কাজ করতে বসলেই ঘন ঘন হাই, রইল অবাঞ্ছিত হাই বন্ধের টিপস

সারারাত ভালো করে ঘুমালেন। এরপর সকালে উঠে অফিসে গিয়েছেন। কিন্তু, চেয়ারে গিয়ে বসতে বসেই যেন যত রাজ্যের হাই আপনার মুখে এসে জড়ো হল। তা যেন কিছুতেই থামতে চায় না। যতই কফি খান না কেন কিছুক্ষণ বন্ধ থাকার পর ফের আবার একই সমস্যা দেখা যায়। আপনার পাশে থাকা অনেকেই এতে বিরক্ত হন। তাই এই অবাঞ্ছিত হাই বন্ধ করার কয়েকটি টিপস মেনে চলুন...

Maitreyi Mukherjee | Published : Jul 20, 2021 12:17 PM IST

16
কাজ করতে বসলেই ঘন ঘন হাই, রইল অবাঞ্ছিত হাই বন্ধের টিপস

শরীরে অক্সিজেনের অভাব হলেও অনেক সময় হাই ওঠে। যখনই দেখবেন খুব বেশি হাই উঠছে তখন নাক দিয়ে জোরে নিশ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে তা ছাড়ুন। বেশ কয়েকবার এটা করার পর ধীরে ধীরে হাই ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে। আর এভাবে আপনার শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণও সঠিক হয়ে যাবে। 

26

খুব বেশি হাই উঠলে ঠান্ডা পানীয় খান। কোল্ড ড্রিংস থাকলে তা খেতে পারেন। কারণ সোডা আর কার্বোনেটেড হাই বন্ধ করার জন্য খুবই উপকারী। তবে হাতের কাছে কোল্ড ড্রিংস না থাকলে ঠান্ডা জল খান। তাই হাই তোলার বাতিল থাকলে অফিস বা কারও বাড়িতে অবশ্যই সঙ্গে করে ঠান্ডা জল নিয়ে যান।

36

ঠান্ডা খাবারও হাই বন্ধ করার জন্য উপকারী। এখন বেশিরভাগ অফিসই চলছে বাড়ি থেকে। তাই প্রায় সবার বাড়িতেই ফ্রিজের মধ্যে ফল থাকে। কাজ করতে করতে হাই উঠলে ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা ফল খান। ফল না থাকলে ফ্রিজে থাকা কোনও ঠান্ডা খাবার একটু খেতে পারেন। তবে ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে তার কোনও প্রয়োজন নেই। আইসক্রিমও খেতে পারেন। অনেক সময় শরীরে শর্করার পরিমাণ কমে যায়। তার জন্য ক্লান্তি বাড়ে। তাই মিষ্টি শরীরে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।

46

অনেক সময় অফিসের জন্য আমাদের ঘুমের সময় এক থাকে না। তার জন্যও ক্লান্তি দেখা যায়। এর ফলেও হাই ওঠে। তাই যতটা সম্ভব একই রুটিন মেনে চলুন। এক সময় খাওয়া, ঘুমানো এগুলি করুন। দেখবেন বডি সাইকেল ঠিক থাকলে ক্লান্তিও আপনাকে ছুঁতে পারবে না। আর রাতে অবশ্যই ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। 

56

 কাজের চাপ থাকলেও দীর্ঘক্ষণ একভাবে বসে কাজ করবেন না। এতে ক্লান্তি আসে। তাই কাজ থেকে মাঝে মধ্যেই উঠে একটু হেঁটে নিন। কারও সঙ্গে কথা বলুন বা ছাদে গিয়ে একটু হেঁটে নিতে পারেন। তাহলে দেখবেন ক্লান্তি লাগবে না। আর মনও অনেক বেশি চনমনে থাকবে। 

66

শরীরকে তরতাজা রাখার জন্য যোগা খুবই উপকারী। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে যোগা করুন। সকালে সময় না পেলে বিকেলে করতে পারেন। শরীরে টক্সিন ও অতিরিক্ত ফ্যাট থাকার ফলে ক্লান্তি তৈরি হয়। তবে যোগার মাধ্যমে সেগুলি নিরাময় সম্ভব। দিনে অন্তত ২০ মিনিট যোগা করুন। তার সঙ্গে হেলদি খাবার খান। বাইরের খাবার খুব বেশি খাবেন না। এর মাধ্যমেও শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যাবে। 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos