Published : Jun 25, 2020, 06:10 PM ISTUpdated : Jun 25, 2020, 06:11 PM IST
শারীরিক রোগ থেকে মানসিক রোগ অনেক বেশি জটিল। আর এই রোগের কাছেই অবলীলায় হার মেনে নিচ্ছেন অনেকেই । একটাই শব্দ মানসিক অবসাদ। এই শব্দটাই তিলে তিলে শেষ করছে একাধিক প্রাণ। কত শক্তিই রয়েছে এই ছোট্ট শব্দটার মধ্যে যে মানুষের প্রাণ নিয়ে নিচ্ছে নিঃশব্দেই। এই মহাসঙ্কট কালে একাকীত্ব,নিঃসঙ্গতা,সামাজিক বিচ্ছিন্নতা কুরে কুরে খাচ্ছে তরুণ প্রজন্মকে। বয়স্কদের তুলনায় তরুণ-তরুণীরা অনেক বেশি শিকার হচ্ছেন মানসিক অবসাদের। জানুন কেন।
নিজেদের হতাশা, যন্ত্রণার কথা অনেকেই মুখ ফুটে বলতে পারেন না, আবার অনেকেরই মানসিক অবসাদ থাকলেও তা ধরাও পড়ে না। বলি অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু আরও একবার মনে করিয়ে দিল এই কঠিন রোগের কথা।
210
মানসিক রোগ একটি ভয়াবহ জটিল রোগ। বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে আমি, আপনি, যে কেউ এই পরিস্থিস্তির শিকার হতে পারি। কিন্তু এই সমস্যা নিয়ে মুখ বুজে থাকলেই বড় বিপদ।
310
কিন্তু আপনি বা আপনার পরিচিত যে কেই মানসিক অবসাদে ভুগছেন তা বুঝবেন কী করে। এটা একটি বড় বিষয়।
410
এই মহাসঙ্কটে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়ছেন মধ্যবয়সী তরুণ প্রজন্ম। সম্প্রতি গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
510
সমীক্ষায় দেখা গেছে, মধ্যবয়সীরা সবথেকে বেশি এই একাকীত্বে ভুগছেন। বয়স্করাই মূলত একাকীত্বে ভুগে থাকেন। কিন্তু সমীক্ষায় তাদের পরিবর্তে তরুণদের সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে।
610
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, মধ্যবয়সীদের থেকে তরুণ প্রজন্ম অনেকটা একা আবার বয়স্কদের তুলনায় মধ্যবয়সীরা একাকীত্বে ভুগছেন। পুরুষদের তুলনায় মহিলারা অনেক বেশি মানসিক অবসাদের শিকার।
710
চিকিৎসকদের মতে, যারা মানসিক অবসাদের শিকার তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। কিন্তু অনেকের মধ্যে আবার এরকম কোন লক্ষণও প্রকাশ পায় না।
810
বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে তো হবে অবশ্যই কিন্তু মানসিক দূরত্বটা যেন ঠিক থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দূরত্ব মানেই তার থেকে নিজেকে গুটিয়ে ফেলা তা কিন্তু নয়। পাশের মানুষটির মনের হদিশ অবশ্যই রাখতে হবে।
910
দিনের পর দিন হতাশা থেকেই নিজেকে হারিয়ে ফেলে মানুষ। বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাই তখন যেন শেষ হতে থাকে। সারাক্ষণ মনের মধ্যে অন্য চিন্তায় বিভোর হয়ে থাকেন এইসব ব্যক্তিত্বরা।
1010
শরীরের মতোন মনেরও ওষুধের দরকার। নিজের সমস্যা চেপে না রেখে মন খুলে কথা বলুন প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এই ধরনের মানুষকে কখনও একা ছাড়ূবেন না। যার সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে ভাল লাগে তাকে নিজের সবটা খুলে বলুন।