শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে অনেকেই নিয়মিত গুড় খেয়ে থাকেন। এখন প্রায় সারাবছরই প্রায় গুড় পাওয়া যায়। কিন্তু শীতকালে গুড় যেন অনেকটাই আলাদা। চিনির থেকে গুড় স্বাস্থ্যের জন্য অনেকটা ভাল। সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় দিনের শেষে শরীর ক্লান্ত লাগে আর তখনই অনেকে ট্যাবলেট খান। কিন্তু হাতের কাছে এক টুকরেো গুড় থাকলে সমস্যার সমাধান। ঈষদুষ্ণ জলে সামান্য় গুড় মিশিয়ে খেলেই নিমেষে দূর হবে সারাদিনের ক্লান্তি থেকে নানান জটিল রোগ।
শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে অনেকেই নিয়মিত গুড় খেয়ে থাকেন। এখন প্রায় সারাবছরই প্রায় গুড় পাওয়া যায়। কিন্তু শীতকালে গুড় যেন অনেকটাই আলাদা। চিনির থেকে গুড় স্বাস্থ্যের জন্য অনেকটা ভাল। সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় দিনের শেষে শরীর ক্লান্ত লাগে আর তখনই অনেকে ট্যাবলেট খান। কিন্তু হাতের কাছে এক টুকরেো গুড় থাকলে সমস্যার সমাধান। ঈষদুষ্ণ জলে সামান্য় গুড় মিশিয়ে খেলেই নিমেষে দূর হবে সারাদিনের ক্লান্তি থেকে নানান জটিল রোগ।
গুড় অনেক রকমের হয়। ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, আখের গুড়, খেজুরের গুড়, নলেন গুড়, তালপাটালি আরও বিভিন্ন রকমের গুড় পাওয়া যায়। চিনির থেকে গুড় স্বাস্থ্যের জন্য অনেকটা ভাল। সারাদিনের কর্মব্যস্ততার শেষে শরীর যখনই ক্লান্ত লাগে তখনই অনেকে ট্যাবলেট খান। কিন্তু ঈষদুষ্ণ জলে সামান্য় গুড় মিশিয়ে খেলেই নিমেষে দূর হবে সারাদিনের ক্লান্তি। গুড়ের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট থাকে যা শরীরে তাৎক্ষণিক এনার্জি জোগাতে কাজে লাগে। এই টোটকা দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহার হয়ে আসছে। আয়ুর্বেদে গুড়ের নানা উপকারিতার কথা বলা হয়েছে। ওষুধে উপর নির্ভরশীল না হয়ে প্রাকৃতিক ভাবে সুস্থ থাকতে গুড়ের জুড়ি মেলা ভার। খেজুর কিংবা আখের গুড় শরীরের জন্য ভীষণ ভাল।
ভিটামিন বি ১, বি ৬, ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়ামে পরিপূর্ণ গুড়ে রয়েছে জিঙ্ক ও সেলেনিয়ামের মতো খনিজ উপাদান। যা রাতে কিংবা সকালে খেলে শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও দৃঢ় করে। গুড় খেলে ওজন বাড়ে এমনটা সম্পূর্ণ ভুল । গুড়ে পটাশিয়াম থাকায় শরীরে ইলেকট্রোলাইট সমতা বজায় রাখে। যার ফলে জল ধরে রাখার ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায় এবং তার সঙ্গে দেহের বাড়তি মেদও কমে। প্রাকৃতিকভাবে লিভারকে পরিস্কার করতে গুড় ভীষণ উপকারি। এছাড়াও রক্তও পরিস্কার হয়। প্রতিদিন সামান্য পরিমাণ গুড় খেল ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। রক্তাল্পতার সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের গুড় খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। গুড়ে আয়রণ এবং ফোলেট থাকায় শরীরে লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। গাটের ব্যথায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য ভীষণ উপকারী এই গুড়। গরম জলে সামান্য গুড় মিশিয়ে খেলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে। গুড় কেনার সময় রং অবশ্যই দেখে কিনুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দর্শনেই গুণ বিচার করা যায়। শুদ্ধ ভাল গুড়ের গাঢ় বাদামি রং হয়ে থাকে। হলদেটে গুড় দেখলেই বুঝবেন তাতে রাসায়নিক কিছু মেশানো আছে। গুড় কেনার সময় একটু টিপে দেখে নেবেন। গুড় যত শক্ত হবে ততই ভাল। শক্ত গুড়ে অন্যান্য সামগ্রী মেশানোর সম্ভাবনা অনেকটাই কম থাকে।