চতুর্থ দফার লকডাউন শেষে শুরু হয়েছে আনলক-১। একটু একটু করে খুলছে বাজার দোকান। রাস্তায় নামছে বাস। সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে দীর্ঘদিনবাদে কর্মস্থলে যাচ্ছে মানুষ। এখন এই পরিস্থিতিতে বেশ বোঝা যাচ্ছে, করোনাকে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে আমাদের। যদিও, আশঙ্কা করা হচ্ছে, জুন-জলাই মাসে এই সংক্রমণ তার সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছবে। আর সেই বিপদ মাথায় করেই আমাদের দৌড়তে হবে অফিস-কাছারিতে। অতএব, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
আরও পড়ুন-মাত্র ২৫ সেকেন্ডে পাসওয়ার্ড ছাড়া টাকা তুলতে পারবেন এটিএম থেকে, জানুন কীভাবে...
কিন্তু কীভাবে বাড়াবেন করোনা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা?
প্রথমেই বলে রাখা ভালো, আলাদা করে করোনা প্রতিরোধের বিশেষ কোনও নেই। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাডাতে পারলেই, করোনা প্রতিরোধ করা অনেকটাই সম্ভব হবে। রোগ প্রতিরোধ বাড়ানোর প্রথম চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে, সুষম খাবার খাওয়া, কিছু-না-কিছু ব্য়ায়াম করা বা শারীরিক পরিশ্রম করা আর দিনে অন্তত সাতঘণ্টা ঘুমের মধ্য়ে। এছাড়া অনেকে বলেন, ভিটামিন-সি খেতে। মুসম্বি লেবু হোক কি পাতিলেবুর রস, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকে তার মধ্য়ে। এছাড়াও কেউ কেউ মনে করছেন, কতগুলো ভেষজ রয়েছে, যেগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে যে কোনও সংক্রমণের হাত বাঁচাতে ম্য়াজিকের মতো কাজ করে বলে দাবি।
আরও পড়ুন-ভারতের তিন তরুণ পরিবেশ যোদ্ধা, যারা পরিবেশ রক্ষা করতে এই বয়সেই লড়াইয়ে নেমেছে...
মনে করা হয়, প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে গোটা পাঁচেক তুলসী পাতা খেতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গুলঞ্চ পাতা বা শাকও এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যথেষ্ট উপকারী। এরপরেই উঠে আসে রসুনের নাম। এমনিতেই রসুনকে বলা হয়, মর্ত্য়ের অমৃত। রোজ সকালে দু-কোয়া করে রসুন খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বাড়ে বলে দাবি করা হয়। তবে সকালে না-খেয়ে অন্য় সময়ে খেলেও সমস্য়া নেই। প্রতিদিন নিয়ম করে দু-কোয়া করে খেলেই হলো। প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে গরম দুধে একটু হলুদ মিশিয়ে খেলে শরীর খুব ভালো থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
এ তো গেলো খাওয়ার দিক। এর সঙ্গে রোজ নিয়মিত ব্য়ায়াম করা খুব জরুরি। যদি আর কিছু সম্ভব না-হয়, তাহলে নিয়ম করে হাঁটুন। ওটাও একটা ব্য়ায়াম। চাইলে একটু ফ্রি-হ্য়ান্ড করে নিতে পারেন। আর হ্য়াঁ, ভুলেও ঘুম চুরি করতে যাবেন না। প্রতিদিন অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য় খুব জরুরি।