চিন আর পাকিস্তানের মোকাবিলা করতে তৈরি হচ্ছে জোজিলা সুড়ঙ্গ, সারা বছরই করবে যান চলাচল

পূর্ব লাদাখ সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় চিনের সঙ্গে চলমান বিবাদের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থায় জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগেই শেষ হয়েছে আটল টানেল। আর তারপরই জোর দেওয়া হয়েছে জোজিলা টানেলের পর। জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে লে যাওয়ার রাস্তায় পড়বে জোজিলা টানেল। এট টানেলের কাজ শেষ হলে সারা বছরই লে-র সঙ্গে গোটা দেশের যোগাযোগ রাখা সম্ভবপর হবে। 
 

Asianet News Bangla | Published : Oct 15, 2020 11:34 AM IST / Updated: Oct 16 2020, 09:51 AM IST

18
চিন আর পাকিস্তানের মোকাবিলা করতে তৈরি হচ্ছে জোজিলা সুড়ঙ্গ,  সারা বছরই করবে যান চলাচল

 নির্মাণকাজ শুরু হয়ে গেল জোজিলা টানেলের। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকরি এই সুড়ঙ্গ নির্মাণ কাজের সূচনা করেন। এদিনই তাঁর তত্ত্বাবধানে প্রথম বিস্ফোরণটি হয়। 
 

28

নির্মাণকাজ শেষ হলে এটি হবে এশিয়ার অন্যতম দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ। এর দৈর্ঘ্য ১৪.১৫ কিলোমিটার। শ্রীনগর থেকে লে যাওয়ার পথে পড়বে এই সুড়ঙ্গ। 

38

শ্রীনগর -লে এক নম্বর ন্যাশানাল হাইওয়ের পর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার মিটার উচ্চতায় তৈরি হচ্ছে এই টানেল। এই সুড়ঙ্গপথ খোলা হলে সারা বছরই বিশেষত শীতকালে লে-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সম্ভব হবে। 
 

48

 বর্তমানে শ্রীনগর থেকে কারর্গিল দ্রাস হয়ে লে যেতে দীর্ঘ সময় লাগে। বছরের অধিকাংশ সময়ই এই রাস্তা বরফে ঢাকা থাকা। কিন্তু এই সুড়ঙ্গটি চালু হয়ে গেলে ৩ ঘণ্টার রাস্তা পার হতে সময় লাগবে মাত্র ১৫ মিনিট। 
 

58

প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী এই টানেলের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এটি তৈরিতে ব্যায় বরাদ্দ করা হয়েছে ৬,৮০০ কোটি টাকা। আর সেই সময় তিনি বলেছিলেন এটি সুড়ঙ্গ নয়, এটি হবে আধুনিক যুগের আশ্চার্য। 
 

68

বিশ্বের দুর্গমতম পথগুলির মধ্যে পড়ে জোজিলা পাস। সেই রাস্তাতেই তৈরি হচ্ছে জোজিলা টানলে। এটি কৌশলগত দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর টানেলের নির্মাণকাজ শেষ হলে আগামী দিনে লে-র পাশাপাশি গিলগিট ও বাল্টিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। 

78

শীতের সময় আবহাওয়া খারাপ থাকার জন্য বর্তমানে বছরের মাত্র ৬ মাসই লাদাখের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সম্ভব হয়। জোজিলা টানেল চালু হলে সেই সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে । 

88

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকরি নির্মাণ কাজের সূচনা করে জানিয়েছেন এটি একটি গর্বের মুহূর্ত। এই টানেল তৈরি হলে উপকৃত হবেন লাদাখের বাসিন্দারা। দীর্ঘ ৩০ বছর লাদাখের মানুষ এই সুড়ঙ্গের দাবি জানিয়ে আসছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos