আইসক্রিম খেলে শরীর ভালো থাকে। সঙ্গে মেলে অনেক উপকারীতাও।
মন খারাপ বা ডিপ্রেশন (Depression), বিশেষ করে লকডাউন (Lockdown) এরপর থেকে ডিপ্রেশন বামুনের অশোক সম্পর্কে আমরা সকলেই কম বেশি সচেতন। একটানে বাড়িতে বসে কাজ সঙ্গে একের পর এক বাধানিষেধের মধ্যে জীবন আটকে পড়ায় মন খারাপ এক ধাক্কায় অনেকেরই। কিন্তু এই মন খারাপের সঠিক দাওয়াই কি, ডায়েট (Diet) দিয়ে কি কোন ভাবেই মনকে (Mind) ভালো রাখা যায়! নিশ্চয়ই যায় তেমনই এক অসাধ্য সাধন করে থাকে আইসক্রিম। ঠান্ডা লেগে যাবে বা অনেক সময় গলা ভেঙ্গে যাওয়া দাঁতের সমস্যার কারণে আইসক্রিম কে এড়িয়ে চলা খুব একটা অবাক কান্ড নয়। কিন্তু সেই সাধের আইসক্রিম (Ice Cream) নিজে একটা সময় মন ভালো রাখতে বেশ সাহায্য করবে তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। মন খারাপ থাকলে ভালো কিছু খেয়ে মন ভালো করে নেওয়ার রাস্তাটা অনেকেরই জানা।
আইসক্রিম (Ice Cream) খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। কিন্তু তারই মধ্যে অনেকেই বলে থাকেন বেশি আইস্ক্রিম খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। কিন্তু এমনটা সঠিক নয়। বরং আইসক্রিম খেলে শরীর ভালো থাকে। সঙ্গে মেলে অনেক উপকারীতাও।
আরও পড়ুন: Special Recipe- ইলিশ মানেই পকেট খালি, তাই এবার গরম ভাতে পরিবেশন করুন ভাপা রুই
অনেকেই মনে করেন যে আইসক্রিম খেলে মোটা হয়ে যায়। কিন্তু এই তথ্য সম্পূর্ণভাবে সঠিক নয়। ইচ্ছে মতন বেশি মাত্রায় খেলে তা ক্ষতিকারক। কিন্তু স্বাস্থের বেশ কিছু বিষয়ের ক্ষেত্রে আইসক্রিমের জুড়ি মেলা ভার। তাই এবার থেকে জেনে রাখুন আইসক্রিম খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা।
১. ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থের জন্য উপকারী। তাই আইসক্রিম খেলে যারা দুধ খান না তাদের শরীরে দুধের খামতি মেটাতে সাহায্য করে।
২. আইসক্রিম এনার্জি দেয়। ফলেই যখনই শরীর দুর্বল লাগবে বা কাজে মন বসবে না, তখনই আইসক্রিম খেয়ে নিন। দেখবেন শরীরে শক্তি পাচ্ছেন।
৩. আইসক্রিমে থাকে অনেক ভিটামিন। ভিটামিন এ, ডি, কে, ই ছাড়াও আইসক্রিমে থাকে থায়ামিন, নিয়ামিন প্রভৃতি।
৪. আইসক্রিম থেকে মোটা হয় না, বরং আইসক্রিম খেলে শরীরের ক্যালরি বার্ন হয় অতিমাত্রায়। ফলে ওজন কমে আইসক্রিম খেলে।
৫. মস্তিষ্কের হরমোন নিঃসরণে ব্যালেন্স বজায় রাখতে সাহায্য করে আইসক্রিম। তবে তা অতিমাত্রায় খাওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।
তাই কড়া ডায়েট ভুলে মাঝে মধ্যে আইসক্রিম মন্দ নয়। খাওয়া যেতেই পারে।