ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা এই অভ্যাসকে অনেকেই খুব সাধারণ সমস্যা বলে উড়িয়ে দেন। তবে একে খুব একটা নিরাপদ বলে ভাবতে নারাজ চিকিৎসকরা। এমন একজন মানুষের পাশে সারারাত ঘুমনো খুবই কষ্টসাধ্য। তবে যার এই সমস্যা রয়েছে, আপনার সেই প্রিয় মানুষটি কিন্তু আছেন গভীর সমস্যার মুখে। শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা ছাড়াও অতিরিক্ত নাক ডাকার কারণ হিসেবে 'স্লিপ অ্যাপনিয়া'-কেও এই চিহ্নিত করছেন বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসকদের মতে, স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণেও নাক ডাকার সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা বাড়িয়ে তুলছে হৃদরোগ। ডেকে আনছে মৃত্যুর ঝুঁকি।
তবে মনে রাখবেন যেই ব্যক্তির এই সমস্যা রয়েছে তাঁর জন্য এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আপাতদৃষ্টিতে এটি সাধারণ সমস্যা মনে হলেও এটি বেশ ক্ষতিকর। এমনকি এই সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন তাঁদের কম-বেশী হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মধ্যবয়স্ক মহিলা ও পুরুষদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি পরিমানে দেখা যায়। শ্বাস-প্রশ্বাসের গতিতে বাধা বা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার সৃষ্টি হলে এই সমস্যা দেখা যায়।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করা দরকার। নাক ডাকা সমস্যাকে একেবারেই অবহেলা করা উচিৎ নয়। গলার মাংসপেশীতে চর্বি বা শ্বাসযন্ত্র সরু হয়ে এলেও এই সমস্যা দেখা যায়। থাইরয়েডের সমস্যা বা হরমোনের সমস্যার জন্য নাক ডাকার সমস্যা বৃদ্ধি পায়। তবে এই সমস্যা ঘরোয়া উপায়েও খুব সহজেই এবং ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
১) আরেকটি হল গাজর ও আপেলের রস। গাজর, আপেল, আদা এক সঙ্গে গ্রাইন্ড করে ঘন পেস্ট বানিয়ে এরসঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে পান করলে নাক ডাকার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
২) হলুদের প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক গুণ। একটি পাত্রে ১ চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা ও জল একসঙ্গে ফুটিয়ে তার সঙ্গে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ঘুমোতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন এই পানীয় পান করলে নাক ডাকার সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তবে অতিরিক্ত সমস্যায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।