বন্দিদশায় ডিপ্রেশনে ভুগছে না তো আপনার সন্তান, বুঝবেন কীভাবে

  •  শুধু বড়রাই হয়, ডিপ্রেশনের শিকার হচ্ছে ছোটরাও
  • ছোট থেকে বড় যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন এই মারণ রোগে
  • আপনার সন্তান যতদিন যাচ্ছে খিটখিটে স্বভাবের হয়ে যাচ্ছে
  • এই ধরনের  জিনিসগুলি দেখলেই এখনই সাবধান

Riya Das | Published : Jul 3, 2020 12:56 PM IST / Updated: Jul 03 2020, 06:28 PM IST

ডিপ্রেশন শব্দটা শুনলেই যেন আতঙ্ক গ্রাস করে প্রত্যেককে। কারণ ডিপ্রেশনে একের পর এক প্রাণ চলে যাচ্ছে। সদ্যই সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই এই শব্দটা যেন আরও বেশি করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ছোট্ট একটি শব্দের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে মান-অভিমানের একরাশ। কিন্তু ডিপ্রেশনের শিকার শুধু বড়রাই হয়, এই ধারণাটা ভুলে যান এখনই, না হলেই সমূহ বিপদ। ডিপ্রেশনের এখন আর কোনও বয়স হয় না। ছোট থেকে বড় যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন এই মারণ রোগে। ছোটদেরও গ্রাস করে এই ডিপ্রেশন। ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলা হয় চাইল্ডহুড ডিপ্রেশন। কীভাবে বুঝবেন আপনার সন্তান ডিপ্রেশনে ভুগছে, জেনে নিন লক্ষণগুলি।

আরও পড়ুন-৯০ দিনের আগেই ধামাকাদার ১২টি মেগা ডিল, নয়া রেকর্ড গড়ল মুকেশ আম্বানির 'জিও'...


ঘরবন্দি দশায় একটানা থাকতে থাকতে বড়রা যেমন নাজেহাল, ঠিক তেমনই অবস্থা হয়েছে শিশুদেরও। কীভাবে যে ডিপ্রেশন গ্রাস করেছে আপনার সন্তানকে তা হয়তো নিজেও টের  পাচ্ছেন না।

আপনার সন্তান যতদিন যাচ্ছে খিটখিটে স্বভাবের হয়ে যাচ্ছে। কোনওকিছুই যেন তার ভাল লাগছে না। কিছু খেতে দিলে খাচ্ছে না। সবসময় বায়না করছে। যেটা দরকার সেটা না হলে অন্য কিছুই নিতে চাইছে না।  কোনও কিছু ভাল না লাগলে আপনাদের  উপর চিৎকার করছে।

আবার দেখা যাচ্ছে পড়াশোনাতেও মন নেই আপনার সন্তানের। স্কুলে সবার থেকে পিছিয়ে পড়ছে। এই ধরনের  জিনিসগুলি দেখলেই এখনই সাবধান। 

এখনকার দিনে খুব ছোট বয়সের শিশুদের ভয়াবহ আকার  নিচ্ছে এই মানসিক রোগ। আপনি বুঝে উঠতেও পারবেন না, কীসের জন্য এইরকম করছে আপনার সন্তান। তাই এই ধরনের কোনও লক্ষণ দেখলেই সবার আগে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যায়। 

কারণ ৫-৬ বছরের বাচ্চাদের মধ্যে ডিপ্রেশন হু হু করে বাড়ছে। আগে দেশের বড় বড় শহরগুলিতে এই প্রবণতা অনেক বেশি ছিল। কিন্তু বর্তমানে দেশের প্রায় সব শহরগুলোতেই  এই রোগ ক্রমশ বাড়ছে। শুধু ডিপ্রেশনই নয়, এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা।

আরও পড়ুন-উপোস করলেই বাড়বে সঙ্গমের চাহিদা, গবেষণায় উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য...

স্কুলে পড়াশোনার চাপ, বাড়িতে মা-বাবার চাপ, ভাল রেজাল্টের চাপ, একাকীত্ব  এই সবকিছুই নষ্ট করছে বাচ্চাদের শৈশব। যার ফলে জাকিয়ে বসছে ডিপ্রেশন। 

এর পাশাপাশি স্মার্ট ফোনের দৌলতে হাতের মুঠোয় চলে আসছে বড়দের জগত। আর এই স্মার্টফোনের আসক্তি কেড়ে নিচ্ছে শৈশব। 

এ তো গেল বাচ্চাদের কথা। বাচ্চারা একটু বড় হতে না হতেই খাওয়ানার জন্য, কান্না থামানোর জন্য স্মার্টফোনের চেয়ে সহজ উপায় আর কিছু হয় না। সেই সহজ উপায়ই যে কত বড় ক্ষতি করছে , সেটা বুঝতে বুঝতেই ডিপ্রেশনের শিকার হচ্ছে আপনার বাচ্চাটি। 

সুতরাং বাচ্চার শৈশব ঠিক রাখতে স্মার্টফোন থেকে শতহস্ত দূরে থাকুন। বাচ্চাকে যতটা পারবেন সময় দিন। ওর ভাললাগা  খারাপলাগা গুলোকে বুঝে বন্ধুর মতো মোশার চেষ্টা করুন।

Share this article
click me!