Aravali Biodiversity Park: সবুজের হাতছানি আর জঙ্গলের মেজাজ, দুটোই রয়েছে আরাবল্লি বায়োডায়ভার্সিটি পার্কে

আরাবল্লি বায়োডায়ভার্সিটি পার্ক  (Aravali Biodiversity Park), সবুজ অভিযানের নতুন গল্প লিখছে গত ১০ বছর ধরে। তৈরি হয়েছে এক নতুন জঙ্গল। এই সবুজায়নের মূল উদ্যোক্তা আই অ্যাম গুরগাঁও ( I Am Gurgaon )নামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। হরিয়ানা সরকারের ৩৮০ একর জমি দিয়েছিল। সেখআনেই ফিরিয়ে আনা হয়েছে আরাবল্লির হারিয়ে যাওয়া জঙ্গলকে। আরাবল্লি বায়োডার্ভাসিটি পার্ক পেয়েছে আন্তর্জাতিক OECM (Other effective area-based conservatio measures) খেতাব। এটি হল এমন এলাকার জন্য একটি সংরক্ষণ উপাধি যা এলাকার বাইরের জীববৈচিত্র্যের অন্য একটি স্থানে সংরক্ষণ করার। এটি দেয় UCN।

Web Desk - ANB | Published : Feb 3, 2022 8:01 AM IST

110
Aravali Biodiversity Park: সবুজের হাতছানি আর জঙ্গলের মেজাজ, দুটোই রয়েছে আরাবল্লি  বায়োডায়ভার্সিটি পার্কে

হরিয়ান পুরসভা ৩৮০ একর জমি দিয়েছি একটি বায়োডায়ভার্সিটি পার্কের জন্য। আম অ্যাম গুরগাঁও নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এগিয়ে এসেছিল এই পার্ক তৈরির জন্য। ১০ বছর অক্লান্ত পরিশ্রমে তৈরি হয়েছে আরাবল্লি বায়োডায়ভার্সিটি পার্ক। 

210

 এই পার্কে ফিরিয়ে আনা হয়েছে হারিয়ে যাওয়া আরাবল্লি জঙ্গলকে। মানব সভতা আর উন্নয়ন যজ্ঞে হারিয়ে যেতে বসেছিল এই জঙ্গল। কিন্ত স্থানীয় সরকার ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোরে এক টুকরো জমিতেই ফিরে এসেছে আরাবল্লির জঙ্গলে। 

310

এই জঙ্গলে রয়েছে লক্ষাধিক গাছ রয়েছে। ফিরে এসেছে অনেক পশুপাখি। বায়োডার্ভাসিটি পার্ক হলেও জঙ্গলের পূর্ণ আমেজ সেখানে পাওয়া যায়। এই জঙ্গল ভ্রমণপ্রেমীদের যেমন টানে তেমনি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে প্রকৃতি প্রেমী ও প্রকৃতি পাঠে আগ্রহীদের কাছে। 
 

410

 আরাবল্লি বায়োডার্ভাসিটি পার্ক পেয়েছে আন্তর্জাতিক OECM (Other effective area-based conservatio measures) খেতাব। এটি হল এমন এলাকার জন্য একটি সংরক্ষণ উপাধি যা এলাকার বাইরের জীববৈচিত্র্যের অন্য একটি স্থানে সংরক্ষণ করার। এটি দেয় UCN।

510

. আন্তর্জাতিক খেতাব পাওয়ার পর বিজয় দাসমান্না (Vijay Dashmanna) সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বার্তা দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, বিশেষ এই সম্মান পাওয়ায় এই সংরক্ষিত এলাকার সামনে যে হুমকিগুলি ছিল সেগুলি দূর হল। কারণ এখন আর এই পার্কের এলাকায় রাস্তা ও অন্যান্য পরিকাঠামোগত কাজ করা যাবে না। তিনি আরও বলেছেন, এই কাজের স্বীকৃতির জন্য তাঁর পাশে সর্বদা ছিল হরিয়ানা সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার। 

610

 আগে  ২০০ প্রজাতির গাছ আরাবল্লির জঙ্গলে দেখা যেত। সেগুলিকেই ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি কিছু বিদেশী গাছও লাগান হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রধান বিজয় দাসমান্নার কথায় সালার জঙ্গল, সালাই কা জঙ্গল- এভাবে ভাগ করে করে  তৈরি করা হয়েছে বনসৃজন।  প্রথমদিকে স্বেচ্ছাসেবি সংস্থার কর্মীরা চারা রোপণের কাজ করত।

710

 বনসৃজনের কাজে স্কুলের পড়ুয়াদেরও ডেকে নেওয়া হয়েছিল এই সবুজায়নের যুদ্ধে। আলাবল্লি পার্কে তৈরি করা হয়েছে ঘাসের জঙ্গলও- যেখানে গুরুত্ব পেয়েছে সাবানা ঘাস। তৈরি হয়েছে ওয়াটারবডি। যা এই এলাকায় জলের চাহিদা পুরণ করতে পারে। 
 

810

আলাবল্লি বায়োডার্ভাসিটি পার্কে ইতিমধ্যেই ফেরানো গেছে ৬ রকম প্রাণী। সেগুলি হল শিয়াল, বনবিড়াল, মঙ্গুস, সিভেট। দেখতে পাওয়া যায় কাঠবিড়ানি, ইঁদুর, ফ্লাইং ফক্স। ২০২০ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী আরাবল্লি পার্কে প্রায় ২০১টি পাখি ছিল। প্রকৃতির নিয়মেই বর্তমানে পাখির সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গেছে। 

910

এই পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আই অ্যাম গুরুগাঁও-র হাত থেকে চলে গেছে মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারণ সংস্থা হিরোকর্পের হাতে। আগামী ১০ বছর এই কর্পোরেট সংস্থার হাতেই থাকবে পার্কের দায়িত্ব।। তবে গত ১০ বছর এই পার্ক তৈরিতে সাহায্য করেছে প্রায় ৫০টি স্কুলের পড়ুয়া ও স্বেচ্ছাসেবীরা। 

1010

হরিয়ানার বুকে এক টুকরো আরাবল্লি বায়োডার্ভাসিটি পার্ক বর্তমানে ভ্রমণপ্রেমী বা প্রকৃতি প্রেমীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সেখানে এক দিকে যেমন জঙ্গলের আমেজ পাওয়া যায়, তেমনই একটি কাটিয়ে দেওয়া যায় একটি নিস্তরঙ্গ ছুটির দিন। 
 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos