শরতের শেষ আর শীতের শুরু, রোদ্রজ্বল সকাল দিয়ে দিন শুরু হচ্ছে রাঙামাটি পুরুলিয়ায়

বুদ্ধদেব পাত্র:পুরুলিয়া: শেষ আর শীতের শুরু। হালকা শীতের আমেজ আর  রোদ্রজ্বল সকাল দিয়ে দিন শুরু হচ্ছে রাঙামাটি পুরুলিয়ায়।সেই সাথে পর্যটকদের আনা গোনা শুরু হয়েছে পুরুলিয়ায়।গড় পঞ্চকোট জয়চন্ডী পাহাড় থেকে অযোধ্যা পাহাড় প্রতিটি স্পটেই এখন পর্যটকদের ভিড়। ট্রেন চলাচল শুরু না হওয়ায় ভাড়ার গাড়ি কিম্বা নিজের গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করায় অনেকটাই খরচ বাড়ছে পর্যটকদের। হোটেল মালিকদের দাবি শীঘ্রই ট্রেন চালু করুক কেন্দ্র সরকার। ট্রেন চালু হলে আরো পর্যটকদের ভিড় বাড়বে পুরুলিয়ায়। চাঙ্গা হবে পুরুলিয়ার পর্যটন নির্ভর অর্থনীতি।

Jayita Chandra | Published : Nov 2, 2020 5:48 PM IST

110
শরতের  শেষ আর শীতের শুরু, রোদ্রজ্বল সকাল দিয়ে দিন শুরু হচ্ছে রাঙামাটি পুরুলিয়ায়

মার্চ মাস থেকে দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণ শুরু হতেই প্রভাব পড়ে পর্যটন শিল্পে। পুরুলিয়ার গড় পঞ্চকোট থেকে অযোধ্যা পাহাড় কিম্বা পুরুলিয়া শহর, সব জায়গায় একের এক বন্ধ হয়ে যায় হোটেল এবং রিসর্ট। বাগমুন্ডির একটি হোটেলের মালিক শিকারি মাজি জানান। 

210

গত মার্চ মাস থেকে করোনা সংক্রমনের কারনে হোটেল বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। অযোধ্যা পাহাড় থেকে পাহাড় তলি সর্বত্র চিত্রটা ছিল একই।পুজোর আগে সেপ্টেম্বর মাস থেকে আবার  দূর দুরান্তের পর্যটকরা বুকিং শুরু হয়।পুজোর সময় হোটেলের প্রতিটি রুম বুক ছিল।

310

করোনা সংক্রমণ আটকাতে প্রতিটি রুম স্যানিটাইজার করা হয়। কর্মীরা মুখে মাস্ক পরে স্যানিটাইজার নিয়ে পর্যটকদের সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে।অযোধ্যা পাহাড়ের হোটেল মালিক জনার্দন মাহাতো জানান।হোটেল বুকিং রয়েছে।

410

পুজোর আগে এবং শিত শুরুতেই কোলকাতা সহ দূর দুরান্তের ভ্রমণ পিপাসু মানুষেরা ভিড় জমাচ্ছেন সুন্দরী অযোধ্যায়।কলকাতা থেকে সড়ক পথে পুরুলিয়ায় বেড়াতে আসা উচ্চ পদস্থ সরকারি আধিকারিক পার্থ দাস কর্মকার জানান।দীর্ঘ দিন বন্দি অবস্থায় ছিলাম।

510

সেখান থেকে রাঙামাটি পুরুলিয়ায় এসে দারুন অনুভূতি হচ্ছে। এসে দেখলাম প্রতিটি রুম স্যানিটাইজার করা রয়েছে পুরো  কোরনা  বিধি মেনে সব কাজ লাগছে। ২০০৫  সালে কর্মসূত্রে পুরুলিয়ায় ছিলাম সেই সমযের পুরুলিয়া আর এখনকার পুরুলিয়া  আকাশ জমিন তফাৎ। তখন ছিল একটা ভয়ের পরিবেশ এখন মানুষ   খোলা মনে ঘুরতে পারছেন।

610

এখানে সবুজ গাছ গাছালি আর হালকা শীতের আমাজে মনে হচ্ছে এখানে কোনো করোনাই নেই।যারা এখনো  আসেননি তাদের উদ্যেশ্যে একটা কথাই বলবো। আসুন পুরুলিয়া এসে এই সময় ইঞ্জয় করে যান। হোটেল মালিক তথা হোটেল মালিক সংগঠনের জেলা সভাপতি মোহিত লাটা জানান। প্রায় ছ মাস ধরে বন্দ থাকার পর এখন পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। তবে ট্রেন চলাচল হলে মধ্যবিত্তের পক্ষে আরো ভালো হত। 

710

তার কারণ সকলের পক্ষে গাড়ি ভাড়া করে দূর দূরান্ত থেকে পুরুলিয়া আসা সম্ভভ নয়।এটা অনেক খরচ সাপেক্ষ।তাই রেল মন্ত্রক তথা কেন্দ্র সরকারের কাছে অনুরোধ করবো। যাতে হাওড়া পুরুলিয়া সহ দূর দুরান্তের ট্রেন পরিষেবা চালু করে।এতে একদিকে যেমন পর্যটকদেরও সুবিধা হবে অন্যদিকে পুরুলিয়ার অর্থনৈতিক কাঠামোও চাঙ্গা হবে।

810

পুরুলিয়ার হিলটপে নীহারিকা বলাকা সহ বেশ কয়েকটি সরকারি হোটেল রয়েছে। সব গুলিতেই এখন বুকিং রয়েছে।এ ছাড়াও হিলটপে বেশ কয়েকটি বেসরকারি হোটেল এবং পাহাড়ের নিচে মাঠা এবং পাখি পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় একাধিক জায়গায় গড়ে উঠেছে ছোট বড় হোটেল রিসোর্ট। এছাড়াও বাগমুন্ডি ঝালদা রোডের ওপর কয়েকবছর আগে গড়ে ওঠা কয়রাবেড়া রিসোর্ট এখন পর্যটকদের সেরা ডেস্টিনেশন ।

910

কয়রাবেড়া রিসোর্টের লেকে বোটিং অন্যতম আকর্ষনিয় হয়ে উঠেছে।প্রতিটি জায়গাতেই এখন কোথাও জায়গা নেই বলে জানা যায়। রঘুনাথ পুর মহকুমার  নিতুরিয়া ব্লকের গড় পঞ্চকোট পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি বেসরকারি রিসোর্ট।এর মধ্যে গড় পঞ্চকোট ইকো ট্যুরিজম অন্যতম। সড়ক এবং রেল পথে আসানসোল থেকে খুব সামনেই গড় পঞ্চকোট পাহাড়ের এই জায়গায় আসা যায়।

1010

এছাড়া সাঁতুড়ি ব্লকের মুরাড্ডি জলাধারের পাশে বড়ন্তিতেও বেশ কয়েকটি রিসোর্ট রয়েছে। কলকাতা থেকে সড়ক পথে আসানসোল হয়ে খুব সহজেই এই জায়গা গুলিতে পৌঁছনো যায়। খরচও নাগালের মধ্যে। তবে গর পঞ্চকোট ইকো ট্যুরিজমের সুইমিং পুল সহ মনোরঞ্জনের নানান ব্যাবস্থা থাকায় খরচ একটু বেশি হলেওএই স্পটের মনোরম পরিবেশ আর রিসোর্টের অতিথি আপ্যায়নে জুড়ি মেলা ভার।

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos