৩ ডিসেম্বর দিনটি পালিত হয় বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস (World Disable Day) হিসেবে। ১৯৯২ সাল থেকে এই দিনটি বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
সব পেয়েও তুচ্ছ কিছু না পাওয়ার জন্য অনেকেই দুঃখ করতে থাকেন। পরিশ্রমের পর পরীক্ষায় ফল খারাপ হলে, উচ্চ শিক্ষায় (Higher Education) সুযোগ না পেলে, চাকরি (Job) পেতে সমস্যা হলে কিংবা পরিবারের কোনও অশান্তি আমাদের কাছে সব না পাওয়ার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সামান্য জিনিসের জন্য অনেকেই ভেঙে পড়ি। আবার, বহুজন তো না পাওয়ার জন্য আত্মহত্যাপ পথ বেছে নেন। প্রতিদিন সংবাদপত্রের পাতায় এমন বহু আত্মহত্যার খবর মেনে। কিন্তু, সত্যিই যারা কিছু পায়নি, জন্মেছেন অম্পূর্ণ হয়ে, তাদের কথা ভেবে দেখেছেন। প্রতি শহরে এমন শয় শয় মানুষ আছেন, যারা শারীরিক অসম্পূর্ণতা (Handicapped) নিয়ে জন্ম নিয়েছেন। এমন কিছু প্রতিবন্ধকতা তাদের শরীরে আছে, যা কোনও দিনই ঠিক করা সম্ভব নয়। সব জেনেও সেই মানুষগুলো মনের জোরে লড়ে চলেছেন।
আজ ৩ ডিসেম্বর। প্রতিবছর ৩ ডিসেম্বর দিনটি পালিত হয় বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস (World Disable Day) হিসেবে। আজ, ৩০ তম আন্তর্জাতিক ও ২৩ তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। ১৯৯২ সাল থেকে এই দিনটি বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। শারীরিকভাবে অসুস্থ মানুষদের জন্য এই দিনটি উৎসর্গ করা হয়। এই দিনটিতে সেই সকল মানুষকে সম্মাননা জানান হয়, যারা শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কাছে হার না মেনে লড়াই করে চলেছেন। মনের জোরে জয় করেছেন একাধিক লড়াই। আজ সেই সকল সাহসী ব্যক্তিদের সম্মান জানানোর পালা।
আরও পড়ুন: Health Tips: এই ৫ জটিল সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে কাজে লাগান গুড়ের এই অব্যর্থ টোটকা
আরও পড়ুন: Health Tips: গোটা দিন কাটছে ডবল মাস্ক পরে, হতে পারে এই কয়টি সমস্যা
৩ ডিসেম্বরকে বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস (World Disable Day) হিসেবে বেছে নেওয়ার পিছনে রয়েছে একটি দুঃখজনক কাহিনি। জানা যায়, ১৯৫৮ সালে মার্চ মাসে বেলজিয়ামে একটি দুর্ঘটনায় আহত হন পাঁচজন ব্যক্তি। তারা সেই দুর্ঘটনায় চিরজীবনের জন্য প্রতিবন্ধী হয়ে যান। এর ঠিক পরের বছ জুরিখে বিশ্বের বহু সংগঠন সম্মিলিত ভাবে আন্তর্দেশীয় স্তরে এক বিশাল সম্মেলন (Conference) করেন। সেখান থেকেই প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের হদিশ মেলে। পরে ১৯৯২ সাল থেকে এই দিনটি বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস (World Disable Day) হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। এদিনে বিশ্বের সকল অসম্পূর্ণ মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগীতা প্রদর্শন করা হয়। এই বিশেষ দিনে প্রতিটি শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নানারকম সমাজকল্যান মূলক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। প্রতিবন্ধী মানুষদের সম্মান জানান বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাদের জীবনের লড়াইয়ে পাশে থাকার অঙ্গিকার করেন সকলে।