আতঙ্কের আর এক নাম করোনা ভাইরাস। করোনা ভাইরাসের বাহক হল মানুষ। মানুষের সংস্পর্শেই সংক্রমিত হচ্ছে এই করোনা ভাইরাস । দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যা নিশ্চিত করলেন চিনের চিকিৎসকরা। যা শুনেও উদ্বেগ বেড়েছে আরও কয়েকগুণ। শুধু চিনেই নয়, চিন ছাড়াও ভারত, মার্কিন মুলুকেও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। নিঃশব্দেই শরীরে দানা বাঁধছে এই মারণ রোগ। আর যখন সেটি ধরা পড়বে তখন মৃত্যুর দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবেন আপনি। ভয়াবহ এই মারণ রোগ আটকাতে ইতিমধ্যেই তৎপর সমস্ত দেশ। জেনে নিন করোনার খুঁটিনাটি।
করোনা ভাইরাসকে আন্তর্জাতিক স্তরে জনস্বাস্থ্যের কথা ভেবে বিপজ্জনক তকমা দেওয়ার কথা ভাবছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ঠিক যেভাবে সোয়াইন ফ্লুর ক্ষেত্রে ঘোষণা করা হয়েছিল। যদিও এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি বৈঠকের পরই সব চূড়ান্ত হবে।
নোবেলা করোনা প্রকৃতির এই করোনা ভাইরাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি আসলে ফ্ল্যাবিও ভাইরাস, যা খুব দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধু চিন নয়,হংকংয়েও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস।
সার্সের থেকেও অনেকবেশি ভয়ঙ্কর এই করোনা ভাইরাস।
চিন থেকে যারা এদেশে আসছেন তাদের প্রত্যকেরই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরেও চরম সতর্কতা জারি হয়েছে।
চিনের পর এবার মার্কিন মুলুকেও এই ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে যাচ্ছে।
করোনা ভাইরাস। আতঙ্কের অন্য নাম এই করোনা। মুহূর্তের মধ্যে একজনের থেক আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। মানুষের নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গেই ছড়িয়ে যাচ্ছে এই রোগের জীবানু।
চিনের ইউহানে প্রথম নজরে আসে করোনা ভাইরাস। তারপর থেকেই নতুন নতুন জায়গায় এর উৎপত্তি হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ইউহানের সামুদ্রিক খাবার থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছিল।
বেশ কিছু গবাদি পশুও আক্রান্ত হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তাদের ডিম বা মাংস থেকেই এই জীবাণুটি মানব শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে এই জীবাণুর অস্তিত্ব মেলেনি বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
প্রথমে সর্দি, কাশি, তারপর সেখান থেকে নিউমোনিয়া। তার সঙ্গেই প্রবল জ্বরও শ্বাসকষ্ট। আর এই সময় কোন অ্যান্টভাইরাসও কাজ করে না শরীরে।
শুরুর দিকে এর উপসর্গ বোঝা খুব কঠিন। বেশি বাড়াবাড়ি হলেই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন একাধিক মানুষ। আর তারপরই রক্ত পরীক্ষায় মিলছে এই করোনা ভাইরাস।
চিনের করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক এবার ভারতে। কলকাতা সহ দেশের ৭টি বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করেছে ডিজিসিএ।
করোনা ভাইরাস যখন ধরা পড়বে তখন মৃত্যুর দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবেন আপনি। ভয়াবহ এই মারণ রোগ আটকাতে ইতিমধ্যেই তৎপর সমস্ত দেশ।