করোনার অতিমৃদু উপসর্গে হোম আইসোলেশনে থাকলে, অবশ্যই মেনে চলুন এই নিয়মগুলি

  • ভারতে রেকর্ড স্তরে বাড়ছে করোনার সংক্রমণের সংখ্যা
  • আমেরিকা ও ব্রাজিলের পর ভারতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে
  • দেশে করোনায় এখন পর্যন্ত ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার ৭২৪ জন আক্রান্ত হয়েছে
  • মৃদু উপসর্গ থাকলে হোম আইসোলেশনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে

deblina dey | Published : Aug 2, 2020 8:32 AM IST / Updated: Aug 02 2020, 02:08 PM IST

ভারতে রেকর্ড স্তরে বাড়ছে করোনার সংক্রমণের সংখ্যা। আজ আমেরিকা ও ব্রাজিলের পর ভারতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে। দেশে মোট আক্রান্ত লোকের সংখ্যা ১৭ লক্ষ  ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনায় এখন পর্যন্ত ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার ৭২৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭,৩৬৪ জন মারা গেছেন, ১১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৬২৯ জনও সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে করোনার ভাইরাসের নতুন করে ৫৪ হাজার ৭৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৮৫৩ জন মারা গেছেন।

করোনায় আক্রান্ত দেশের সংখ্যা অনুসারে ভারত বিশ্বের তৃতীয় সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ দেশ। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরে করোনার মহামারী দ্বারা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ভারতে। এমন এক সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য দফতর ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের থেকে মৃদু উপসর্গে হোম আইসোলেশনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রোগীকে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নজরেই রাখা হবে। যাঁদের শারীরিক সমস্যা অত্যন্ত বেশি তাঁরাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ থাকবেন। তবে এমন পরিস্থিতিতে হোম আইসোলেশনে থাকলে পরিবারের বাকি সদস্যদের সুস্থতার কথা মাথায় রেখে অবশ্যই মেনে চলুন এই নিয়মগুলি।

অতি মৃদু উপসর্গগুলি ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এক্ষেত্রে হালকা জ্বর, এতে ১০০ ডিগ্রীর বেশি তাপমাত্রা থাকে না। দুর্বল ভাব, গা, হাত, পা ব্যথা এবং মাথা ব্যথা, কফ বা সর্দির দেখা যায় না। হালকা কাশি দেখা দিতে পারে।  চিকিৎসকদের মতে, যে সব আক্রান্তের মৃদু উপসর্গ বাড়িতে থেকে চিকিৎসার ক্ষেত্রে তাঁদের কিছু নিয়ম পালন করতে হবে। 

১) আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাথরুম সংলগ্ন ঘরে ঘরে থাকতে হবে। ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না।
২) পরিবারের বাকি সদস্যদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং শারীরিক দূরত্ব মানতে হবে। বাচ্চাদের অতি সাবধান রাখতে হবে ও পরিষ্কার পরিছন্নতা মেনে চলতে হবে।
৩)   আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রচুর পরিমাণ জল পান করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। 
৪) আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার্য জিনিসগুলি এই সময় যাতে অন্য কেউ ব্যবহার না করেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 
৫) আক্রান্তের কাছে পালস অক্সিমিটার রাখতে হবে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষার জন্য। অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ এর কম হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 
৬) আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিযুক্ত খাবার দিতে হবে, যেমন - টাটকা ফল, সবজি, দুধ বা দই, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।

Share this article
click me!