প্রাণঘাতী করোনা প্রতিরোধের মহৌষধি 'ভিটামিন ডি', জেনে নিন কার্যকারিতা

  •  রোগ-প্রতিরোধের হাত থেকে ভিটামিন ডি শরীরকে রক্ষা করে
  • প্রাকৃতিক ভাবেও ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করা যায়
  • শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকলে ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে যায়
  • রোদের মধ্যে কিছুক্ষণ দাঁড়ালে হজমের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে

Riya Das | Published : May 20, 2020 11:41 AM IST

মানুষের শরীরে যে কোনও ভিটামিনই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সমস্ত ভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন ডি রয়েছে প্রথম স্থানে। রোগ-প্রতিরোধের হাত থেকে ভিটামিন ডি শরীরকে রক্ষা করে। শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব দেখা দিলেই সেখান থেকে নানা সমস্যা শুরু হয়ে যায়। ভিটামিন ডি ঘাটতি পূরণ করার জন্য অনেকে ওষুধও খেয়ে থাকেন। তবে প্রাকৃতিক ভাবেও ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করা যায়। তার ফলে আরও ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়। শরীরের ভিটামিন ডি বজায় রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় হল সানবাথ। সানবাথে শুধু ভিটামিনডি-এর ঘাটতি মেটে তা নয়, এর অন্যান্যও অনেক উপকারিতা রয়েছে।

আরও পড়ুন-করোনা থেকে শত হস্ত দূরে থাকুন হবু মায়েরা, জেনে নিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ...

 

 

বর্তমানে করোনা গ্রাস করেছে গোটা বিশ্বকে। যত দিন যাচ্ছে ততই যেন নিজের চরিত্র বদলে নিচ্ছে করোনা ভাইরাস। একের পর এক নয়া উপসর্গ নিয়ে হাজির হচ্ছে এই মারণ ভাইরাস।  চতুর্থ দফার লকডাউন শুরু হয়েছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। যতটা সতর্ক থাকা যায় ততটাই ভাল। করোনা আশঙ্কার মধ্যে যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের জন্য ভিটামিন ডি ভীষণই উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার পর শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকলে ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে যায়।

আরও পড়ুন-একেই লকডাউন তার উপর আমফান, বৃষ্টিতে মোবাইল ভিজে গেলে চটজলদি কি করবেন জেনে নিন...

ভিটামিন ডি-এর সবচেয়ে বড় উৎস হল সূর্যালোক। করোনা রুখতে শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা সবার আগে বাড়াতে পারে। তাই সানবাথের মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারেন। এর ফলে হজমে উন্নতি হয়। আয়ুর্বেদের মতে, হজমের কাজ করে জঠরাগ্নি। যার মূল উৎস হল সূর্য।তাই সূর্যের আলোয় অর্থাৎ রোদের মধ্যে কিছুক্ষণ দাঁড়ালে হজমের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে। সকালে রোদ পোহালে ত্বকের অনেক উপহার হয়। রক্ত ও ছত্রাকের সমস্যা দূর হয়। এর পাশাপাশি একজিমা, সোরিয়াসিসের মতো রোগও ধীরে ধীরে কমে যায়। 

Share this article
click me!