হাড় থেকে ক্যালসিয়াম শোষণ করে, ঘটায় ক্যালসিয়ামের অভাব, খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন এই খাবারগুলো

সোডিয়াম যুক্ত খাবার যতটা পারবেন কম খান। অধিক নুন শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা হ্রাস করে। অস্টিওপোরোসিস রোগ হতে পারে ক্যালসিয়ামের অভাবে। এতে হাড় দুর্বল হয়ে যায় ও সহজে ভেঙে যায়। এশিয়া প্যাসিফিক জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশে প্রকাশিত একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, অধিক নুন খেলে রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। 

মিষ্টি জাতীয় খাবার হাড়ের জটিলতা বৃদ্ধি করে। মিষ্টি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। তেমনই হাড়ের জন্যও ক্ষতি কর। এটি হাড় থেকে ক্যালসিয়াম শোষণ করে হাড় দুর্বল করে দেয়। এবার থেকে যতটা পারবেন কম খান মিষ্টি জাতীয় খাবার। তেমনই চায়ে চিনি খাওয়া বন্ধ করুন। এতে বাড়তে থাকে শারীরিক জটিলতা। তবেই শরী থাকবে সুস্থ। 

সারাদিনে একাধিকবার কফি খাওয়ার অভ্যেস আছে অনেকের। এর কারণে হাড়ের সমস্যা তৈরি হতে পারে। ক্যাফেইন হাড় থেকে ক্যালসিয়াম শোষণ করে নেন। এতে হাড় দুর্বল হয়ে যায়ষ তাই সুস্থ থাকতে চাইলে বারে বারে কফি খাওয়ার অভ্যেস ত্যাগ করুন। যতটা পারবেন এড়িয়ে চলুন ক্যাফেইন। এতে শরীর থাকবে সুস্থ। 

সোডা প্রায় সকলেরই পছন্দের তালিকায় রয়েছে। জানেন কি সোডা পান করা আপনার হাড়ের জন্য ক্ষতিকর। এটি মহিলাদের হিপ ফ্যাকচারের ঝুঁকি বাড়ায়। আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রেশন - এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, সোডা খেলে শরীরে ক্যালসিয়াম করতে থাকে। সোজা হাড় দুর্বল করে দেয়। বৃদ্ধি করে শারীরিক জটিলতা। 

প্রোটিনের খোঁজে নিত্যদিনই চিকেন বা মুরগির মাংস খেয়ে চলেছে সকলে। কিন্তু, জানেন কি অধিক মাংস খাওয়ার কারণে কমতে পারে ক্যালসিয়াম। মুরগির মাংস বেশি খেলে হাড়ের ক্ষতি হতে পারে। এটি হাড় থেকে ক্যালসিমা শোষ করে রক্তে পিএইচ পরিবর্তন করে থাকে। এর ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। তাই অধিক চিকেন খাওয়া বন্ধ করুন। 

হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে মদ্যপান বন্ধ করুন। ন্যাশনাল অস্টিওপোরোসিস ফাউন্ডেশন অনুসারে, দিনে ২ থেকে ৩ গ্লাসের বেশি মদ্যপান করলে হাড়ে ক্যালসিয়াম কমতে থাকে। অন্য দিকে, মদ্যপানের অভ্যেস যে শরীরে নানান জটিলতা তৈরি করে তা আমরা সকলেই জানি। তাই সুস্থ থাকতে বন্ধ করুন মদ্যপান। 

সুস্থ থাকতে রোজ এক গ্লাস করে হলুদ দুধ খান। প্রথমে হলুদের টুকরো বেটে নিন। তা দুধ দিয়ে মিশিয়ে নিন। রোজ এই হলুদ দুধ খেতে শরীর সুস্থ থাকবে। এতে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে। প্রতিদিন এই দুধ খাওয়া চলে। এর গুণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। 

খেতে পারেন কাঠবাদাম। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে। ১০০ গ্রাম কাঠবাদামে ২৬৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। তাই রোজ ৪ থেকে ৬টি করে ক্যালসিয়াম খান। এতে শরীর থাকবে সুস্থ। দূর হবে যে কোনও শারীরিক জটিলতা। মেনে চলুন এই বিশেষ টোটকা সঠিক খাদ্যাভ্যাস শরীর রাখুবে সুস্থ। দূর করবে যে কোনও জটিলতা। 

এছাড়া রোজ এক্সারসাইজ করুন। কাজের চাপের কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা একভাবে বসে থাকেন। কিন্তু, অফিসের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অসুস্থ হওয়ার কোনও মানেই নেই। তাই বারে বারে উঠুন। সারা দিনে যতটা পারবেন শারীরিক ভাবে অ্যাক্টিভ থাকার চেষ্ট করুন। কারে ফাঁকে একটু হাঁটা-চলা করুন। শারীরিক ভাবে অ্যাক্টিভ থাকলে শরীর তত সুস্থ থাকবে। 

রোজ ৭ থেকে ৮ গ্লাস করে জল খান। যে কোনও শারীরিক জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খাওয়া দরকার। জল ডিটক্স ওয়াটারের কাজ করে। শরীর রাখে সুস্থ।