান্তি পাবেন। আপনার জীবন থেকে চাপ দূর হবে। 

 

210

মানসিক চাপ দূর করতে, মানোসংযোগ বাড়াতে আমরা মেডিটেশন করি। এই সময় ভালো গান শুনে মেডিটেশন আরও গভীর হবে। গান শুনলে নিজের অভ্যন্তরীন শান্তি (Peace) ও সুখ (Happiness) বৃদ্ধি পায়। তাই অবশ্যই মেডিটেশনের সময় গান শুনুন। এতে একদিকে যেমন মানসিক চাপ মুক্ত থাকবেন, তেমনই বৃদ্ধি পাবে আপনার মানসিক শান্তি।  

 

310

শরীর সুস্থ রাখতে মেডিটেশনের ভূমিকা বিস্তর। মেডিটেশন (Meditation) শুধু মানসিক ক্ষত নিরাময় করে এমন নয়, সঙ্গে শারীরিক ক্ষতও নিরাময় করে থাকে। গবেষণা বলছে, মেডিটেশনের সময় গান শুনলে মেডিটেশনে মনোঃসংযোগ বাড়ে। একে শরীরের ওপর ভালো প্রভাব পড়বে। ফলে  মেডিটেশনের সময় আবশ্যই কোনও মৃদু সঙ্গীত চালান।    

 

410

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মেডিটেশন আপনার খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করে। অনেক সময় অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের জন্য শরীরে দেখা দেয় একাধিক রোগ। কিছু কিছু খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর জেনেও আমরা তা খেয়ে থাকি। যারা নিজের খাদ্যাভ্যাস (Food Habits) নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না, তারা এই স্বভাবের বদল করুন। রোজ মেডিটেশন করলে, তা আমাদের শরীর ও মনের ওপর ভালো প্রভাব ফেলে। তার এই সময় গান শুনলে নিজেই পার্থক্য লক্ষ করতে পারবেন। 

 

510

আবেগের সঙ্গে মনের ভারসাম্য বজায় থাকে মেডিটেশন করলে। আর মেডিটেশনের সময় গান শুনলে এর ভালো প্রভাব পড়ে মনের ওপর। ফলে, আবেগ ও মনের ভারসাম্য বজায় থাকে। এবার থেকে মেডিটেশনের সময় মৃদু গান চালান। এতে মানসিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা সম্ভব। মেডিটেশন করলে নেতিবাচক চিন্তা যেমন দূর হয়, তেমনই অপ্রীতিকর আবেগ দূর হয়ে থাকে। তেমনই বাড়ে মনোসংযোগ। 

610

যে কোনও কাজে যেমন উদ্যোগ বাড়ে, তেমনই বাড়ে গুণগত মান। গুণগত মান বাড়াতে নিয়মিত মেডিটেশন করুন। আর ধ্যান করার সময় অবশ্য গান চালাবেন। এতে মন শান্ত থাকবে। সঙ্গে বাড়বে মানসিক শক্তি। যা কাজের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে। কাজে উদ্যোগ এনে দেবে এই কাজ। তাই গুণগত মান বাড়াতে চাইলে নিয়মিত মেডিটেশনের সময় গান শুনুন। 

 

 

710

মন শান্ত রাখতে ও সমস্যা থেকে উদঘাটনে সাহায্য করে মেডিটেশন। বর্তমানে স্ট্রেসের সমস্যায় ভুগছেন সকলে। যার থেকে দেখা দিচ্ছে নানান শারীরিক জটিলতা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে অবশ্যই মেডিটেশনের সময় গান শুনুন। মনঃসংযোগ বৃদ্ধি করে গান। বর্তমানে মিউজিক থেরাপির মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার চিকিৎসা চলছে। তাই মেডিটেশনের সময় গান শুনলে পরোক্ষভাবে তা আপার স্বাস্থ্যের ওপর ভালো প্রভাব ফেলবে। 

 

810

Meditatiভিজুয়ালাউজেশনের ক্ষমতা বাড়ে গান শুনলে। যা আমাদের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে, সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে। গবেষকদের মতে, মেডিটেশনের সময় গান শুনলে এর ভালো প্রভাব পড়ে মনের ওপর। তাই অবশ্যই কোও ভালো মিউজিক চালান মেডিটেশন করার সময়। এতে যেমন মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে তেমনই বাড়বে ভিজুয়ালাউজেশনের ক্ষমতা। 

 

910

মেডিটেশনের সময় গান শোনা যে উপকারী, তা সকলেই শুনেছি। কিন্তু, কেমন মিউজিক শুনবেন তা নিয়ে নানা জনের মনে নানা রকম প্রশ্ন আছে। কোনও ইনস্ট্রুমেন্টাল মিউজিক শুনতে পারেন। ভুলেও কোনও দুঃখের গান শুনবেন না। এতে মন আরও ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। কোনও ক্লাসিকাল গান শুনতে পারেন। কোনও ইনস্ট্রুমেন্টাল মিউজিক অথবা যে কোনও ভালো সুদিং মিউডিক চালান।     

 

1010

আজকাল স্ট্রেসের সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে, স্ট্রেস দূর করতে কিংবা মানসিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে নিয়মিত মেডিটেশন করুন। এতে নেতিবাচক চিন্তা যেমন দূর হয়, তেমনই অপ্রীতিকর আবেগ দূর হয়ে থাকে। সঙ্গে মানসিক সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে প্রতিদিন নিজের জন্য নির্দিষ্ট সময় বের করুন।

 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos