ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টাতে সবথেকে বেশি সমস্যা হয়। সর্দি-কাশি-জ্বর তো রয়েইছে এর পাশাপাশি ত্বকে এবং চুলেও হাজারো সমস্যা দেখা যায়। বর্ষাকালে চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি চুল পড়ে যাওয়া থেকে হাজারো সমস্যা দেখা যায়। স্যাঁতস্যাঁতে বর্ষায় চুলের স্বাস্থ্য এবং জৌলুস কীভাবে ধরে রাখবেন, রইল ঘরোয়া অব্যর্থ টোটকা।
বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ থাকে অনেক বেশি। যা আপনার ঘন, কালো চুলকে একেবারে রুক্ষ, শুষ্ক করে দিতে পারে। যার ফলে চুল পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
বৃষ্টির জল স্নানের জলে মিশলে সেই জলেওঅ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায় যার ফলে স্ক্যাল্প ভীষণভাবে রুক্ষ হয়ে যায় । পাশাপাশি স্ক্যাল্পের উপর আলাদা একটা আস্তরণ তৈরি করে। যার থেকে খুশকির সমস্যা দেখা যায়।
এছাড়ও বর্ষার স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় চুল শুকোতে অনেক বেশি সময় লাগে। এবং ভেজা বা আধভেজা চুল থেকে ইনফেকশন বা চুলকানির মতো সমস্যারও সৃষ্টি হয়।
শ্যাম্পু ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। কেনার সময় শ্যাম্পু এসএলএস ফ্রি কিনা দেখে তবেই কিনবেন। এসএলএস ফ্রি থাকলে চুলের ক্ষতি কম হবে।শ্যাম্পু করার পর চুলে অবশ্যই কন্ডিশনার লাগাবেন। এই সময় চুল রুক্ষ হয়ে পড়ে। তাই শ্যাম্পু করার সময় কন্ডিশনার মাস্ট।
হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে যতটা পারবেন চুল কম শোকান। কারণ বেশি হিটে চুলের গোড়া নষ্ট হয়ে যেতে পারে।গরম জলে শ্যাম্পু করবেন না। এতে চুল খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঠান্ডা জল দিয়েই শ্যাম্পু করুন। চুলের ডগা কিছুদিন অন্তর ছেটে ফেলুন। এতে চুল কম ফাটবে।
নিয়মিত চুলে তেল লাগান। প্রয়োজনে সারা রাত মাথায় তেল লাগিয়ে সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। মাথায় অয়েল ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। এবং চুলের গোড়া শক্ত হয়।
মাথার স্ক্যাল্পে ছুটির দিনে ভাল করে অ্যালোভেরা জেল লাগান। মিনিট ১৫ রেখে হালকা শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন।শ্যাম্পু করার সময় বেশি ঘসবেন না। আলতো ভাবে মাথা ঘসে নিন। বেশি জোরে ঘসলে চুলের গোড়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আবাহাওয়া পরিবর্তনে খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর দিন। খাওয়া-দাওয়ার ওপরও চুলের স্বাস্থ্য নির্ভর করে। বেশি পরিমাণে ফল খান, এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খান এতে চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।