একটানা লকডাউনে সকলেরই নাজেহাল অবস্থা। যারা বাড়িতে বসে ঘরের কাজ করছেন তাদের এক সমস্যা আবার যারা বাড়িতে বসে অফিসের কাজ করছেন তাদের অন্য সমস্যা। করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচতে বেশিরভাগ অফিসই কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর নির্দেশ দিয়েছেন। মহামারি রুখতেই এই প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ গোটা দেশে চালু হয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম। কিন্তু একটানা বাড়িতে বসে কাজ করলে শরীরের যেমন ক্ষতি তেমনই বড় বিপদ আসতে চলেছে আপনার সামনে। বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে দৈনন্দিন তালিকা থেকে এগুলো বাদ পড়ছে না তো, তাহলেই আসতে চলেছে ভয়ঙ্কর সমস্যা। দেখে নিন একনজরে।
বাড়িতে থেকে কাজ করতে গিয়ে কোনও কিছুরই হিসেব রাখছেন না অনেকেই। না সময়ের হিসেব না ঘুমের হিসেব। আর এতেই ডেকে আনছেন বড় বিপদ।
213
বাড়িতে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। করোনার নানা খবর নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুম আসছে না।
313
একদিকে বাড়ির কাজ অন্যদিকে অফিসের কাজ সামলাতে গিয়ে শারীরিক পরিশ্রম বেশি পড়ছে, আর তার প্রভাব পড়ছে ঘুমের উপর।
413
কাজের সময়ের বাইরে সমস্ত দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে নিজের একটি রুটিন বানিয়ে ফেলুন। সেই রুটিনের মধ্যেই নিজের ঘুমের সময় নির্ধারণ করুন।
513
তবে দুপুরে খাওয়ার পর ঘুম একেবারেই নয়, রাতে ঠিক সময়ে ঘুম যেন হয় সেইদিকে খেয়াল রাখুন।
613
বাড়িতে একটানা বসে কাজ করাটাও ভাল লক্ষণ নয়, তাই সময় করে একটু হাটাহাটি করে নিন।
713
কাজের পরে নিয়ম করে শরীরচর্চা করুন। এতে কিছুটা হলেও ক্যালরি কমবে এবং শরীরও ফিট থাকবে।
813
নিয়মিত শরীরচর্চা করলে ঘুম ভাল নয়। ভাল ঘুম হলেও শরীরও ভাল থাকবে।
913
যারা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন তাদের মধ্যে এই না ঘুমানোর প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। বিশেষত ১০ জনের মধ্যে ৭ জনই এই না ঘুম হওয়ার সমস্যায় ভুগছেন।
1013
যারা এই বাড়ি থেকে কাজ করছেন , তারা হাজারো কাজের মধ্যেও নিজের ঘুমের সময় বার করে নিন আলাদা করে।
1113
ল্যাপটপ নিয়ে যারা কাজ করছেন তারা বিছানায় বসে কাজ না করার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে কাজের জায়গাটি আলাদা করাই সবথেকে ভাল।
1213
ঘুমের সময় অফিস ভুলে রিল্যাক্স করুন। ঘুমানোর আগে হালকা ব্যায়াম করেও নিতে পারেন এতেও ঘুম ভাল আসবে।
1313
আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয হল ঘুমের সময় মোবাইলটা সবার আগে দূরে রাখুন। এতে ঘুম তো আসবেই না উল্টে আপনি আরও বেশি স্ট্রেসড হয়ে পড়বেন৷ এই সময় নিজের শরীরের খেয়াল না রাখলে কিন্তু আরও বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন৷