মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাঁটার ক্ষমতা প্রায় কিংবদন্তি। তিনি মাইলের পর মইল হাঁটতে পারেন, দারুণ জোরে হাঁটতে পারেন। বৃহস্পতিবার অবশ্য তাঁকে দেখা গেল একেবারে অভূতপূর্ব ভূমিকায়। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এদিন ইলেকট্রিক স্কুটার চালালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে, ইতিহাসে বারবারই রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠেছে গরুর গাড়ি থেকে ট্রাক্টর - বহু যানবাহনই।
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এদিন গলায় পোস্টার ঝুলিয়ে স্কুটারে সওয়ারি হয়ে নবান্নে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্কুটার চালিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। ফেরার পথে অবশ্য খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই স্কুটার চলাতে দেখা যায়।
25
গরুর গাড়িতে বাজপেয়ী
কাকতালীয় হলেও এই পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্যই ১৯৭৩ সালে গরুর গাড়িতে চড়ে সংসদে এসেছিলেন তরুণ সাংসদ অটলবিহারি বাজপেয়ী। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী।
35
ট্রাক্টরে চৌটালা
২০১৭ সালে মোটর ভেহিকল আইনের পরিবর্তন করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাতে কৃষকদের দুর্দশা আরও বাড়বে বলে দাবি করে, আইন পরিবর্তনের প্রতিবাদ করে ট্রাক্টর নিয়ে সংসদে এসেছিলেন লোক জনশক্তি পর্চির নেতা দুশ্যন্ত চৌটালা।
45
সাইকেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য সংসদে এসেছিলেন সাইকেলে চড়ে। দিল্লির বায়ুদূষণের কথা মাথায় রেখে সাইকেল চালানোয় সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করার জন্যই সাইকেলে সওয়ার হন তিনি।
55
সাইকেলে বরিস জনসন
গত বছর জুলাই মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকেও সাইকেল চালাতে দেখা গিয়েছিল। স্থুলতার সমস্যা দূর করার জন্য তাঁর সরকার ২ বিলিয়ন পাউন্ড খরচা করে লন্ডনে সাইকেল চালানো এবং হাঁটার জন্য পৃথক রাস্তা তৈরি করেছে। সেই রাস্তাটির প্রচার করতেই সাইকেল চালিয়েছিলেন জনসন।