ওজন বাড়া থেকে ডায়াবেটিস, রসগোল্লা দেখলেই ভয় আর নয়, শেষপাতের মিষ্টি খেলেই কমবে কঠিন অসুখ
মাছে-ভাতে বাঙালির শেষপাতে মিষ্টি যেন চাই-ই চাই। অনেকের আবার মিষ্টি না হলে খাওয়াটা যেন পরিপূর্ণ হয় না। কেউ কেউ স্বাস্থ্য় সচেতন হয়ে ইদানিং মিষ্টি খাওয়াটা কমিয়ে দিয়েছেন অনেকটাই। তবে এর সংখ্য়াটা খুবই কম। বেশিরভাগ বাঙালির মিষ্টি প্রিয়। কিন্তু শেষ পাতে এই মিষ্টি খাওয়ার অভ্য়েস শরীরের জন্য় কতটা ভাল, সেটা আমরা অনেকেই জানি না। তাহলে জেনে নেওয়া যাক শরীরের জন্য কতটা উপকারি মিষ্টি।
জন্মদিন, বিয়েবাড়ি, রোস্তোরাঁ কিংবা বাড়ির যে কোনও অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত তেল মশলা খাওয়া হয়। তারপর যদি একটা মিষ্টি খেয়ে নেন তাতে শরীরের খুব একটা ক্ষতি হয় না।
কারণ বিশেষজ্ঞের মতে, অতিরিক্ত পরিমাণে তেল, মশলা খেলে অ্য়াসিডের ক্ষরণ অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই মশালাদার খাবারের পরে মিষ্টি খেলে সেই অ্য়াসিডের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়।
এতে পরিপাকক্রিয়াও ভাল ভাবে হয়। এছাড়া অতিরিক্ত তেলেভাজা খেলেও শরীরে রক্তচাপ কমে যায়, ঠিক তখনও একটা মিষ্টি রক্তচাপ কমিয়ে ওষুধের মতোন কাজ করে।
মিষ্টি খেলে অ্য়াসিডের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। রক্তচাপ কমিয়ে ওষুধের মতোন কাজ করে মিষ্টি। বেশি পরিমাণে মিষ্টি খেলে শরীরে ফ্য়াটের পরিমাণ বাড়তে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মিষ্টি খান।
শেষ পাতে মিষ্টি খেলে শরীরে সেরিটোনিন নামের হরমোনের ক্ষরণ হয়। ফলে আনন্দের অনুভূতিও তৈরি হয়। মিষ্টির হাজারো ভাল গুন থাকলেও একটা কথা কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না। মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় যে কোনও খাবার বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে ফ্য়াটের পরিমাণ বাড়তে থাকে।
সেইজন্য় অতিরিক্ত মিষ্টি শরীরের জন্য়ও কখনওই ভাল নয়। অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে শরীরে বাড়তি মেদ জমবে ভবিষ্য়তে যা থেকে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা মিষ্টি যতটা পারবেন এড়িয়ে চলুন। যদি খুব খেতে ইচ্ছে হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপরই খান।