দুধের সঙ্গে মধু আর নয়, এবার খান দুধের মধ্যে তুলসী পাতা দিয়ে

Published : Apr 01, 2022, 11:19 PM IST
দুধের সঙ্গে মধু আর নয়, এবার খান দুধের মধ্যে তুলসী পাতা দিয়ে

সংক্ষিপ্ত

তুলসি এমন একটি ভেষজ যা সহজেই অনেক সমস্যা দূর করে। দুধের সাথে তুলসী মিশিয়ে খাওয়ালে অনেক রোগে উপকার পাওয়া যায়।

আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে তুলসীর গুণ সকলেরই জানা। তবে কয়েকটা তুলসী পাতা যে এত কাজেও আসতে পারে, তা জানলে অবাক হবেন। তুলসী গাছে নানা ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সর্দ্দি, কাশি, ঠাণ্ডা লাগা ইত্যাদি নানা সমস্যায় তুলসী ব্যবহার করা হয়। এ গাছের রস কৃমি ও বায়ুনাশক। ঔষধ হিসাবে এই গাছের ব্যবহার্য অংশ হল এর রস, পাতা এবং বীজ। তুলসী পাতার এই সাধারণ গুণাগুণ আমাদের সকলেরই জানা। তুলসি এমন একটি ভেষজ যা সহজেই অনেক সমস্যা দূর করে। দুধের সাথে তুলসী মিশিয়ে খাওয়ালে অনেক রোগে উপকার পাওয়া যায়।

তুলসীর দুধ কীভাবে খাবেন-

তুলসীর দুধ তৈরি করতে প্রথমে এক গ্লাস দুধে ৮ থেকে ১০ টি তুলসী পাতা রেখে দিন এবং ফুটতে দিন। দুধ এক গ্লাস হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করুন। দুধ খানিকটা হালকা গরম হলে এটি পান করুন। এই দুধ নিয়মিত গ্রহণের মাধ্যমে এই রোগগুলি কাটিয়ে উঠতে পারে। 

 

কীভাবে তুলসী পাতা ফুটন্ত দুধে মিশিয়ে খালি পেটে পান করলে আপনি সুস্থ থাকবেন জেনে নিন

তুলসী পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের উপস্থিতি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এ ছাড়া তুলসী পাতায় অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা একজন ব্যক্তিকে সর্দি, কাশি এবং সর্দি থেকে দূরে রাখে।

অফিসের টানাপোড়েন বা কাজের চাপের কারণে আপনি যদি প্রায়শই স্ট্রেস বা হতাশায় ঘেরা থাকেন তবে তুলসী পাতা দুধে সিদ্ধ করুন। এটি পান করা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ থেকে মুক্তি দেয়।

তুলসী ও দুধে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে যা গলা ফোলা, ঠান্ডা ও শুষ্ক কফ নিরাময় করে। আপনি যদি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা, হাঁপানির মতো কোনও সমস্যায় সমস্যায় পড়ে থাকেন তবে তুলসী পাতা দুধের সাথে সিদ্ধ করে পান করুন। এটি করতে হাঁপান রোগীদের উপকার হবে।

দুধ ও তুলসীর মিশ্রণ মাথা ব্যথা উপশম করতে পারে। এই মিশ্রণটি প্রতিদিন পান করলে ধীরে ধীরে মাথাব্যথা চলে যাবে।
তুলসীতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ফ্লুর লক্ষণ দূর করতে সাহায্য করে। শীঘ্রই এটি ফ্লু নিরাময় করবে।

উষ্ণ দুধের সাথে তুলসী মিশিয়ে পান করলে স্নায়ুতন্ত্র শিথিল হয় এবং স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি উদ্বেগ এবং হতাশা থেকেও রক্ষা করে। এর ফলে ইউরিক অ্যাসিড কমে যায় এবং কিডনির পাথর ধীরে ধীরে শেষ হতে শুরু করে।

PREV
click me!

Recommended Stories

শীতকালীন অবসাদ জানেন কী হয়? মন ভালো করতে কেক বা চকলেট নয়, করুন এই কয়েকটি উপায়
৬০ সেকেন্ডের কম সময়ে মেজাজ হবে ভালো, রইল টিপস