ব্যাঙ্ক-নোটেও করোনা ২৮ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে, আরও কোথায় ছড়ানোর ভয় সবচেয়ে বেশি

  •  করোনার জেরে মানুষ এখন অনেক সতর্ক 
  • তবু সবকিছু মেনেও অনেকে হচ্ছেন আক্রান্ত 
  • তাহলে কি এখনও কিছু জানা বাকি রয়ে গিয়েছে
  • হ্যাঁ, এমন অনেক অজানা তথ্য দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা

Ritam Talukder | Published : Oct 30, 2020 1:48 PM IST / Updated: Oct 30 2020, 07:28 PM IST

 করোনা সংক্রমণের জেরে মানুষ এখন আগে থেকে অনেক সতর্ক। বাইরে যাওয়া থেকে ঘরে ফেরা অবধি যাবতীয় কোভিড বিধি মেনেই অধিকাংশ মানুষ চলছেন। তবে এমন অনেক মানুষও আছেন যারা ঘর থেকেই তেমন বেরোন না। এমনকি পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও বেরোন না তেমন কোথায়। অথবা সদস্য সংখ্যা কম। এমনকী এই ৭-৮ মাসে তাঁদের ঘরেও কেউ বাইরে আসেননি। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, তাঁদেরও করোনার সংক্রমণ হয়েছে। এখনও প্রশ্নটা হল, বাইরে না গিয়েও কী করে তাহলে করোনার সংক্রমণ হল। এবার সেটাই জেনে নেওয়া যাক, আরও কীসে কীসে আছে করোনার সংক্রমণের সবচেয়ে বেশি প্রবণতা।

আরও পড়ুন, শিশুরাই করোনার সুপার স্প্রেডার, স্কুল খোলার আগে চরম আশঙ্কা প্রকাশ করল ICMR

 

কী বলছেন বিজ্ঞানীরা 

ড্রপলেটেও যেমন করোনা ছড়ায় তেমনই এক সারফেস থেকে অন্য সারফেসেও করোনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যেসব সারফেসে হাত বেশি লাগে, সেখানে করোনাভাইরাস থাকার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এমনটা হতেই পারে করোনায় আক্রান্ত কোনও ব্যাক্তি কোনও সারফেস স্পর্শ করেছিল। তারপর আপনি সেই সারফেস আবার ধরলেন। আর সেখান থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে।  এবং হাত পরিষ্কার না করে সেই হাত মুখে দিলেই করোনা আপনার শরীরে প্রবেশ করবে। এই ক্ষেত্রে, গণ পরিবহণে আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। মাস্ক, গ্লাবস পরে বেরোলেও সংক্রমণের সম্ভবনা থাকে। আপনি টিকিট কেটে টাকা নেনে কন্ড্য়াকটরের থেকে। পরে গ্লাভস খুলে বাস থেকে নেমে যখন আার টাকাটা ধরেন, তখনও সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, কারণ  করোনা ২৮ দিন পর্যন্ত ওই টাকায় থাকতে পারে। এমনকি বাসের হাতলেও সংক্রমণের এর সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি। সঙ্গে থাকল ঘড়ি, মোবাইল অর্থাৎ বাইরে বেরোনোর পর থেকে ঘরে ঢোকা অবধি পার্থিব সবকিছু পারলে স্য়ানিটাইজ করা উচিত।

আরও পড়ুন, লক্ষীপুজোয় বাজারে লাগামছাড়া ভীড়, করোনায় ফের শীর্ষে কলকাতা

 

 

সমীক্ষার সব তথ্যকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে করোনা

অপরদিকে হাসপাতালের ওয়েটিং রুমেও সংক্রমণের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি থাকে। এক্ষেত্রে একটা কথা সবাই জানে যে, হাসপাতালে কর্মরত স্টাফদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাধারণ মানুষের থেকে সামান্য হলেও একটু বেশি হয়। তা সে যে কাজই করুক। সমীক্ষা বলছে, সহজে মোটে তাঁদের শরীর খারাপ হয় না। কিন্তু করোনা এই সকল সমীক্ষার তথ্যকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। তা না হলে, কলকাতায় করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে আইডি হাসপাতালের বহু পুরোনো সাফাইকর্মী সংক্রমিত হত না। এমনকি মাস্ক-গ্লাবস-পিপিই কিট পরেও সংক্রমিত হয়েছেন স্বয়ং নাইসেড অধিকর্তা সহ অসংখ্য স্বাস্থ্য কর্মী। তাই চেনা বৃত্তের বাইরে বাকি সব কিছুকেও নজরে রাখতে হবে। উল্লেখ্য, বাইরে বেরিয়ে সবথেকে বেশি সংক্রমণ হওয়ার স্থানগুলির মধ্যে এসি লাগানো ছোট জায়গা গুলিও পড়ে। কারণ যেখানেই স্বাভাবিক হাওয়া যাতায়াতে বাধা পড়ে সেখানেই কিছুটা হলেও প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই এসি দেওয়া খুব ছোট জায়গা যেমন এটিএম কাউন্টার থেকেও সাবধান। বাড়ি ফিরে কোভিড নিয়ম মেনে চলুন।

 

Share this article
click me!