একটা পাতায় কমে যাবে গোড়ালির ব্যথা, জেনে নিন কীভাবে ব্যবহার করবেন

শরীরে কোনওরকম ব্যথা অনুভব করলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর যাদের ইউরিক অ্যাসিড রয়েছে তারা প্রতি একমাস অন্তর চেকআপ করিয়ে নিন। ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে কোনও ওষুধ না খাওয়াই শরীরের পক্ষে ভাল।

Parna Sengupta | Published : Jul 9, 2022 11:41 AM IST

দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে কাজ করছেন। হঠাৎ উঠে দাঁড়াতে গিয়ে দেখলেন গোড়ালিতে তীব্র যন্ত্রণার কারণে পা মাটিতে ফেলতে পারছেন না। কিছু ক্ষণ পর হয়তো আবার তা কমতে থাকে। পায়ের প্লান্টার ফাসিয়া নামের একটি লিগামেন্ট থাকে। সেখানে টান ধরলেই গোড়ালিতে ব্যথা বাড়ে। এই সমস্যাকে বলে প্লান্টার ফাসাইটিস। এর প্রধান উপসর্গ হল গোড়ালিতে অসহ্যকর ব্যথা

আঁক পাতা গোড়ালির ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। যদিও লোকেরা এই উদ্ভিদ থেকে তাদের দূরত্ব বজায় রাখে কারণ তারা এই গাছটিকে বিষাক্ত বলে মনে করে, আমরা আপনাকে বলি যে এই উদ্ভিদটি খুবই উপকারী। তো চলুন জেনে নিই কীভাবে ব্যবহার করবেন, যা আপনার ব্যথায় সাহায্য করবে।

আক পাতা কিভাবে ব্যবহার করবেন
আক পাতা ব্যবহার করার জন্য, প্রথমে একটি প্যানে কিছু জল এবং এই পাতা রাখুন। এরপর এতে কিছু লবণ, সেলারি এবং মৌরি দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। এরপর এই জল দিয়ে গোড়ালি ধুয়ে ফেলুন।

ব্যথা চলে যাবে
এতে আপনার গোড়ালির ব্যথা অনেকাংশে সেরে যাবে। অর্থাৎ এই পাতাকে বিষাক্ত বলা হলেও এটি গোড়ালির ব্যথায় খুবই উপকারী। তাই আপনিও এই কৌশলটি অবলম্বন করতে পারেন। অর্থাৎ, আপনি অবশ্যই এই পাতা চেষ্টা করুন।

গোড়ালিতে ব্যথা হয় কেন
গোড়ালি ব্যাথা হয় ইউরিক এসিড বৃদ্ধির কারণে। এ ছাড়া ওজন বৃদ্ধি, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা বা উঁচু হিলের জুতা বা স্যান্ডেল পরা অন্তর্ভুক্ত।

পায়ে কিংবা গোড়ালিতে ব্যথা হলেই সবার আগে ইউরিক অ্যাসিড পরীক্ষা করিয়ে নিন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে। তাহলেই খুব সহজে বুঝে যাবেন ব্যথাটা কিসের। সেই মতো চিকিৎসা করান। আর গাঁটের ব্যথা হলেও পেইনকিলার না খেয়ে ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নিতে পারেন। এতে খানিকটা হলেও ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।

শরীরে কোনওরকম ব্যথা অনুভব করলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর যাদের ইউরিক অ্যাসিড রয়েছে তারা প্রতি একমাস অন্তর চেকআপ করিয়ে নিন। ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে কোনও ওষুধ না খাওয়াই শরীরের পক্ষে ভাল।

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন ভিটামিন সি। ইউরিক অ্য়াসিডের অব্য়র্থ ওষুধ হিসেবে কাজ করে এই ভিটামিন সি। খাওয়ার পরে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি যুক্ত ফল খান। বাজার চলতি জুস, কোল্ড ড্রিঙ্ক যতটা পারবেন এড়িয়ে চলুন।

Share this article
click me!